স্টক মার্কেট কোনও জাদুর কাঠি নয়। এখানে আপনি বিনিয়োগ করার সাথে সাথে আপনার ভাগ্য নাও ঘুরতে পারে। এখানে ঝুঁকি আছে আবার লাভের সুযোগও আছে। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা সবসময় বিনিয়োগের আগে গবেষণা করার পরামর্শ দেন। বিনিয়োগকারী যদি কোম্পানির মৌলিক বিষয়গুলো পরীক্ষা করে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে তাতে ভালো রিটার্ন আসবেই। তবে তার জন্য কখনও কখনও ধৈর্য ধরতে হয়। আর যে বিনিয়োগকারীরা ইনফোসিসের শেয়ারে ধৈর্য দেখিয়েছিলেন আজ তাঁরা লাভবান। ইনফোসিস এমন একটি স্টক যা বিনিয়োগকারীদের উচ্চ হারে রিটার্ন দিয়েছে গত কয়েক দশকে। পাশাপাশি একাধিকবার বোনাসও দিয়েছে এই সংস্থা।
1/5 ২০০০ সাল থেকে ইনফোসিস ৫ বার বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে বিনিয়োগকারীদের জন্য। ২০০০ সালে একের পরিবর্তে এক এবং ২০০৪ সালে কোম্পানি তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে প্রতি তিনটি শেয়ারের বিনিয়োগকারীদের একটি করে বোনাস শেয়ার দেওয়া হবে। এরপর থেকে ৩ দফায় একের পরিবর্তে একটি করে শেয়ার দেওয়ার ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি।
2/5 কোম্পানিটি শেষবার বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। এমতাবস্থায় যদি কোনও বিনিয়োগকারী ২০০০ সালে এই শেয়ারটি কিনতেন এবং ধৈর্য দেখিয়ে তা এখনও পর্যন্ত ধরে রাখেন, তবে তিনি আজ ধনী হয়ে গিয়েছেন।
3/5 যদি একজন বিনিয়োগকারী ২০০০ সালে ইনফোসিসে বিনিয়োগ করতেন এবং এখন পর্যন্ত এটি ধরে রাখতেন, তাহলে শেয়ার প্রতি উচ্চ রিটার্নের সাথে তার বিনিয়োগের মূল্যও কমে যেত। ২০০০ সালে, কোম্পানিটি একটি শেয়ারের বদলে একটি বোনাস শেয়ার দেয় বিনিয়োগকারীদের। এর কারণে বিনিয়োগকারীর শেয়ার প্রতি ব্যয় ৫০ শতাংশ কমে যায় এক ধাক্কায়।
4/5 ২০০৪ সালে ৩:১ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পর শেয়ার প্রতি খরচ ১২.৫০ টাকায় নেমে আসার কথা বিনিয়োগকারীদের। এর পরে, আরও ৩ দফায় বোনাস শেয়ার প্রাপ্তির কারণে, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০০ সালের শেয়ারে ব্যায়ের মূল্য মাত্র ১.৫৬২৫ টাকা। যদিও ২০০০ সালের শুরুতে ইনফোসিসের একটি শেয়ারের দাম ছিল ১২০ টাকা। তবে বোনাস শেয়ারের কারণে সেই সময়কার শেয়ার পিছু খরচ কমে মাত্র দেড় টাকা হয়েছে।
5/5 এই আবেহ একজন বিনিয়োগকারী যদি ২০০০ সালের শুরুতে ইনফোসিসে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে থাকতেন এবং এখন পর্যন্ত তা ধরে রাখতেন, তাহলে তাঁর রিটার্ন বেড়ে ৯.৫৮ কোটি টাকা হওয়ার কথা৷ বর্তমানে এই কোম্পানির এক একটি শেয়ারের দাম এনএসইতে ১৫২৬.৮০ টাকা।