বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Bengali Migrant Workers Dead in Bengaluru: 'মশার ধূপে' দমবন্ধ হয়ে বেঙ্গালুরুতে মৃত্যু বাংলার ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের
Bengali Migrant Workers Dead in Bengaluru: 'মশার ধূপে' দমবন্ধ হয়ে বেঙ্গালুরুতে মৃত্যু বাংলার ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের Updated: 20 Sep 2023, 09:57 AM IST Abhijit Chowdhury পেটের দায়ে বাংলা ছেড়ে ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজ করে লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক। তাদেরই মতো কুমারগ্রাম থেকে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছিলেন একই পরিবারের চারজন। চারজনই বেঙ্গালুরুর একটি পোলট্রি ফার্মে কাজ করতেন। থাকতেন ছোট্ট একটি দমবন্ধ করা ঘরে। আর সেই ঘরে থাকাই কাল হল সার্কি পরিবারের ৪ জনের। 1/5 আলিপুরদুয়রের কুমারগ্রাম থেকে বেঙ্গারুলু গিয়েছিলেন সার্কি পরিবারের চার সদস্য। পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন তাঁরা। বেঙ্গালুরুতে একটি পোলট্রি ফার্মে কাজও পেয়ে যান তাঁরা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হলেও উপার্জন করতে সেখানেই কাজ করতেন তাঁরা। এদিকে বেঙ্গালুরুর মতো এত বড় শহরে থাকার জন্য ভালো কোনও জায়গায় পাননি তাঁরা। এই আবহে ছোট্ট একটি ঘরেই সবাইকে গাদাগাদি করে থাকতে হত। আর সেটাই হল তাঁদের কাল। 2/5 কুমারগ্রামের সঙ্কোশ এলাকা থেকে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন কালে সার্কি (বয়স ৫০ বছর), লক্ষ্মী সার্কি (বসয় ৪৮ বছর), ফুলকুমারী সার্কি (বয়স ৪০ বছর) এবং কুশল সার্কি (বয়স ১৬ বছর)। দক্ষিণী এই শহরে খুবই ছোট একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন এই চারজনে। সেখানে হাওয়া বাতাস ঢোকার কোনও উপায় ছিল না। এদিকে সেই ঘরে ছিল মশার উৎপাত। এই আবহে উনুনে নিমপাতা জ্বালিয়ে রাতে ঘুমোতেন চারজনে। সেটাই ছিল তাঁদের মশার ধূপ। আর এই ধূপই প্রাণ কেড়ে নিল তাঁদের। 3/5 জানা গিয়েছে, কালে সার্কি তাঁর পরিবারকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর হলোয়ারাহাল্লি এলাকায় থাকেন। লক্ষ্মী ছিলেন কালের প্রথম পক্ষের স্ত্রী। আর ফুলকুমারী ছিলেন কালের দ্বিতীয় স্ত্রী। কুশল ছিলেন কালের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান। জানা যায়, গত শনিবার রাতে এই চারজনেরই মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। 4/5 জানা গিয়েছে, কালের প্রথম পক্ষের এক ছেলে ও এক মেয়ের বিয়ে হয় বেঙ্গালুরুতে। এর মধ্যে তাঁর মেয়ে গৌরী রবিবার সকালে তাঁদের বাড়ি আসেন। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও কেউ দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেন তিনি। এরপর পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের পর সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় চারজনের। 5/5 পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানায়, পোলট্রি ফার্মের কাছেই একটি অস্বাস্থ্যকর ছোট্ট ঘরে থাকত চারজন। মশার কামড় থেকে বাঁচতে কয়লার উনুনে পাতা পুড়িয়ে ঘুমোতেন তাঁরা। সেই ধোঁয়া থেকেই দমবন্ধ হয়ে মারা যান চারজনে। এদিকে কুমারগ্রামে কালের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছে স্থানীয় পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, প্রশাসন পরিবারের পাশে রয়েছে।