খাবারের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই রান্নায় নিয়মিত পেঁয়াজ দেন। এটি শরীরে গেলে, তার কেমন প্রভাব পড়ে শরীরের উপর? বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজ খেলে কী হয়?
1/8 গ্রীষ্মকালেও নিয়মিত পেঁয়াজ খাচ্ছেন? কী হচ্ছে এর ফলে? কী ভাবছেন, এর ফলে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে কি না? মোটেই তা নয়। বরং উলটোটাই হচ্ছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ডায়েটিশিয়ানরা সবাইখাদ্যতালিকায় পেঁয়াজ রাখার পরামর্শ দেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। এটি ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরপুর। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে শরীরের ী কী লাভ হয়, দেখে নেওয়া যাক।
2/8 হজমশক্তি বাড়ে: গরমে অনেকেরই হজমের নানা সমস্যা হয়। এই সময়ে পেঁয়াজ খেলে এই সমস্যা কমে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রিবায়োটিক রয়েছে। ফলে এটি খাবার হজম করতে এবং সার্বিক হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
3/8 কিডনির সমস্যা কমে: গ্রীষ্মকালে কিডনির উপর চাপ পড়ে। কারণ এই সময়ে শরীর শুকিয়ে যায়। পেঁয়াজ এক্ষেত্রে কিডনির যত্ন নিতে পারে। এতে প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে। তা কিডনির উপকার করে। এছাড়া পেশির কর্মক্ষমতাও বাড়ে।
4/8 কর্মক্ষমতা বাড়ায়: গরমে অনেকেই দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এই সমস্যা কমাতে পারে পেঁয়াজ। এতে ফোলেট (B9) এবং পাইরিডক্সিন (B6)-সহ ভিটামিন বি রয়েছে। এটি শরীরের মেটাবলিজম ঠিক করতে, ইন্দ্রিয়গুলির সঠিকভাবে কাজ করতে এবং লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই পেঁয়াজ খেলে ক্লান্তি দ্রুত কমে।
5/8 ডায়াবিটিসের সমস্যা কমায়: পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন এবং সালফার রয়েছে। এই কোয়ারসেটিন আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র, অগ্ন্যাশয়, পেশি, ফ্যাট টিস্যু এবং লিভারের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করতে থাকে। যার কারণে এটি রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
6/8 রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়: গরমে অনেকেরই রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। এই সমস্যা কমাতে পারে পেঁয়াজ। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রিবায়োটিক ফাইবার থাকার কারণে এটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই প্রিবায়োটিক ফাইবারগুলি আমাদের অন্ত্রে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলির সাহায্যে ছোট ছোট টুকরোয় ভেঙে যায় এবং তারা ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে। এবং অন্ত্রে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া শরীরে অ্যাসিটেট, প্রোপিওনেট বাউটাইরেট সহ ফ্যাটি অ্যাসিডের ছোট চেন তৈরি করে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
7/8 হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়: পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এবং ট্রাইগ্লিসারাইড ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে অনেক হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে। এর পাশাপাশি পেঁয়াজের নানা উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
8/8 হাড় মজবুত করে: প্রচুর পরিমাণে প্রিবায়োটিক থাকার কারণে পেঁয়াজ খাওয়ার সময় আমাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। যার কারণে আমাদের অন্ত্রের ক্যালসিয়ামের মতো সমস্ত খনিজ শোষণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য অনেক ভালো হয়।