সম্প্রতি সরকারি ভাষার সংসদীয় কমিটির ৩৮তম বৈঠকে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, 'কোনও প্রতিরোধ ছাড়াই হিন্দি গ্রহণ করা উচিত সবার।' আর অমিত শাহের এহেন মন্তব্যেরই তীব্র ভাষায় নিন্দা জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন।
1/5 অমিত শাহের 'হিন্দি বন্দনা'র সমালোচনা করে শনিবার এমকে স্ট্যালিন বলেন, 'আমরা হিন্দির দাসত্ব গ্রহণ করব না।' এর আগে গত শুক্রবার সরকারি ভাষার সংসদীয় কমিটির ৩৮তম বৈঠকে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, 'কোনও প্রতিরোধ ছাড়াই হিন্দি গ্রহণ করা উচিত সবার।' অমিত শাহ আরও বলেছেন, 'অন্য কোনও ভাষার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেই হিন্দি। দেশের সব ভাষারই প্রচার করতে হবে, তাতেই দেশ শক্তিশালী হবে।'
2/5 উল্লেখ্য, বিগত ৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা হিন্দি চাপিয়ে দিতে চাইছে। উত্তরপূর্ব রাজ্য বা দক্ষিণী রাজ্যগুলি থেকে এই অভিযোগ বহুবার করা হয়েছে। কেন্দ্রের শিক্ষানীতি নিয়েও তাই বারবার প্রশ্ন উঠেছে। মেঘালয়ের সরকারি ভাষা না হওয়া সত্ত্বেও সেই রাজ্যের বিধানসভায় হিন্দিতে ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। আর এরই মধ্যে শাহের মন্তব্য, 'ধীরে ধীরে হলেও হিন্দিকে গ্রহণ করতে হবে।'
3/5 অমিত শাহের এই 'হিন্দি বন্দনা' নিয়ে তোপ দেগে গতকাল একটি টুইট করেন স্ট্যালিন। তাতে তিনি লেখেন, 'অমিত শাহ যে দম্ভ নিয়ে হিন্দি গ্রহণ করার কথা বলছেন, আমি তার নিন্দা জানাই। এটা অ-হিন্দি ভাষাভাষীদের বশীভূত করার একটি নির্লজ্জ প্রচেষ্টা। হিন্দি আধিপত্য এবং আমাদের ওপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার যে কোনও প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করবে তামিলনাড়ু। আমাদের ভাষা এবং ঐতিহ্য আমাদের সংজ্ঞায়িত করে – আমরা হিন্দির দাসত্ব করব না।'
4/5 এদিকে কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গেও এই 'হিন্দি আধিপত্য'-র বিরোধিতা হয় বলে অমিত শাহকে মনে করিয়ে দিয়েছেন স্ট্যালিন। তিনি ১৯৬৫ সালের 'হিন্দি বিরোধী আন্দোলনে'র স্মৃতি উস্কে দিতে 'বারণ করেন' অমিত শাহকে। উল্লেখ্য, বিগত দিনে কর্ণাটক যখন বিজেপি শাসিত রাজ্য ছিল, তখনও কর্ণাটক সরকারকে কেন্দ্রের হিন্দি নীতির বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল। এখন অবশ্য এই রাজ্য কংগ্রেস শাসিত।
5/5 এদিকে তামিলনাড়ুর বিজেপি রাজ্য সভাপতি আন্নামালাই পালটা তোপ দেগেছেন স্ট্যালিনকে। তিনি বলেন, 'এমকে স্ট্যালিন ইংরেজি, হিন্দি কোনওটাই বোঝেন না। তাই তিনি বুঝতেই পারেননি যে অমিত শাহ কী বলেছেন। অমিত শাহের বক্তব্য, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের মাতৃভাষায় পরিচালিত হওয়া উচিত। ডিএমকে এই নিয়ে এখনও রাজনীতি করে চলেছে। মানুষের অন্য কোনও ইস্যুতে কথা বলার ক্ষমতা নেই স্ট্যালিন ও উদয়নিধির। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের সময় বারবার তামিল ভাষার কথা বলেন। ডিএমকে আসন্ন নির্বাচনে হারবে, তাই এসব বলছে।'