ওপেনিং জুটিতে ১২৪ রান তুলে ফেলে মধ্যাঞ্চল। একসময় ৩ উইকেটে তাদের স্কোর ছিল ১৬৪ রান। সেখান থেকে হঠাৎ করেই মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২৩৯ রানে। অর্থাৎ,৭৫ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে বসেন শিবম মাভিরা। ইশান পোড়েল ও শাহবাজ আহমেদের যুগলবন্দিই দলীপ ট্রফ্রির কোয়ার্টার ফাইনালে লড়াইয়ে ফেরায় পূর্বাঞ্চলকে।
যদিও মধ্যাঞ্চল শিবিরে মোক্ষম আঘাত হানেন রিয়ান পরাগ। তিনি সস্তায় সাজঘরে ফেরান ফর্মে থাকা রিঙ্কু সিংকে। প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে পূর্বাঞ্চলের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ঠিক ৩০০ রানের।
মধ্যাঞ্চলকে প্রথম ইনিংসে ১৮২ রানে বেঁধে রাখে অভিমন্যু ঈশ্বরনের নেতৃত্বাধীন পূর্বাঞ্চল দল। তবে পালটা ব্যাট করতে নেমে পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংস মাত্র ১২২ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৬০ রানের উল্লেখযোগ্য লিড নেয় মধ্যাঞ্চল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তুলে। হিমাংশু মন্ত্রী ২৫ ও বিবেক সিং ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে মধ্যাঞ্চলের দুই ওপেনার ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। শেষে বিবেক সিং ১২০ বলে ৫৬ রান করে ইশান পোড়েলের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
আরও পড়ুন:- ৫ ইনিংসে ৫০০ টপকে কোহলি-বাবরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস উইলিয়ামসের
অপর ওপেনার হিমাংশু ব্যক্তিগত ৬৮ রানের মাথায় শাহবাজ নদিমের বলে রিয়ান পরাগের হাতে ধরা পড়েন। ১৫৩ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার মারেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কুণাল চাণ্ডেলা ৫৯ বলে ১৪ রানের ঠুকঠুকে ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। তাঁকে এলবিডব্লিউ-র ফাঁদে জড়ান শাহবাজ আহমেদ।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শুভম শর্মা ৫৬ বলে ২৩ রান করেন। তিনিও আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রিঙ্কু সিং ৮ বলে ৬ রান করেন। ১টি চার মারেন তিনি। রিয়ানের বলে শান্তনু মিশ্রর হাতে ধরা পড়েন রিঙ্কু।
ইনিংসের ৬৯তম ওভারে পরপর ২ বলে উপেন্দ্র যাদব ও সৌরভ কুমারকে আউট করেন ইশান পোড়েল। ২৪ বলে ৭ রান করেন উপেন্দ্র। সরাংশ জৈনের সঙ্গে জুটি বেঁধে মধ্যাঞ্চলকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করান শিবম মাভি। শেষে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ বলে ৫ রান করে আহমেদের বলে অনুষ্টুপের হাতে ধরা পড়ে যান মধ্যাঞ্চলের ক্যাপ্টেন।
সরাংশ জৈন ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬০ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ১৬ রান করেন আবেশ খান। তাঁকে ফেরান শাহবাজ নদিম। ৬ বলে ১ রান করে রিয়ানের বলে বোল্ড হন যশ ঠাকুর।
দ্বিতীয় ইনিংসে পূর্বাঞ্চলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ইশান পোড়েল ও শাহবাজ আহমেদ। ২টি করে উইকেট দখল করেন শাহবাজ নদিম ও রিয়ান পরাগ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।