বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > India's First ‘Hanging’ Rail Bridge: ১১ মাসেই তৈরি দেশের প্রথম 'ঝুলন্ত' রেল সেতু, এর ওপর দিয়েই ছুটবে বন্দে ভারত
India's First ‘Hanging’ Rail Bridge: ১১ মাসেই তৈরি দেশের প্রথম 'ঝুলন্ত' রেল সেতু, এর ওপর দিয়েই ছুটবে বন্দে ভারত Updated: 30 Apr 2023, 09:09 AM IST Abhijit Chowdhury দেশের প্রথম ঝুলন্ত রেল সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, সেতুর সবকটি কেবল লাগানোর কাজ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ্য, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই সেতু দিয়ে ছুটতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। 1/7 একটি টুইট বার্তায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, অঞ্জি খাদ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, 'মাত্র ১১ মাসে দেশের প্রথম কেবল রেল সেতু তৈরি। এই সেতুর ৯৬টি কেবলের সবকটি জোড়া হেয়েছে। এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার।' অশ্বিনীর এই টুইটকে রিটুইট করে মোদী লেখেন, 'অসাধারণ'। 2/7 প্রসঙ্গত, উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি ছিল এই অঞ্জি খাদ রেল সেতু। এই রুটে আগামী বছর বন্দে ভারত ট্রেন ছুটতে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। আর তা হলে ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন ব্রিজের ওপর দিয়ে বন্দে ভারতে করে শ্রীনগর পৌঁছে যাওয়া যাবে। 3/7 একটি মাত্র স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই অঞ্জি খাদ সেতু। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এই সেতুটি রয়েছে। এর উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে ট্রেন। উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অধীনে এই রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেল প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। 4/7 জানা গিয়েছে, অঞ্জি খাদ সেতুটি ১৫ মিটার চওড়া। মূল বিস্তৃতি ২৯০ মিটার। এই সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৭৩.২৫ মিটার। একটি মাত্র স্তম্ভ ধরে রেখেছে সেতুটিকে। ভিত থেকে তার উচ্চতা ১৯৩ মিটার। নদীগর্ভে আরও ৩৩১ মিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত স্তম্ভটি। এই স্তম্ভের সঙ্গে ৯৬টি কেবলের সাহায্যে সেতুটিকে শূন্যে রীতিমতো ভাসিয়ে রাখা হয়েছে। 5/7 এই সাসপেনশন ব্রিজকে যে তার বা কেবলগুলি শূন্যে ভাসিয়ে রেখেছে, সেগুলির দৈর্ঘ্য ৮২ মিটার থেকে ২৯৫ মিটার। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার। দাবি করা হচ্ছে, ৪০ কেজি বিস্ফোরকও এই সেতুটিকে উড়িয়ে দিতে পারবে না। ঘণ্টায় ২১৩ কিলোমিটার বেগে আসা ঝড়ও সেতুটিকে নাড়াতে পারবে না। 6/7 রেল মন্ত্রক চাইছে ২০২৪ সালের মধ্যে এই ব্রিজে রেল চলাচল শুরু করতে। জানানো হয়েছে, ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ব্রিজ যে কোনও প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। ভূমিকম্প হলেও এই সেতু সুরক্ষিত থাকবে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই ব্রিজ ও রেলপথের কাজ শেষ হলে সরাসরি ট্রেনে চেপে দিল্লি থেকে শ্রীনগর যাওয়া যাবে। 7/7 উল্লেখ্য, উধমপুর থেকে শুরু হওয়া এই রেললাইন শ্রীনগর হয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বারামুল্লা পর্যন্ত চলে যাবে। এর ফলে পাক সীমান্ত পর্যন্ত এবার ট্রেনে করেই যেতে পারবেন আম জনতা। এদিকে দিল্লি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত বন্দে ভারত ট্রেন চালানো হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। এই বছরের শেষের দিকেই রেল চলাচল শুরু হয়ে যাবে অঞ্জি খাদ সেতুর ওপর দিয়ে।