Govt Employees on 6th Pay Commission DA Case: মহার্ঘ ভাতা বা ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স (ডিএ) ফের জয় পেলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্য সরকার যে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল, তা বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারি কর্মচারীরা। কী বললেন তাঁরা, তা দেখে নিন -
1/6 সহযোগিতার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার। তাই এবার থেকে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) ‘সার্বিকভাবে রাজ্য সরকারের বিরোধিতার’ পথে হাঁটতে চলেছেন সরকারি কর্মচারীরা। এমনই মন্তব্য করলেন কনফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি শ্যামল মিত্র। তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা করব না।’ (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসুবক)
2/6 বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে ডিএ মামলায় আবারও জয় হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের। খারিজ হয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশনের আর্জি। অর্থাৎ গত ২০ মে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটাই বহাল থাকছে। হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স (ডিএ) মিটিয়ে দিতে হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)
3/6 সেই রায়ের পর হাইকোর্টের বাইরে কনফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি বলেন, ‘(ডিএ মামলায়) আমরা জিতব। সরকারি কর্মচারীরা জিতবেন এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সমস্ত পাওনা-গণ্ডা তথা মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার। পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় ৩৪ শতাংশ এবং ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ৩৫ শতাংশ বকেয়া-সহ মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে বাধ্য হবে (রাজ্য সরকার)।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক)
4/6 তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে একটা কথা বলি। এর আগে, গত ২০ মে (কলকাতা হাইকোর্টের) রায়ের পরও আমরা অত্যন্ত বিনীতভাবে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছিলাম, আমি নিজে মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবকে চিঠি দিয়ে বলেছিলাম, আমরা রাজ্য সরকারকে সার্বিকভাবে সহায়তা করতে রাজি, আপনারা ডিএয়ের রায় কার্যকর করুন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল যে সরকারি কর্মচারীদের সহযোগিতার মনোভাব বোঝে না রাজ্য সরকার।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
5/6 কনফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি জানিয়ে দেন, ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের আর কোনওরকম সহযোগিতা করা হবে না। একবারে বিরোধিতার নীতিতে হাঁটবেন সরকারি কর্মচারীরা। তিনি বলেন, 'এরপর থেকে আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সার্বিক বিরোধিতার নীতিতে যাচ্ছি। সরকারের সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা করব না।’ (ছবিটি প্রতীকী)
6/6 তিনি আরও বলেন, 'অবশ্যই রাস্তা নামব। অল্প কয়েকদিন আগেই আমরা এবং রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি একটা দু'ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলাম। এই কলকাতা হাইকোর্টেই ঐতিহাসিক কর্মবিরতি হয়েছে। অন্যান্য রাজ্য সরকারি দফতর বা অফিসেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল কর্মবিরতি। সরকারি কর্মচারীদের মনোভাব আমরা বুঝে গিয়েছি। এবার শুধু আইনি লড়াই নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের থেকে আমরা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নায্য দাবি ছিনিয়ে আনব। আদায় করেই ছাড়ব।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক এবং ব্লুমবার্গ)