অনেক সময়ই যাত্রা পথে ঋতুস্রাব শুরু হলে সমস্যায় পড়েন মহিলা যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে শপিং মলেও এই সমস্যায় পড়তে হয় অনেককে। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের খুব কম সংখ্যক পাবলিক প্লেসেই বসানো রয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন। তবে এবার কলকাতার এক পেট্রোল পাম্পে বসল এই ধরনের মেশিন।
1/5 কলকাতার বাঁশদ্রোণীর পেট্রোল পাম্পে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসানোর পরিকল্পনা শোভন মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, তিনি কোথাও বাসে করে যাচ্ছিলন। সেই সময় মহিলা যাত্রীদের প্রয়োজনে একাধিকবার পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়েছিল বাসটি। সেখানের শৌচাগার ব্যবহার করেন সেই মহিলারা। এর থেকেই শোভনবাবু বোঝেন যে ঋতুস্রাবের কারণে এই বিরতি। সঙ্গে তাঁর মাথায় এটাও খেলে যায় যে এই ধরনের পরিস্থিতিতে মহিলাদের সাহায্য করতে পারে পেট্রোল পাম্পগুলি।
2/5 এই ভাবনা থেকেই পরিকল্পনা। আর গত বুধবার তা বাস্তবায়িত হল কলকাতায়। গত পরশু বাঁশদ্রোণীর একটি পেট্রল পাম্পের শৌচাগারে ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে এই প্রথম কোনও পেট্রোল পাম্পে স্যানিটারি প্যাডের ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে।
3/5 জানা গিয়েছে, মহিলা শৌচাগারে বসানো হয়েছে এই ভেন্ডিং মেশিন। মেশিন থেকে ন্যাপকিন পেতে মাত্র পাঁচ টাকা খরচ করতে হবে। জানা গিয়েছে, শোভনবাবু নিজে বাঁশদ্রোণী এলাকারই বাসিন্দা। তাঁর এলাকাতেই অবস্থিত একটি হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের পাম্পে গিয়ে তিনি ভেন্ডিং মেশিন বসানোর বিষয়টি উত্থাপিত করেছিলেন। তা থেকেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়।
4/5 জানা গিয়েছে, বাঁশদ্রোণীর সংশ্লিষ্ট পেট্রোল পাম্পটির মালিক শালিনী সেনকে সম্প্রতিই এই স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন শোভনবাবু। আর তার ক'দিনের মধ্যে বুধবারই নিজের পাম্পের শৌচাগারে ন্যাপকিনের জন্য ভেন্ডিং মেশিন বসান শালিনীদেবী। শালিনীদেবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভেন্ডিং মেশিন বসানোর জন্য এইচপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে একদিনের মধ্যে তারা সবুজ সংকেত দেন।