জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত শুক্রবার ভারতে পা রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সন্ধ্যাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারও করেন বাইডেন। এরপর গতকাল তিনি উড়ে যান ভিয়েতনামের উদ্দেশে। সেখানে তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। যা নিয়ে এবার মোদীকে তোপ কংগ্রেসের।
1/5 উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভারতের পা রাখার পর মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জো বাইডেন। রীতি অনুযায়ী, এই ধরনের দ্বিপাক্ষির বৈঠকের পর মার্কিন সাংবাদিকরা উভয় রাষ্ট্রনেতাকেই কিছু প্রশ্ন করে থাকেন সাংবাদিক সম্মেলনে। আমেরিকায় যখন মোদী গিয়েছিলেন, তখনও তাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে বাইডেনের ভারত সফরকালে মার্কিন সাংবাদিকদের নাকি প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
2/5 দাবি করা হয়, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সফররত মার্কিন সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মোদী-বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর কোনও সওয়াল-জবাব পর্ব থাকবে না। এমনকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একাও সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেওয়া হয়নি। পরে হোয়াইট হাউজের তরফে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল যে ভিয়েতনামে পৌঁছে বাইডেন সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। আর গতকাল দিল্লি থেকে ভিয়েতনাম পৌঁছেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাইডেন।
3/5 এই আবহে বাইডেনের সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ক্লিপ তুলে ধরে মোদী সরকারকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। তিনি দাবি করেন, বাইডেনকে ভারতে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেয়নি মোদী সরকার। তবে তাতে কিছুই বদলায়নি। ভারতে এসে মোদীকে বাইডেন বার্তা দেন যাতে মানবাধিকার রক্ষা করা হয় এবং সংবদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা না হয়। ভিয়েতনামে গিয়ে তিনি সেই কথাটাই তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে।
4/5 সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জয়রাম রমেশ পোস্ট করে লেখেন, 'বাইডেনকে মোদী বলেন - না সাংবাদিক সম্মেলন করব না করতে দেব। তবে তাঁর সেই বাধা দেওয়ায় কোনও লাভ হল না। ভারতে মোদীর মুখে ওপর বাইডেন যা সব বলে গিয়েছেন, ভিয়েতনামে গিয়েও তিনি তাই বলেছেন - তিনি মানবাধিকার রক্ষা করার কথা বলেছেন, শিক্ষিত সমাজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলেছেন।'
5/5 এর আগে বাইডেন-মোদী বৈঠক প্রসঙ্গে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক কোঅর্ডিনেটর কার্ট ক্যাম্পবেল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বইডেন বলেন, 'দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু। তবে অন্য কোনও দেশকে এই নিয়ে লেকচার দেওয়ার পক্ষপাতী আমেরিকা নয়। পারস্পরিক সম্পর্কে নম্রতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।' ক্যাম্পবেল বলেন, 'আমরা মনে করি, গণতন্ত্র সম্পর্কে কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'