বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > India-China Meeting on LAC: অরুণাচল নিয়ে চরমে উঠেছে দ্বন্দ্ব, এরই মাঝে ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চিন
India-China Meeting on LAC: অরুণাচল নিয়ে চরমে উঠেছে দ্বন্দ্ব, এরই মাঝে ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চিন Updated: 28 Mar 2024, 10:09 AM IST Abhijit Chowdhury ভারত-চিন বর্ডার অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজমের ২৯তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বেজিংয়ে। গত ২৭ মার্চ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। কয়েকদিন আগেই অরুণাচল নিয়ে চিন পুরনো রেকর্ড বাজিয়েছিল। এরই মাঝে এই বৈঠকে আলোচনা হয় লাদাখ নিয়ে। 1/5 ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানে সংঘর্ষ বেঁধেছিল ভারত ও চিনা সেনার। এরপরও আরও দু'বার নাকি চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গালওয়ানের সংঘর্ষের পর আরও যে দু'টি সংঘর্ষ হয়েছিল, সেগুলি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের নভেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে হয়েছিল। 2/5 উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘর্ষের আগে থেকেই সীমান্ত নিয়ে চিনা সেনার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। তবে তাতে কোনও সমাধান সূর বেরিয়ে আসেনি। বরং চিনা সেনা সুযোগ বুঝে বারবারই আগ্রাসন দেখিয়েছে। শুধু লাদাখ নয়, উত্তরপূর্বে অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরেও স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করেছে চিন। এর মধ্যেই এবার কূটনৈতিক স্তরে বৈঠক করল দুই দেশ। 3/5 এই আবহে গত ২৭ মার্চ বেজিংয়ে ভারত এবং চিনা কূটনীতিকরা ওয়ার্কিং মেকানিজমের বৈঠকে বসেন। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল পশ্চিম সেক্টরে লাদাখ বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে সংঘাত রয়েছে, তা মেটানো। তবে বৈঠকে নির্দিষ্ট কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই বৈঠকটি ওয়ার্কিং মেকানিজের ২৯তম বৈঠক ছিল। 4/5 এই বৈঠক নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলের পশ্চিম সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যে সমস্যাগুলি রয়েছে, তা সমাধানের জন্য একটি সূত্র বের করতে উভয় পক্ষের মধ্যে গভীরভাবে মতবিনিময় হয়েছে এই বৈঠকে। অন্তর্বর্তী সময়ে, উভয় পক্ষই কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলগুলির মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখবে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং প্রোটোকল অনুসারে সীমান্ত এলাকায় স্থলভাগে শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে উভয় পক্ষই সহমত পোষণ করেছে। 5/5 এদিকে কয়েকদিন আগেই পূর্ব সেক্টরে অরুণাচলকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে চিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, 'চিন-ভারত সীমান্ত কখনওই নির্দিষ্ট করা হয়নি। পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরের জাংনান (অরুণাচলের চিনা নাম) বরাবরই চিনের এলাকা। ভারতের অবৈধ দখলের আগ পর্যন্ত চিন জাংনানের উপর কার্যকরী প্রশাসনিক এক্তিয়ার প্রয়োগ করে আসছিল। এটি একটি মৌলিক সত্য যা অস্বীকার করা যায় না।'