পড়শি রাজ্যে শিক্ষকদের জন্য নয়া পে স্কেলের ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সেই পে স্কেল এবং নয়া নিয়মে সন্তুষ্ট নন শিক্ষকরা। এই আবহে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিলেন শিক্ষকরা।
1/5 ঠিক কী দাবি আন্দোলনরত শিক্ষকদের? ২০০৬ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বদল করেছে সরকার। এরপর থেকে শিক্ষকদের পদোন্নতি হয়নি। নয়া নিয়মেও এর কোনও উল্লেখ নেই। এই আবহে মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন প্রসাদ সিং বলেন, 'আগে বিহারের শিক্ষকরা সরকারি কর্মী ছিলেন। তাঁদের মান-সম্মান ছিল। তবে ২০০৬ সাল থেকে শিক্ষকদের অপমান করা হয়েছে এই রাজ্যে। ২০০৬ সালে নিযুক্ত শিক্ষকরা ১৬ বছর ধরে চাকরি করলেও তাঁদের পদোন্নতি হয়নি।'
2/5 প্রসঙ্গত, সরকারি শিক্ষকদের নতুন পে স্কেল কার্যকর করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিল বিহার সরকার। এই আবহে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে ১.৭৮ লাখ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, তাঁদের জন্য নতুন পে স্কেল কার্যকর করা হবে। বর্তমানে যে ৩ লাখ সরকারি শিক্ষক পঞ্চায়িত রাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের থেকে অনেকটা বেশি বেতন পাবেন বিপিএসসি-র মাধ্যমে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা।
3/5 এদিকে পুরনো যে পে স্কেলের সুপারিশ করা হয়েছিল, তার থেকে কম বেতন পাবেন বিপিএসসি-র মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকরা। বর্তমানে সেরাজ্যে ৬০ হাজার সরকারি স্কুলের শিক্ষক পুরনো পে স্কেলের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন। তবে এই ক্যাডারে ২০০৬ সাল থেকেই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না।
4/5 নয়া সুপারিশ অনুযায়ী, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষকদের বেসিক বেতন হবে ২৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ডিএ, এইচআরএ, মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন প্রায় ৩৮ হাজার টাকা হবে। এদিকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষকদের জন্য বেসিক বেতন ২৮ হাজার টাকা হবে। তবে মোট বেতন প্রায় ৪২ হাজার টাকা হবে।
5/5 এদিকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকদের বেসিক বেতন হবে ৩১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ডিএ, এইচআরএ, মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন প্রায় ৪৬ হাজার টাকা হবে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষদের বেসিক বেতন হবে ৩২ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ডিএ, এইচআরএ, মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন প্রায় ৪৮ হাজার টাকা হবে।