হার বাঁচানো সম্ভব হল না। তবে শিখর ধাওয়ান ও হার্দিক পান্ডিয়ার লড়াকু পার্টনারশিপে মান বাঁচল টিম ইন্ডিয়ার। দুই তারকার অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদেই অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে তিনশোর গণ্ডি পার করল ভারত।
সিডনিতে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৭৪ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। দলের হয়ে জোড়া শতরান করেন অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভ স্মিথ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান তোলে। দীর্ঘ ৯ মাস পরে মাঠে ফিরে টিম ইন্ডিয়া ৬৬ রানের ব্যবধানে হার মানে অজিদের কাছে।
জিততে হলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রান তাড়া করার রেকর্ড গড়তে হতো ভারতকে। অস্ট্রেলিয়ায় সবথেকে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে অজিদের নামেই। ২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে ৩৩৪ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পরে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩৩১ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। তবে এবার লক্ষ্য ছিল ৩৭৫ রানের।
ঘাড়ের উপর পাহাড়প্রমাণ রানের বোঝা নিয়ে পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত একসময় ১০১ রানের মধ্যে মায়াঙ্ক আগরওয়াল (২২), বিরাট কোহলি (২১), শ্রেয়স আইয়ার (২) ও লোকেশ রাহুলের (১২) উইকেট হারিয়ে বসে। এই অবস্থায় অল্প রানে ধসে পড়তে পারত ভারতের ইনিংস। তবে সেটা হতে দেয়নি ধাওয়ান-পান্ডিয়া জুটি।
পঞ্চম উইকেটের জুটিতে দু'জনে মিলে ১২৮ রান যোগ করেন। তবে শিখর ৭৪ রান করে আউট হওয়ার পরেই ধাক্কা খায় ভারতের রান তাড়া করে জয়ের স্বপ্ন। ধাওয়ান ৮৬ বলের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি মারেন।
পান্ডিয়া আউট হন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯০ রান রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে। ৭৬ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা ২৫, সাইনি অপরাজিত ২৯ ও শামি ১৩ রান করেন। অ্যাডম জাম্পা ৪টি এবং জোস হ্যাজেলউড ৩টি উইকেট নেন।
তার আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ার্নার ৬৯, ফিঞ্চ ১১৪, স্মিথ ১০৫ ও ম্যাক্সওয়েল ৪৫ রান করেন। শামি ৩টি উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন স্মিথ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।