অপেক্ষা আর মাত্র একদিনের। ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমদিন হাওড়া থেকে সকাল ১০টা নাগাদ এই ট্রেনকে সবুজ পতাকা দেখাবেন মোদী। তবে বাকিদিন এই সময়ে চলবে না ট্রেনটি। ভোরে হাওড়া থেকে ছেড়ে দুপুরে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে এটি। সেখান থেকে আবার বিকেলে ছেড়ে রাতের মধ্যে হাওড়ায় ফিরবে সেটি।
1/5 ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হলেও নয়া বছরের ১ জানুয়ারি যাত্রীদের নিয়ে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের দৌড় শুরু হতে পারে। রেল সূত্রের খবর, সপ্তাহে ছ'দিন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলবে। বুধবার 'ছুটি' থাকবে বন্দে ভারতের। ভোর ৫ টা ৫০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তা নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছাবে দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটে। আবার ফিরতি পথে দুপুর ৩টে নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেন ছাড়বে। হাওড়ায় ঢুকবে রাত ১০ টা নাগাদ।
2/5 এদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে অত্যাধুনিক 'কবচ' রয়েছে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। ভারতে তৈরি এই অত্যাধুনিক সিস্টেমের ফলে সংঘর্ষ এড়াতে পারবে ট্রেনটি। কখনও সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হলেই আপনা থেকে ব্রেক কষতে পারবে ট্রেনটি। তাছাড়া প্রতিটি কোচে রয়েছে লেভেল ২ ইন্টিগ্রেশন সার্টিফিকেশন সেফটি। এছাড়াও প্রতি কোচেই আপৎকালীন চারটি করে জানলা থাকবে বন্দে ভারতে।
3/5 এদিকে প্রতিটি কোচে চারটি করে ক্যামেরা বসানো থাকবে যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে। প্রতিটি কোচ এবং টয়েলেটে উন্নত মানের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা থাকবে। ট্রেনে বায়ো টয়লেট থাকবে। এদিকে বন্যার মধ্যেও এই ট্রেন চলাচল করতে সক্ষম হবে। ৬৫০ মিলিমিটার জমা জলে এই ট্রেন অনায়াসে যেতে পারবে। এদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ক্ষেত্রে আপৎকালীন চারটি আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
4/5 প্রতিটি কোচে ৩২ ইঞ্চি এলসিডি টিভি লাগানো থাকবে। ফ্রি ওয়াইফাই মিলবে ট্রেনে। এদিকে ট্রেনের আসন 'সাইড রিক্লাইনার' হবে। অর্থাৎ, একটিকে জানলার দিকে ঘুরিয়ে বসা যাবে। ফটোক্যাটালিটিক এয়ার পিউরিফায়ার সিস্টেম থাকায় নতুন বন্দে ভারত ট্রেনে করোনা এবং অন্যান্য বায়ুবাহিত রোগের সংক্রমণ হবে না। ট্রেনের বাতাস জীবাণুমুক্ত রাখতে ইউভি ল্যাম্প আছে প্রতিটি কোচে।
5/5 দিকে জানা গিয়েছে, বন্দে ভারতে খাবার দেওয়া হবে। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির পথে ট্রেনে প্রাতঃরাশ এবং দুপুরের খাবার দেওয়া হবে যাত্রীদের। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, যাত্রীদের ওয়েলকাম ড্রিঙ্ক হিসেবে দেওয়া হবে ডাবের জল। সকাল সাতটায় দেওয়া হবে জল-খাবার। বেলা বারোটায় দেওয়া হবে লাঞ্চ। অন্যদিকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়ার পথে ট্রেনে স্ন্যাক্স হিসেবে দেওয়া হবে চা, সিঙাড়া, কেক বা মিষ্টি। ব্যবস্থা থাকবে নৈশ আহারেরও।