জরুরি পরিস্থিতে আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে অনেকেই ঋণ নিয়ে থাকেন। তবে পরবর্তীকালে আপনার আয়ের একটি বড় অংশ ঋণ পরিশোধ করতেই বেরিয়ে যায়। তবে সামর্থ্য থাকলে কী আগেভাগেই ঋণ পরিশোধ করা যায়? তাতে কী আপনার ওপর বোঝা কমবে?
1/6 আপনি যদি সময়ের আগে আপনার ঋণ পরিশোধ করতে পারেন, তাহলে তা আপনার লাভই হবে। আপনি যদি ঋণ প্রি-ক্লোজ করেন, তাহলে হিসেব মতো অনেকটাই সাশ্রয় করবেন। তবে মেয়াদ পূর্তির আগে ঋণ পরিশোধ করতে চাইলে ‘আর্লি সেটেলমেন্ট ফি’ বা অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে থাকে অনেক ব্যাঙ্কই।
2/6 আপনি যদি মেয়াদের শেষ পর্যন্ত অর্থ প্রদান করতে থাকেন, তাহলে আপনাকে প্রতিটি কিস্তিতে সুদের টাকা দিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি একবারে ঋণ পরিশোধ করেন, তাহলে আপনি সুদ বাবদ অনেক টাকা বাঁচাবেন। এই আবহে অতিরিক্ত চার্জ দিলেও আপনার মোট অর্থ ব্যয়ের পরিমাণ কমই হবে।
3/6 সাধারণত, যেকোনও ব্যক্তিগত ঋণের সাথে একটি লক-ইন পিরিয়ড থাকে। সেই মেয়াদ শেষ হলেই আপনি ইচ্ছে করলে পুরো বকেয়া অর্থ পরিশোধ করতে পারেন। আর এমনটা নয় যে আপনি ঋণ নেওয়ার কয়েক বছর পর প্রি-পেমেন্ট করলেই লাভবান হবে। ঋণের মেয়াদের শেষের বছরগুলিতেও যদি আপনি প্রি-পেমেন্ট করতে পারেন তাহলেও আপনার পকেট থেকে কম টাকা বের হবে।
4/6 আরবিআই-এর নিয়ম অনুসারে, ফ্লোটিং রেটের ভিত্তিতে দেওয়া ঋণের উপর কোনও জরিমানা নেই। তবে সাধারণত ব্যক্তিগত ঋণগুলি নির্দিষ্ট হারে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে সময়ের আগে ঋণ পরিশোধ করলে আপনাকে জরিমানা দিতে হবে। শাস্তির হার ৩ থেকে ৫ শতাংশ হতে পারে।
5/6 আপনি যে নগদে প্রি-পেমেন্টে করতে চান তাহলে কি আর্থিক ভাবে আপনি লাভবান হবেন? এই ক্ষেত্রে দেখে নিন যে সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগে আপনি ঋণের সুদের চেয়ে অন্য কোথাও বেশি রিটার্ন পাবেন কিনা। যদি অন্য কোথাও ঋণের সুদের হার থেকে বেশি হারে রিটার্ন না পান তাহলে চোখ বন্ধ করে ঋণের অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। তাতে আপনারই লাভ হবে।
6/6 যদি আপনি একেবারে পুরো ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম না হন, তাহলে আপনি আংশিক ভাবে তা পরিশোধ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনার কাছে পুরো ঋণের পরিমাণ নেই, তবে হাতে আছে মোটা অঙ্কের অর্থ। তাহলে আপনি আংশিক ভাবে ঋণ পরিশোধের জন্য সেই টাকা ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মোট ইএমআই বাবদ পকেট থেকে কম সুদ বের হবে।