নির্ধারিত সময়ের এক বছর পরে অনুষ্ঠিত হলেও উত্তেজনা, খেলার মান ও একাধিক রূপকথায় দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে এ বারের ইউরো। এক নজরে দেখে নিন এই ইউরো মাতিয়ে তুলে নিজেদের ছাপ ছাড়তে সক্ষম হয়েছেন কোন তারকারা।
1/5বছরখানেক আগে নির্ধারিত সময়ে ইউরো আয়েজিত হলে ইংল্যান্ড দলে লিউক শ সুযোগ পেতেন কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ ছিল। তবে সুযোগকে দুই হাতে লুফে নিয়েছেন শ। ইংল্যান্ডের বাঁ-প্রান্তে একের পর এক তাঁর ঠিকানা লেখা ক্রসগুলি বিপক্ষের বক্সে ঝড় তুলেছে। টুর্নামেন্টে তিনটি অ্যাসিস্টও প্রদান করেছেন তিনি। টুর্নামেন্টে সেরার খেতাবটা তাঁর হাতে উঠলেও অবাক হওয়ার কিছুই ছিলনা।
2/5পরিসংখ্যানের বিচারে তাঁর নামের পাশে লেখা দুই গোল, শূন্য অ্যাসিস্ট। তবে শুধুমাত্র পরিসংখ্যান দিয়েই কবেই বা কারুর কৃতিত্ব পরিমাপ করা যায়। গোটা টুর্নামেন্টে ইতালির সুন্দর, অ্যাটিকিং ফুটবলের মধ্যমণি ছিলেন বছর ৩০-এর নাপোলি অধিনায়ক লরেঞ্জো ইনসিনিয়া। ছোট্ট চেহারার ইনসিনিয়ার পায়ে যেমন কাজ, তেমনই দলের স্বার্থে নীচে নেমে ডিফেন্ড করা থেকে একাধিক জায়গায় খেলা, সবতেই সিদ্ধহস্ত তিনি। ইতালির খেতাব জয়ে আজুরি সমর্থকার নিশ্চয়ই ইনসিনিয়ার অবদান সম্পর্কে অবগত।
3/5মাত্র ২২ বছরে বয়সেই গোটা বিশ্বকে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা। ওয়ান্ডারকিড থেকে ইউরোর সেরা ফুটবলার হওয়ার তাঁর সফরটা অনেকটা স্বপ্নের মতোই। সাতটি ম্যাচে তিনটি ক্লিনশিট ও দু'টি পেনাল্টি শুটআউটে অংশীদার হয়েও নিজের জয়ের ১০০ শতাংশ রেকর্ড অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
4/5বুন্দেশলিগা দেখা সমর্থকরা ইয়ান সোমারের সঙ্গে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে বরুসিয়া মুনচেনগ্ল্যাডব্যাগের হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফর্ম করে আসছেন সোমার। এইবার ইউরোয় নিজের খেলাকে আরও উচ্চস্তরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন সুইস গোলরক্ষক।
5/5ডেনমার্ক দলের অবস্মরণীয় যাত্রার নায়ক পিয়ের-এমিল হোইবার্গ। ক্যাসপার ডলবার্গরা গোল করে শিরোনাম অর্জন করলেও গোটা ড্যানিশ দল মাঝমাঠে তাঁর দৃঢ়তার ওপরই নির্ভর করেছিল। শক্তিশালী, গেম রিডিংয়ে পটু, পরিশ্রমী হোইবার্গ নিঃসন্দেহে এই টুর্নামেন্টে নিজের জাত চিনিয়েছন। টটেনহ্যাম তারকার পা থেকে বেরিয়ে এসছে তিনটি গোলের পাসও।