মলদ্বীপকে ঘিরে ফের নয়া বিতর্ক তৈরি হল। ভারত এবং এই দ্বীপরাষ্ট্রের মধ্যে শীতলতা যেন মেটার নামই নিচ্ছে না। কয়েকদিন আগেই মলদ্বীপকে খাদ্য পণ্য রফতানির কোটায় অনুমোদন দিয়েছিল দিল্লি। এরই মাঝে এবার মহম্মদ মুইজ্জুর দলের নেত্রী ভারতের পতাকার অপমান করে বসলেন।
1/5 গতবছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরই মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী তাঁকে অপমান করেছিলেন। এর জেরে তিনজনকেই হারাতে হয়েছিল পদ। সেই পদ হারানো রাজনীতিবিদদের অন্যতম হলেন মরিয়াম শিউনা। এই মরিয়ামের নতুন এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরেই তুঙ্গে বিতর্ক। অভিযোগ, সেই পোস্টে ভারতীয় জাতীয় পতাকার 'অপমান' করেন তিনি।
2/5 এদিকে চাপের মুখে মুইজ্জুর দলের নেত্রী ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। যে পোস্ট ঘিরে এত বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা মুছেও দিয়েছেন তিনি। তবে কোন পোস্ট ঘিরে এত বিতর্ক ছিল? এর আগে মলদ্বীপে ক্ষমতায় ছিল ভারতপন্থী এমডিপি। এই আবহে সেদেশের সংসদ নির্বাচনের আগে এমডিপি-কে আক্রমণ শানাতে গিয়ে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন মরিয়াম। সেই পোস্ট ঘিরেই বিতর্ক।
3/5 এমডিপি-কে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাদের দলের একটি 'বিকৃত' লোগোর ছবি পোস্ট করেছিলেন মরিয়াম। সেই পোস্টে এমডিপি-র প্রতীকের বদলে ছিল ভারতের জাতীয় পতাকার 'অশোচক্র'-র মতো দেখতে একটি আকৃতি। সেই পোস্টে মরিয়াম লিখেছিলেন, 'এমডিপি খুব জোরে পিছলে যেতে চলেছে। মলদ্বীপের মানুষ নিশ্চয় তাদের সঙ্গে পিছলে যেতে চায় না।'
4/5 এদিকে তাঁর সেই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হতেই সেটি মুছে দেন মরিয়াম। পাশাপাশি নতুন একটি পোস্টে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। সেই পোস্টে মরিয়াম লেখেন, 'আমার সাম্প্রতিক পোস্টের বিষয়বস্তুর জন্য যদি কোনও বিভ্রান্তি তৈরি হয় থাকে, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার ব্যবহৃত ছবিটি যে ভারতীয় পতাকার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, সেটা পরে আমাকে জানানো হয়েছিল।
5/5 মুইজ্জুর দলের নেত্রী আরও লেখেন, 'আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে এটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ছিল। ভবিষ্যতে, কোনও কন্টেন্ট শেয়ার করার আগে তা যাচাই করার ক্ষেত্রে আমি আরও সতর্ক থাকব। এই ধরনের ভুল যাতে আর না হয় তা নিশ্চিত করব।' তিনি আরও লেখেন, 'ভারতের সাথে মালদ্বীপের যে গভীর পারস্পরিক সম্পর্ক আছে, সেটিকে আমরা সম্মান করি।'