1/5 মাইলের পর মাইল ধরে মৃত মাছের রাশির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই দৃশ্যে হতবাক সবাই। এদিকে এই নদীর থেকেই পানীয় জল সরবরাহ করা হয় মেনিন্ডি শহরে। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন শহরবাসী। এই পরিস্থিতিতে পানীয় জল সরবরাহ বজায় রাখতে নদী থেকে মরা মাছ তুলে ফেলতে বরাত দেওয়া হয়েছে এক বেসরকারি সংস্থাকে।
2/5 এদিকে ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ পার হতে চলল। মরা মাছ সরানো নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ মেনিন্ডিবাসীরা। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় ২০১৮ সাল থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এমন গণহারে মাছ মারা গিয়েছে। যদিও আগের বারে তুলনায় এবার তার ভয়াবহতা অনেকটাই বেশি।
3/5 বিজ্ঞানীরা বলছেন, এভাবে গণহারে মাছের মৃত্যুর ঘটনার পিছনে রয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। এই অঞ্চলটিতে বর্তমানে দাবদাহ চলছে। ফলে নদীর জলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এদিকে এর আগে বন্যার কারণেও নজীর জলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অক্সিজেনের স্বল্পতার কারণেই মাছগুলি মারা যাচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
4/5 সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বন্যার পর ডার্লিং নদীতে হেরিং এবং কার্পের মতো মাছের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। জল কমে যাওয়ার পরে সেই মাছেরই মৃত্যু হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বন্যার জল কমা এবং প্রবল গরমে নদীর জলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে। একে হাইপোক্সিয়া বলে। তাতেই মাছগুলি মারা যাচ্ছে। ঠান্ডা জলের তুলনায় উষ্ণ জলে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে। তাপমাত্রা উষ্ণ থাকলে মাছের জন্য বেশি অক্সিজেনও প্রয়োজন হয়।
5/5 এদিকে ৪০ কিলোমিটারের বেশি জায়গা জুড়ে বিষাক্ত শৈবাল ছড়িয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলিও মাছের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটনা আগামী দিনে আবারও ঘটতে পারে। এদিকে এই ঘটনায় বারবার ভুগতে হচ্ছে মেনিন্ডির আম জনতাকে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব তাঁদের জীবনকে প্রভাবিত করছে।