বিপিএলে মারকাটারি ক্রিকেটের সাক্ষী থাকলেন বাংলাদেশে ক্রীড়াপ্রেমীরা। চার-ছক্কায় এমন ধুমধাড়াক্কা টি-২০ ম্য়াচে নিশ্চিতভাবেই পয়সা উসুল মনোরঞ্জন হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের।
ম্যাচে ২ উইকেটে ২১০ রানের বিশাল ইনিংস গড়েও হারের মুখ দেখতে হয় খুলনা টাইগার্সকে। ১০ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে ২১৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সুতরাং, ম্য়াচের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪২৩ রান ওঠে। দু'দলের তিনজন ব্যাটসম্যান হাফ-সেঞ্চুরি করেন। বরং বলা ভালো যে, তিনজন ব্যাটার নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন। সেঞ্চুরি করেন একজন।
খুলনার হয়ে ৯৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। ৬১ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন শাই হোপ ৫৫ বলে ৯১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৫টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন। ১ রান করে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। ১২ রানে নট-আউট থাকেন আজম খান।
কুমিল্লার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। উইকেট পাননি মুস্তাফিজুর রহমান।
পরে কুমিল্লার হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শতরান করেন জনসন চার্লস। তিনি ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫৬ বলের ধ্বংসাত্মক ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ১১টি ছক্কা মারেন। মহম্মদ রিজওয়ান টানা ২টি ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। বিপিএলের শেষ চারটি ইনিংসে এটি তাঁর তৃতীয় অর্ধশতরান। এই ম্যাচে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্য়ে ৩৯ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন পাক তারকা।
এছাড়া খুশদিল শাহ করেন ১২ রান। তবে খারাপ খবর হল, কুমিল্লার হয়ে ওপেন করতে নেমে চোট পান লিটন দাস। তিনি ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায় অবসৃত হন।
ম্যাচে মোট ২৭টি ছক্কা দেখা যায়। খুলনার ব্যাটসম্যানরা মোট ১২টি ছক্কা মারেন। কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা মারেন ১৫টি ছক্কা। এই জয়ের পরে কুমিল্লা ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শাকিব আল হাসানের বরিশাল ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।