আর কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থলভাগে প্রবেশ করতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ল্যান্ডফলের সময় ২১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে পারে ঝড়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বহু উপকূলীয় এলাকায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করে দিয়েছে। এই আবহে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থেকে কাঁপছেন কয়েক লাখ মানুষ।
1/5 হাওয়া অফিস জানি দিয়েছে, আজ দুপুর ১২টা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলের পাশ দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, শক্তি সঞ্চয় করার পরে কিছুটা কম গতিতেই উপকূলের দিকে ছুটে আসছে মোখা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা।
2/5 হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ল্যান্ডফলের সময় মোখার বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সেই গতিবেগ আরও বাড়তে পারে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার বেগ ছুঁয়ে ফেলতে পারে ২১০ কিমি প্রতি ঘণ্টাকে। দক্ষিণপূর্ব বাংলাদেশ বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং উত্তর মায়ানমার উপকূলের কিয়াকফিউয়ের মাঝামাঝি জায়গায় এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হবে।
3/5 এদিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা অনেকটা দূরে সরে গেলেও এখনও এর প্রভাব অনুভূত হচ্ছে সেখানে। এই আবহে আজ সকালে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার বেগ ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি জলোচ্ছ্বাসের পরিস্থিতি তৈরি হবে আন্দামান সাগরে।
4/5 এদিকে আজ সকাল থেকেই কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনার আকাশ আংশিক মেঘলা। গতকাল রাতেও আবহাওয়া সেরকম গরম ছিল না। এদিকে উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুরেও আকাশ মেঘলা থাকবে আজ। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও আজ হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের এই তিন জেলায়।
5/5 গতকাল মধ্যরাতের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল। সেই সময় ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পোর্টব্লেয়ারের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ৭২০ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল। তাছাড়া মায়ানমারের সিটওয়ের থেকে এটি ৩১০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।