বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > পঞ্চমে মেলোডি, জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা সুরসাধক আরডি বর্মনকে
পঞ্চমে মেলোডি, জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা সুরসাধক আরডি বর্মনকে Updated: 27 Jun 2021, 11:27 AM IST Priyanka Bose আর ডি বর্মন মানে যেমন এক মুঠো ঝলমলে উচ্ছ্বাস তেমনই আর ডি বর্মন মানে সংযম। যা কৃতি সুরকারের অন্যতম পরিচয়। মেলোডিকে ছাপিয়ে কোনও দিন কোনও কম্প্রোমাইজ তিনি করেননি। 1/12 আজ, ২৭ জুন, রাহুলদেব বর্মনের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী। এমন দিনে এই কিংবদন্তী মিউজিশিয়ান যাঁকে আমরা ‘এক্স’ ফ্যাক্টর দিয়ে চিনি। বাড়তি দক্ষতাই আর ডি-কে শুধু সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে নয়, ভারতীয় সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র জগতের এক অসামান্য এবং অবশ্যই অপ্রতিদ্বন্দ্বী স্রষ্টার মর্যাদা এনে দিয়েছিল। 2/12 শচীনদেব বর্মনের একমাত্র ছেলে রাহুলদেব বর্মন। পঞ্চম’ নামেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তিনি। ‘পঞ্চম’ নামটি তাঁকে দিয়েছিলেন অভিনেতা অশোক কুমার। মাত্র ন’বছর বয়সে তিনি প্রথম গান তৈরি করে ফেলেছিলেন। 3/12 শুধু গান তৈরি নয়, ভারতীয় সঙ্গীত জগতে সুর, ছন্দ, যন্ত্র নিয়ে যে বিচিত্র পরীক্ষানিরীক্ষা করে গেছেন তাঁর অসাধারণ সাফল্যের কোনো তুলনা নেই। নিজের ‘এক্স’ ফ্যাক্টরগুলির জন্যই তিনি আরো বেশি সকলের থেকে আলাদা। 4/12 ‘হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা’ গানটি কম্পোজ করেছিলেন শচীনদেব বর্মন। সেই গানে নিজে হারমনিকা বাজিয়েছিলেন তিনি। 5/12 দেশে তিনিই প্রথম ইলেকট্রনিক অর্গানের সঙ্গে ভারতীয় চলচ্চিত্রের শ্রোতা ও দর্শককে পরিচয় করিয়েছিলেন। ‘ও মেরে সোনা রে’ গানটি রক মিউজিকের আঙ্গিকে বলিউড গান তৈরি করেছিলেন আরডি বর্মন। 6/12 চেলো ও বাজ গিটারের সুর তাঁর কাছেই প্রথম শুনেছি আমরা। পশ্চিমি, লাতিন, আরবি ঘরানার মিউজিক ব্যবহার করার জন্য বিদেশ থেকে বহু বাদ্যযন্ত্র আনিয়েছিলেন পঞ্চম। কাচের গ্লাসে চামচ ঠুকেই নাকি ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিলকো’-র মিউজিক কম্পোজ করে ফেলেন। 7/12 কিতাব’-ছবিতে ‘মাস্টারজি কি আ গয়ি চিঠ্ঠি’-গানে ডেস্ক বাজিয়ে রেকর্ডিং করিয়েছিলেন পঞ্চম। ‘ও মাঝি রে’ গানে জল ভর্তি বোতলের শব্দ ব্যবহার রেকর্ডিং করেছিলেন। 8/12 বৃষ্টি খুব ভালবাসতেন। বৃষ্টি খুব ভালবাসতেন আরডি বর্মন। একবার একটি গানে খালি বোতলে ফুঁ দিয়ে হলো সাউন্ড তৈরি করেছিলেন আরডি। নিজের জীবনের বহু ঘটনা থেকেও পেশাদার জগতের গান বেঁধেছেন আরডি। 9/12 তাঁর প্রথম স্ত্রী রিতা প্যাটেলের সঙ্গে দার্জিলিঙে আলাপ। বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে একদিন পঞ্চমের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যান। ১৯৬৬-তে বিয়ে। যদিও ৭১-এ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিবাহ-বিচ্ছেদের পরের বছর ‘পরিচয়’ ছবির জন্য ‘মুসাফির হুঁ ইয়ারো’ গানটি লিখেছিলেন পঞ্চম। 10/12 ‘সনম তেরি কসম’ ছবির গান রিহার্সালের সময় নিশা নামে এক কোরাস শিল্পী ঢুকতেই তিনি মজা করে বলেছিলেন, ‘নিশা আহা হা আহা হা’। সেই শব্দগুলোই পরে তিনি গানে ব্যবহার করে সুপারহিট গান বানিয়েছিলেন। 11/12 ছবিতেও অভিনয় করেছেন আর ডি। অভিনয় করেছিলেন ‘ভূত বাংলা’ ও ‘প্যায়ার কা মৌসম’ ছবিতে। রিয়্যালিটি শো থেকে অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি, আজও তাঁর গানেই রেডিও স্টেশনগুলোর শো শুরু হয়। 12/12 ‘বচ না অ্যায় হাসিনো’, ‘দম মারো দম’, ‘গুলাবি আঁখে জো তেরি দেখি’ মতো গান যা বর্তমানে রিমিক্সেও সেরা। এসব গানের সৃষ্টি তো পঞ্চমেরই হাতে। প্রায় ৩৩১টি ছনির জন্য গান কম্পোজ করেছেন তিনি।