২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি আমেরিকার ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ইরানের কম্যান্ডার কাশেম সোলেইমানির। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতেই জোড়া বিস্ফোরণ হল ইরানে। ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তাঁর কবরস্থানের সামনে জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছে। তাতে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
1/5 ইরানিয়ান কম্যান্ডার কাশেম সোলেইমানির কবরস্থানের কাছে জোড়া বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০৩ জনের মৃত্যু হল। ইরানের দাবি, কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে সেই জোড়া বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮৮ জন। ইরানের সরকার-পরিচালিত সংবাদমাধ্যমগুলি জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনাকে জঙ্গি হামলা হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে আপাতত সেই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
2/5 সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ইরানের রাজধানী তেহরানের ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব কারমানে বিস্ফোরণ হয়েছে। ২০২০ সালে আমেরিকার ড্রোন হামলায় সোলেইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতেই সেই জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে ইরান। তাঁর কবরস্থানের কাছেই সেই বিস্ফোরণ হয়েছে। একাধিক ফুটেজ অনুযায়ী, প্রথম বিস্ফোরণের ১৫ মিনিট পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটেছে। যে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের মাধ্যমে সাধারণত উদ্ধারকারীদের নিশানা করা হয়। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)
3/5 জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনাকে 'সন্ত্রাসবাদী হামলা' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কারমানের ডেপুটি গভর্নর রহমান জালালি। ইরানের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ফুটেজে সাধারণ মানুষের আর্তনাদ শোনা গিয়েছে। ইরানের জরুরি পরিষেবা দফতরের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে বিস্ফোরণের পরে ভয়ে পালাতে শুরু করেন মানুষ। (ছবি সৌজন্যে এপি)
4/5 ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের আধিকারিকরা। তবে বিস্তারিতভাবে তাঁরা কোনও তথ্য দেননি। ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আহমেদ ভাহিদি জানিয়েছেন যে দুপুর তিনটে নাগাদ বোমা বিস্ফোরণ হয়। কিছুক্ষণ পরে যে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ হয়, তাতেই হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার জেরে লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আহতের সংখ্যা। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)
5/5 ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমনিতে ইরানের শত্রুর সংখ্যা নেহাত কম নয়। অতীতে ইরানের পরমাণু প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। একেবারে নিশানা করে কাউকে হত্যা করেছে। এরকম বৃহদাকারে কখনও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়নি। তবে অতীতেও এরকম হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেট। তাতে প্রচুর সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তুলনামূলকভাবে শান্ত কারমানে সেরকম ঘটনা ঘটেনি। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)