ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগারে নয়া সংযোজন হতে চলেছে অগ্নি প্রাইম মিসাইল। বৃহস্পতিবারই এই ঘোষণা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির আগে রাতেও পরীক্ষা চালানো হয় এই মিসাইলের। সেই পরীক্ষা সফল হয়।
1/4 বুধবার সন্ধ্যা সাতটা ৩০ মিনিট নাগাদ ওড়িশা উপকূলের ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে নয়া প্রজন্মের ব্যালিস্টিক মিসাইল অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে এই মিসাইলের অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
2/4 এর আগে বুধবারের পরীক্ষায় উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে বলে জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত মোট তিনবার অগ্নি প্রাইমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সাফল্য মিলেছে। তবে এর মধ্যে বুধবারই প্রথমবার রাতে এই মিসাইল উৎক্ষেপণের পরীক্ষা চালানো হয়। এই মিসাইলটি ২০০০ কিমি দূরে অবস্থিত যেকোনও লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত ভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে।
3/4 এদিকে অগ্নি সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের পারমাণবিক বোমা বহনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। ডিআরডিও এর আগে পাকিস্তানের ওপর ফোকাস করে ৭০০ কিনি রেঞ্জের অগ্নি-১ তৈরি করেছিল। এছাড়াও ২০০০ কিমি রেঞ্জের অগ্নি-২, ৩০০০ কিমি রেঞ্জের অগ্নি-৩, ৪০০০ কিমি রেঞ্জের অগ্নি-৪ এবং পাঁচ হাজার কিমি রেঞ্জের অগ্নি-৫ তৈরি করেছে ডিআরডিও। এই সিরিজের নয়া সংযোজন অগ্নি প্রাইন। এদিকে স্বল্প পরিসরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ভারতের কাছে আছে ‘পৃথ্বী’।
4/4 ১৯৯৮ সালের পোখরান পরমাণু পরীক্ষার ২৫ বছর পর ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে জুড়ছে অগ্নি প্রাইম মিসাইল। এতে ভারতের পারমাণবিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ২০০৩ সালেই ভারত 'প্রথমে পরমাণু বোমা ব্যবহার না করার' নীতি গ্রহণ করেছিল। তবে পাকিস্তান এবং চিনের হামলা থেকে দেশকে সুরক্ষিত করতে এই পরমাণু অস্ত্রর বড় ভূমিকা রয়েছে। ২০২২ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের কাছে ১৬০টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল।