গত কয়েক বছরে আয়কর ও সঞ্চয়ের ওপর কর ছাড় সংক্রান্ত কোনও বড় ঘোষণা করেনি সরকার। বাজেট পেশে চাকরিজীবীদের বারবার হতাশ করেছে সরকার। দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের ঘাটতি, ব্যাঙ্ক ঋণের হার বৃদ্ধি ও ইএমআই-এর কারণে মানুষের সমস্যা বেড়েছে। এই সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩ পেশ করতে হবে।
1/5এই বাজেট মোদী সরকারের শেষ পূর্ণ বাজেট। কারণ আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় দেশে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এমতাবস্থায় এবারের বাজেট 'পপুলিস্ট' হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। করদাতা, চাকরিজীবী এবং মধ্যবিত্তদের জন্য এই বাজেটে অবশ্যই কিছু ঘোষণা করা হবে। করদাতারা 80C এর অধীনে উপলব্ধ ছাড় বাড়ানোর দাবি করছেন। পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কে করমুক্ত করার দাবি করছেন চাকরিজীবীরা।
2/5১ ফেব্রুয়ারি পেশ করা বাজেটে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অর্থমন্ত্রী বড় বড় ঘোষণা করতে পারেন বলে অধিকাংশ মানুষ আশা করছেন। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে পিপিএফ নিয়ে কেন্দ্র 'উপহার' দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়ার (ICAI) পাঠানো সুপারিশগুলির মধ্যে পিপিএফ সংক্রান্ত দাবিদাওয়া ছিল বলে জানা গিয়েছে।
3/5পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) হল ভারতে অর্থ সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের অন্যতম জনপ্রিয় বিকল্প। এতে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য, অর্থাৎ ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যায়। এতে বিনিয়োগকারীরা অবসর গ্রহণের পরে একসঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা পান হাতে। এখন আপনি দেড় লক্ষ টাকা করে বছরে বিনিয়োগ করতে পারেন। সরকার এর উপর সুদের হার নির্ধারণ করে থাকে। বর্তমানে এই স্কিমে বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হারে সুদ মিলছে।
4/5এই আবহে আইসিএআই-এর তরফে পিপিএফ-এ বার্ষিক সীমা ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে। কর্মরত, মধ্যবিত্ত এবং ব্যবসায়ীরা পিপিএফ-এ যাতে আরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন, তার জন্যই এই সুপারিশ। সরকার যদি পিপিএ-র সীমা বাড়ানোর ঘোষণা করে তাহলে চাকরিজীবীরা অনেকটাই স্বস্তি পাবেন।
5/5আইসিএআই-এর পাঠানো পরামর্শগুলিতে বলা হয়েছিল যে পিপিএফ-এ বিনিয়োগের সীমা বাড়ানো দরকার। কারণ এটি সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগের স্কিম এবং কর বাঁচানোর অন্যতম ভালো উপায়। আইসিএআই আরও দাবি জানিয়েছে, বাজেটে হাউস ইন্স্যুরেন্স, ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স, ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বিমা ইত্যাদির জন্যও প্রিমিয়ামের উপর আলাদা ট্যাক্স ছাড় দেওয়া উচিত সরকারের।