বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > World Trade Center in Kolkata MoU: ১৫০০ কোটির বিনিয়োগ, কলকাতায় তৈরি হবে ৩৫ লাখ বর্গ ফুটের 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার'
World Trade Center in Kolkata MoU: ১৫০০ কোটির বিনিয়োগ, কলকাতায় তৈরি হবে ৩৫ লাখ বর্গ ফুটের 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার' Updated: 20 Mar 2023, 03:32 PM IST Abhijit Chowdhury এবার কলকাতাতেই তৈরি হবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এই ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো মঙ্গলেই নবান্নে মউ স্বাক্ষর হবে এই নিয়ে। মার্কিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারেরই একটি শাখা খুলতে চলেছে কলকাতায়। মমতা দাবি, এই শাখা অফিস খোলা হলে, পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যে সুযোগ বাড়বে আরও। 1/5 ২০১১ সালে সরকারে আসার পর থেকেই কলকাতার 'রূপ' বদল করার কথা বলে এসেছেন মমতা। শহরকে লন্ডনের মতো সাজিয়ে তুলতে চেয়েছেন। পাশাপাশি করতে চেয়েছেন শিল্পায়ন। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি জানান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার' মহানগরে একটি শাখা অফিস খুলতে চলেছে এবং এই বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষরিত হবে। ৩৫ লক্ষ বর্গ ফুট জমিতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারটি তৈরি হবে। এই কাজে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। 2/5 বিধানসভা অধিবেশন শেষ হওয়ার পর সোমবার নিজের ঘরে বসে সাংবাদিকদের মমতা জানান, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের এক প্রতিনিধিদল আগামী ২১ মার্চ কলকাতায় আসতে চলেছে। কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার তৈরি হলে রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি মমতার আশা, এই সেন্টারের ফলে বাংলায় পা রাখবে বড় বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলি। বাণিজ্যিক দিক দিয়ে বাংলা আরও এগিয়ে যাবে। 3/5 প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১ অগস্ট মুম্বইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মুম্বইতে বসেছিল বাণিজ্য সম্মেলন। ওই সম্মেলনেই কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার গড়ার প্রস্তাব দেন সেন্টারের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, নিউটাউনের সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্টে ওই প্রকল্পের জন্য চার একর জমি দিতে রাজি রয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানই গড়ে উঠবে এই সেন্টার। 4/5 উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার অ্যাসোসিয়েশন একটি বৈশ্বিক বানিজ্য সংস্থা। এর সদর দফতর নিউ ইয়র্কে অবস্থিত। বর্তমানে ১০০টিরও বেশি দেশে ৩৩০টিরও বেশি শাখা রয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের। এই আবহে পূর্ব ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের প্রথম শাখা খুলতে চলেছে। এই আবহে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরও মজবুত হবে বাকি দেশ ও বিশ্বের। 5/5 উল্লেখ্য, বাম জমানায় পশ্চিমবঙ্গে শ্রমিক আন্দোলনের জেরে সেভাবে বিনিয়োগ আসেনি। পরে অবশ্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময়কালে পরিস্থিতি বদলায়। তবে রাজনৈতিক কারণে সেই সময় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ে তিনি যখন সরকারে আসেন, তখন তাঁর একটি 'বাণিজ্য বিরোধী' ভাবমূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তবে সরকারে আসার পর থেকেই বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছরই বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলনের আয়োজন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যে শুধু খাতায় কলমেই বিনিয়োগ আসছে। আদতে বাণিজ্যি কভাবে এগোচ্ছে না রাজ্য। তবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নিয়ে আশাবাদী মমতা।