বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Indian Railways on Security: 'সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার', করমণ্ডল দুর্ঘটনার ৮ দিন আগে সংসদীয় কমিটিকে বলেছিল রেল
Indian Railways on Security: 'সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার', করমণ্ডল দুর্ঘটনার ৮ দিন আগে সংসদীয় কমিটিকে বলেছিল রেল Updated: 07 Jun 2023, 09:33 AM IST Abhijit Chowdhury গত শুক্রবার, ২ জুন দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশনে। সেই দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের প্রায় ৩০০ যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। সেই দুর্ঘটনার মাত্র আটদিন আগেই সংসদীয় কমিটির সামনে রেল দাবি করেছিল যে তারা সর্বদাই যাত্রী সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেন। 1/6 সবসময় সবকিছুকে পরিসংখ্যানে মাপা যায় না। আবার অনেক সময়ই কোনও এক ঘটনা নিছক পরিসংখ্যান হয়েই থেকে যায়। সাম্প্রতিক করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা সেটারই প্রমাণ। দুর্ঘটনায় মৃতদের সংখ্যা সংশোধন করা নিয়ে ট্রেনের গতি, রেলের খরচ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিসংখ্যান উঠে আসছে শুক্রবার থেকেই। তবে কোনও পরিসংখ্যানই দুর্ঘটনার কারণ নির্ণ করতে পারছে না। এই বিভীষিকাকে ভোলাতে পারছে না। এই দুর্ঘটনার ৮ দিন আগে এমনই পরিসংখ্যান জমা দিয়ে রেল অবশ্য দাবি করেছিল, যাত্রী সুরক্ষাই তাদের কাছে অগ্রাধিকার পায়। 2/6 রেলের তরফে সংসদীয় কমিটির সামনে দাবি করা হয়েছিল, 'প্রথমে এবং সমসময়ে সুরক্ষা' নীতির কারণেই রেল দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে দেশে। তথ্য পেশ করে রেল জানায়, ২০১০-১১ সালে দেশে ১৪১টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে ২০২২-২৩ সালে সেই দুর্ঘটনার সংখ্যা নেমে আসে প্রায় তিনগুণ। রেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতবছর দেশে মাত্র ৪৮টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। 3/6 এদিকে শুধু তাই নয়, প্রতি কিলোমিটার ট্র্যাকের নিরিখে দুর্ঘটনার অনুপাতের পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছিল সংসদীয় কমিটির সামনে। তাতে বলা হয়েছিল ২০১০-১১ সালে প্রতি কিলোমিটার রেল পথে দুর্ঘটনা হত ০.১৪। তবে ২০২২-২৩ বর্ষে প্রতি কিলোমিটার রেল ট্র্যাকে ট্রেন দুর্ঘটনার অনুপাত নেমে আসে ০.০৩-এ। 4/6 এই পরিসংখ্যান দেখে সংসদীয় কমিটির সদস্যরা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন সেদিন। তবে ২ জুন হতবাক হয়ে যান সকলে। সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার রেলে প্রাণ হারালেন প্রায় ৩০০ জন। পরিসংখ্যানের নিরিখে এই দুর্ঘটনাকে সারাবছরের সংখ্যার মধ্যে একটি ধরা হবে। তুলনা টানলে বিগত দশকের তুলনা কম সংখ্যক দুর্ঘটনাই হয়ত ঘটে থাকবে এবছর। তবে এই পরিসংখ্যানে কি প্রিয়জনহারাদের চোখের জল শুকোবে? 5/6 এই আবহে সংসদীয় কমিটির সদস্য তথা শিবসেনা সাংসদ ধৈর্য্যশীল মানে বলেন, 'রেলের পরফে পেশ করা প্রেজেন্টেশনটা খুবই ভালো ছিল। সেখানে দেখানে হয়েছিল যে কীভাবে ভারতে রেল দুর্ঘটনা কমানো হয়েছে। তবে তারা যেটা দেখিয়েছিল, সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল?' এদিকে দুর্ঘটনার পর আম আদমি পার্টির সাংসদ ডঃ সন্দীপ পাঠক দাবি করেন, বৈঠকে সাংসদদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। তিনি বলেন, যদি এতদিনে মাত্র ২ শতাংশ রেলপথে কবচ বসানো হয়েছে, তাহলে সব ট্র্যাকে এই ব্যবস্থা স্থাপন করতে তো ৪০০ বছর লাগবে। 6/6 জানা গিয়েছে, ২৫ মে-এর সেই স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ২১ জন সাংসদ যোগ দিয়েছিলেন। এই কমিটিতে মোট ৩১ জন সদস্য আছেন। বৈছকটি ৭৫ মিনিট ধরে চলে। সেখানে একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে রেলের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সিগনালিং ব্যবস্থা এবং সংঘর্ষ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিয়ে বিশদে বলা হয়েছিল সেখানে। সেই বৈঠকে জানানো হয়েছিল, 'কবচ' ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত ১৪৬৫টি রুটে দেওয়া হয়েছে। ৬৫,১৪১ কিমি রেলপথে এই ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার পর রেল জানায় বাহানগায় 'কবচ' ছিল না। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়।