সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনাল ছিল রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর)। ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। এই শিরোপা জয়ের ফলে লঙ্কা ব্রিগেডের পুরস্কার মূল্য কত জানেনন? রানার্স আপ পাকিস্তানই বা কত টাকা পেল? জানলে চোখ কপালে উঠবে।
1/6যদিও এই টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে খেলা হয়েছে। তবে এর আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। এমনকী যে দলটিকে টুর্নামেন্টের আগে শিরোপার দাবীদার হিসেবে বিবেচনাই করা হয়নি, বাস্তবে এই দলটিই শিরোপা জিতেছে। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে লড়াই করে ক্লান্ত শ্রীলঙ্কাকে কিছুটা হলেও উচ্ছ্বসিত করল তাদের ক্রিকেট টিম। সেই সঙ্গে তারা মোটা অঙ্কের পুরস্কারও পেয়েছে।
2/6আসলে, শ্রীলঙ্কা দল ২০২২ সালের এশিয়া কাপের বিজয়ী হওয়ার পর প্রায় ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা পেয়েছে। শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক দাসুন শানাকার হাতে ১.৫ লাখ ডলারের চেক তুলে দেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি রানার্স আপ পাকিস্তান আবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) থেকে প্রাইজমানি হিসাবে প্রায় ৭৯ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা (৭৫ হাজার ডলার) পেয়েছে।
3/6অর্থের বৃষ্টি শুধু দলের জন্যই নয়, পুরো টুর্নামেন্টে এবং ফাইনালে খেলা সেরা প্লেয়ারের উপরেও হয়েছে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা প্রায় ১২ লক্ষ টাকা (১৫ হাজার ডলার) পেয়েছেন। এ ছাড়া ফাইনাল ম্যাচে সেরা প্লেয়ারের পুরস্কার জেতা ভানুকা রাজাপক্ষে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা (৫ হাজার ডলার) পেয়েছেন।
4/6শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২২ এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ভানুকা রাজাপক্ষের ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১৭০ রান করে শ্রীলঙ্কা।
5/6১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তান দল ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় এবং ম্যাচটি ২৩ রানে হেরে যায় তারা। পাকিস্তান এই মরসুমে তিনটি পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে, যার মধ্যে শ্রীলঙ্কার কাছে হারল দু'বার।
6/6শুরুতেই আফগানিস্তানের কাছে হার। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয়। সুপার ফোরে তারা হারায় আফগানিস্তান, ভারত এবং পাকিস্তানকে। তার আগে গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশকে পরাজিত করেছিলেন দাসুন শনাকারা। অন্যদিকে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে হার দিয়ে অভিযান শুরু করে। পরে হংকংকে হারিয়ে সুপার ফোরে প্রবেশ করে তারা। সুপার ফোরে ভারত এবং আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন বাবর আজমরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য খেতাবি লড়াইয়ে বাবর আজমদের পরাস্ত করে শ্রীলঙ্কা।