এপ্রিলে ৫৬টি রাজ্যসভা আসনে সাংসদদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই আসনগুলিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। তবে মাত্র তিন রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে। বাকি রাজ্যের আসনগুলিতে সব প্রার্থীরাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। আর গতকালকের ভোটাভুটিতে বিজেপি চমকে দিয়েছে বিরোধীদের।
1/5 হিমাচল এবং উত্তরপ্রদেশে বিরোধীদের থেকে ২টি আসন কার্যত ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। অঙ্কের নিরিখে হিমাচলপ্রদেশে বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থীর জেতার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। তবে কংগ্রেসকে হতবাক করে দিয়ে সেই রাজ্যের একটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর এরপরে এবার সেই রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের গদি টলমল করতে শুরু করেছে।
2/5 এদিকে উত্তরপ্রদেশের ১০টি আসনের মধ্যে বিজেপির ৭টি আসনে জয় নিশ্চিত ছিল। বাকি তিনটি আসন সমাজবাদী পার্টির ঝুলি যাওয়ার কথা ছিল। তবে সব অঙ্ক গোলমাল হয়ে যায় সেখানেও। ১০টির মধ্যে ৮টি আসন জিতে নেয় বিজেপি। মাত্র দু'টি আসনে জয়ী হন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা। স্বভাবতই এখানেও দেদার ক্রস ভোটিং হয়েছে।
3/5 অবশ্য কর্ণটকে জেডিএস প্রার্থীকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। তবে সেখানে ক্রস ভোটিং হয়নি। সেই রাজ্যের যে ৪টি আসনে ভোট হয়, তার মধ্যে ৩টি কংগ্রেস, ১টি বিজেপি জেতে। সব মিলিয়ে এপ্রিলে রাজ্যসভার যে ৫৬টি আসনে নতুন করে সাংসদরা শপথগ্রহণ করবেন, তার মধ্যে থেকে ৩০টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ২০টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। অপর ১০টি আসনে ভোটে লড়ে জয়ী হয় তারা। এর ফলে এবার রাজ্যসভার সমীকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াল?
4/5 এই যাত্রায় ৩০ জন রাজ্যসভা সাংসদ পাওয়ায় সংসদের উচ্চ কক্ষে বিজেপির মোট সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৭-তে। এনডিএ শরিকদলগুলির সদস্য মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরের কাছে এখন ১১৭ জন সাংসদ আছে রাজ্যসভায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে তা মাত্র ৪টি পিছনে। কারণ, এপ্রিলে ৫৬ জন সাংসদ শপথ নিলে রাজ্যসভার মোট সদস্য সংখ্যা হবে ২৪০। সেই ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যে প্রয়োজন হবে ১২১টি আসন।
5/5 বর্তমানে রাজ্যসভায় বিজেপির ৯৭ জন সাংসদ আছেন। এর মধ্যে ৫ জন মনোনীত সদস্য, যাঁরা পরে বিজেপি যোগ দিয়েছেন। এদিকে রাজ্যসভায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য আছে কংগ্রেসের। শতাব্দী প্রাচীণ দলের রাজ্যসভা সাংসদের সংখ্যা ২৭। আর তৃতীয় স্থানে আছে তৃণমূল। রাজ্যসভায় তাদের সাংসদ সংখ্যা ১৩। এছাড়া ডিএমকে এবং আম আদমি পার্টির রাজ্যসভা সদস্য সংখ্যা ১০। বিজেপি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৯ করে। বিআরএস-এর ৭, আরজেডির ৬ এবং সিপিএমের ৫।