রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী জয়ব্রত। মন্ত্রী এবং কাউন্সিলরের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন জয়ব্রতবাবু। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন নন্দিনী।
1/5 বিধাননগর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন নন্দিনী। নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন এই তৃণমূল নেত্রী। এমনকী তিনি এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
2/5 নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জয়ব্রতর সঙ্গে আমার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান বিধাননগরের কাউন্সিলর। যদিও এর আগে জয়ব্রতবাবু দাবি করেছিলেন, তিনিই স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার। সাম্প্রতিককালে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলারও সুযোগ পেতেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
3/5 সংবাদমাধ্যমে নন্দিনী এই বিষয়ে বলেন, 'আমাকে এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে ভিডিয়োয় যা যা বলা হয়েছে, তার পুরোটাই ভুল। একজন মহিলাকে অসম্মান করা হয়েছে সেই ভিডিয়োতে। এটা (বিবাহ বিচ্ছেদের) এখন আইনের বিষয়। কোর্টে বিচারাধীন। আর তাঁর ভুলভাল ভিডিয়োর বিরুদ্ধেও আমি আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। একজন মহিলাকে অসম্মান করেছেন তিনি।' এদিকে নন্দিনী দাবি করেন, জ্যোতিপ্রিয় এবং তিনি একসঙ্গে জেলায় রাজনীতি করেন। তাঁদের সম্পর্ক নাকি শুধু সেটুকুই।
4/5 এর আগে স্ত্রীর নির্যাতন সইতে না পেরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছিলেন নন্দিনীর স্বামী জয়ব্রত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়োয় জয়ব্রতবাবু দাবি করেছিলেন, ১৯৯৪ সালে বিয়ে হয়েছিল তাঁর আর নন্দিনীর। ২০১৭ সালে তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর কল্যাণীতে থাকতে শুরু করেন তিনি। এর আগে তিনি বাগুইআটিতে থাকতেন। আর সেই সময় থেকেই নাকি নন্দিনীর সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
5/5 জয়ব্রতবাবুর দাবি, ২০১৭ সালে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিলেন নন্দিনী। তার পর ২০২১ সালে পুরসভা নির্বাচনের টিকিট পান তিনি। এর পর থেকে তাঁর চালচলনও নাকি বদলে গিয়েছিল। নতুন ফ্ল্যাট কিনে অন্যত্র চলে যান স্ত্রী। ফ্ল্যাট কেনার টাকা কোথা থেকে পেলেন তা অবশ্য তিনি জানেন না বলে দাবি করেন জয়ব্রতবাবু। এমনকী তাঁর সঙ্গে নাকি নন্দিনী চরম দুর্ব্যবহার করেন কাউন্সিলর হওয়ার পরে। এরপর নাকি তাঁর নামেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নন্দিনী।