বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Winter disease: ঠান্ডা পড়ছে, কোন রোগগুলি সম্পর্কে এখন থেকে সাবধান হতেই হবে
Winter disease: ঠান্ডা পড়ছে, কোন রোগগুলি সম্পর্কে এখন থেকে সাবধান হতেই হবে Updated: 06 Dec 2022, 07:30 AM IST Sanket Dhar Winter disease symptoms and treatment: শীতে ফুসফুস থেকে ত্বকের বিভিন্ন রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা দেয়। এই রোগগুলোর লক্ষণ জানা থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার আগেই ব্য়বস্থা নেওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে তেমন কয়েকটি রোগের লক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত রইল। 1/11 শীতকাল আসলেই জ্বর থেকে সর্দি কাশির বাড়বাড়ন্ত দেখা দিতে থাকে। গত দুই বছর ধরে এর সঙ্গ দিচ্ছে কোভিডের মারণ উপসর্গ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সময় এখন আগের তুলনায় বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। একটু অসাবধান হলেই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও এই নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 2/11 শীতকালে অ্যাজমা থেকে নিউমোনিয়া ফুসফুসের বেশ কিছু মারাত্মক রোগের বাড়াবাড়ি হতে পারে। এই প্রতিটি রোগেরই কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে। লক্ষণগুলো দেখলেই রোগটিকে চেনা সম্ভব। অনেকসময় সর্দি কাশির জন্য আমরা চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাড়িতেই সেরে ওঠার অপেক্ষা করি। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই লক্ষণগুলো দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। 3/11 ইনফ্লুয়েঞ্জা: প্রতি বছরই এই রোগে বড় সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হন। এটি প্রতিরোধে প্রতি বছর নতুন টীকাও তৈরি করে বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। গায়ে ব্যথা, জ্বর, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, শুকনো কাশি, নাক থেকে জল পড়া, গলা ব্যথা এই রোগের লক্ষণ। 4/11 সর্দিকাশি: ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এই রোগটিও খুব সাধারণ। হালকা ঠান্ডা লাগা থেকে বুকে কফ জমা এর লক্ষণ। এছাড়া, নাক থেকে জল পড়া, গলা ব্যথা ও মাথা ব্য়থার মতো লক্ষণও দেখা যায়। 5/11 অ্যাজমা: সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা শীতে আরও সমস্যায় পড়েন। দেখা গিয়েছে, অ্যালার্জির কারণে এই সমস্যার বাড়বাড়ন্ত হয়। শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা এই রোগের প্রধান লক্ষণ। 6/11 নিউমোনিয়া: সাধারণত ব্য়াকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে এই ফুসফুসের রোগ হয়। এই রোগে ফুসফুসের মধ্যে থাকা ক্ষুদ্র বায়ুপূর্ণ থলিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হলুদ বা সবুজ কফ, বুকে ব্যথা, প্রচন্ড জ্বর ও ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া এই রোগের প্রধান লক্ষণ। 7/11 গলা ব্যথা: ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা এই সময়ের অন্যতম সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ কাশি হলে তার থেকে এমনটা হতে পারে। এছাড়া ঠান্ডা লেগে টনসিল ফুলে যায়। এই সময় খাবার গিলতে বা চিবোতে সমস্যা হয়। 8/11 গ্যাস্ট্রোএনটেরেটিস: শীতকালে পেটের সমস্যাও দেখা দেয়। এই রোগের সাধারণ নাম স্টম্য়াক ফ্লু। এই রোগে অন্ত্রে প্রদাহ হয়। জ্বর, পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি হওয়া এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। 9/11 শীতকালে বাতাসে ধুলোবালির পরামাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। এর মূল কারণ হল বাতাসের ঘনত্ব কমে যাওয়া। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এমনটা হয়। এই সময়, অ্যালার্জিরও বাড়বাড়ন্ত দেখা দেয়। অ্যালার্জি হলে অনবরত হাঁচি হতে থাকে। এছাড়াও ত্বকে র্যাশ দেখা দিতে থাকে। চিকিৎসা না করানো পর্যন্ত এটি কমে না। 10/11 শুষ্ক ত্বক: শুধু ফুসফুস নয়, এই সময় ত্বকেরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা অনেকটাই কমে যায়। এর ফলে চুলকানি, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, লাল লাল ছোপ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। 11/11 এগজিমা: ত্বকের শুষ্কতা থেকেই এই রোগ হয়। লক্ষণ হিসেবে ত্বকে র্যাশ বেরোয়। এর থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।