শুভব্রত মুখার্জি
স্লেজিং হোক বা মাইন্ড গেম - তাতে বেশ পারদর্শী অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। প্রাক্তন হোক বা বর্তমান কেউ পিছিয়ে নেই এই কাজে। সিরিজ শুরুর আগেই ভারতীয়দের উপর চাপ বাড়াতে প্রথম এই মানসিক চাপ তৈরির খেলা শুরু করেন প্রাক্তন পেসার জেসন গিলেসপি। এবার সেই খেলায় যোগদান করলেন স্টিভ স্মিথ।
ভারতীয় দলের পেসারদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন বাউন্সার দিলে ভারতের লাভ তো কিছু হবে না, বরং অস্ট্রেলিয়ারই লাভ বলে জানালেন তিনি।
২০১৮-১৯ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ায় ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত। যে জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ভারতীয় পেসারপা। যশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামি ও ইশান্ত শর্মা এই তিন পেসারের বোলিংয়ে চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় পেসাররা নিয়েছিলেন মোট ৫১টি উইকেট। ফলে আসন্ন সিরিজেও বুমরাহদের উপর রয়েছে প্রত্যাশা। তাই তাঁদেরকেই টার্গেট করে মনস্তাত্ত্বিক চাপে ফেলার চেষ্টা শুরু করলেন স্মিথ।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা বাউন্সারের কতটা নাস্তানাবুদ হন, তা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে প্রমাণিত হয়েছে। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার , মার্নাস লাবুশানে— তিন ব্যাটসম্যানকে মিলিয়ে টেস্ট সিরিজে মোট ১০ বার আউট করেছিলেন কিউয়ি বাঁ-হাতি পেসার নিল নীল ওয়্যাগনার। বারবার পরীক্ষিত হয়েছে স্মিথের ব্যাটিং টেকনিক। চারবার তিনি আউট হয়েছিলেন ওয়াগনারের শর্টপিচ ডেলিভারিতে। তবে সিরিজে তিন টেস্টে স্মিথের গড় ছিল ৪২.৮০।
স্মিথ বলেন, 'আমি পরিস্থিতি বুঝে সেই মতো খেলি। বিপক্ষ কীভাবে আউট করার চেষ্টা করছে, তা বুঝে খেলার চেষ্টা করি। আমাকে বাউন্সার অনেক দলই করেছে। ওয়াগনারের মতো সাফল্য কেউ পায়নি । ওর বোলিং মানেই মাথা ও পাঁজর লক্ষ্য করে বোলিং। বাউন্সার দিয়ে আমাকে আউটের চেষ্টা করলে তাতে উলটে আমার দলেরই লাভ। ক্রমাগত শর্টপিচ বল করলে শরীরে প্রচুর ধকল পড়ে। জীবনে প্রচুর শর্টপিচ বল খেলেছি। খুব বেশি সমস্যায় পড়িনি। দেখা যাক কী হয়।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।