বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Problems for TMC on losing National Status: ২০২৪-এর আগে জতীয় দলের স্বীকৃতি হারিয়ে কী ‘লোকসান’ হল তৃণমূল কংগ্রেসের?
Problems for TMC on losing National Status: ২০২৪-এর আগে জতীয় দলের স্বীকৃতি হারিয়ে কী ‘লোকসান’ হল তৃণমূল কংগ্রেসের? Updated: 11 Apr 2023, 10:23 AM IST Abhijit Chowdhury পঞ্চায়েত নির্বাচন এই এসে গেল বলে। এরপরই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তোড়জোর শুরু হয়ে যাবে। ২০২৪ সালে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে মমতাকে সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সেই প্রচেষ্টায় জোর ধাক্কা থেয়েছে জোড়াফুল শিবির। কারণ জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাওয়ার সাড়ে ৬ বছর পর তকমা হারাল তৃণমূল। 1/6 জাতীয় দলের তকমা হারানোয় কী কী সমস্যায় পড়তে হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসকে? এখন থেকে শুধু আঞ্চলিক দল হিসেবেই ধরা হবে বাংলার শাসকদলকে। আর এর জেরে ইভিএম অথবা ব্যালট পেপারে জাতীয় দলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখা যাবে না তৃণমূলের প্রতীকি চিহ্ন। এদিকে দলের নামের আগে আর 'সর্বভারতীয়' শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না জোড়াফুল শিবির। 2/6 এদিকে জাতীয় দল হওয়ার দরুণ এতদিন নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে আমন্ত্রণ পেত তৃণমূল কংগ্রেস। তবে জাতীয় দলের স্বীকৃতি চলে যাওয়ায় আর জাতীয় দলগুলর বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না তৃণমূল কংগ্রেসকে। পাশাপাশি জতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত নিজেদের মতামত জানাতে এবার থেকে আরও বেশি কাঠখড় পোড়াতে হবে জোড়াফুল শিবিরকে। 3/6 এদিকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোয়, আর্থিক অনুদানের ক্ষেত্রেও ও বড়সড় ধরনের ফারাক লক্ষ্য করা যেতে পারে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটের 'মুখ' হওয়ার চেষ্টা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। এই আবহে যদি লোকসভা ভোটের আগে অর্থের জোগান কমে যায়, তাহলে আগামি বছর নির্বাচনী প্রচারে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বাংলার দলকে। 4/6 রাজধানী দিল্লিতে জাতীয় দল জমি বা বাড়ি পায় দলীয় দফতর বানানোর জন্য। সেই সুবিধা আর থাকবে না তৃণমূলের। এদিকে যে কোনও নির্বাচনের সময়ে জাতীয় দল ৪০ জন তারকা প্রচারক রাখতে পারে। আর এই সুবিধা পাবে না মমতার দল। ভোট প্রচারের জন্য সরকারি টিভি ও রেডিয়োতে বিনা খরচে বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না তৃণমূল। 5/6 ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় দল হিসেবে জোড়াফুলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় দল হতে গেলে তিনটি শর্তের অন্তত একটি পূরণ করতে হয়। লোকসভায় অন্তত ৪টি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হয়। কিংবা লোকসভায় ৩টি রাজ্য থেকে অন্তত ১১টি আসন জিততে হবে। কিংবা অন্তত ৪টি রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে হবে। 6/6 ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মনিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও অসমেও ভোটে লড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩৪ টি পেয়েছিল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে সেটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সবচেয়ে ভালো ফলাফল। এরপরই ২০১৬ সালে জাতীয় দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসকে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মণিপুরে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। তবে ২০১৯ সালে সেই শর্ত পূরণ করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস।