এ দিনের ম্যাচের জয়ের হাত ধরে আইএসএলে নিজেদের জায়গা কিছুটা মজবুত করল মোহনবাগান। ঘরের মাঠে হায়দরাবাদ এফসি-কে হারানোর পর এ বার বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সুুনীল ছেত্রীদের তারা হারাল। অ্যাওয়ে ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। ৮ ম্যাচে ৫টিতে জিতে ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে বাগান। তারা একটি ম্যাচ ড্র করেছে। ২টিতে হেরেছে।
এ দিকে বেঙ্গালুরু এই নিয়ে পাঁচ নম্বর ম্যাচে হারল। তারা আগের ম্যাচেই জয়ে ফিরেছিল। কিন্তু ঘরের মাঠে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল। ৮ ম্যাচে ২টি জয়, ৫টি পরাজয় এবং ১টি ড্র নিয়ে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে বেঙ্গালুরু এফসি। রয়েছে লিগ তালিকার নয় নম্বরে।
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজল- জয় ছিনিয়ে নিল বাগান
সুনীলদের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়লেন জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। পেত্রাতোসের একমাত্র গোলে জয় ছিনিয়ে নিল এটিকে মোহনবাগান। ঘরের মাঠের ম্যাচেও বেঙ্গালুরু খালি হাতেই ফিরল।
ইনজুরি টাইমে বাগানোর জোড়া পরিবর্তন
আশিকের জায়গায় নামলেন কিয়ান নাসিরি। আর হুগোর জায়গায় নামলেন লালরিনলিয়ানা হামতে।
৮৬ মিনিট: ক্রসবারে লাগল বেঙ্গালুরুর শিবশক্তি শট
শিবশক্তির শট ক্রসবারে লেগে ফিরল। এক চুলের জন্য মিস হল গোল। বেঙ্গালুরু সমতা ফেরাতে পারল না। বড় সুযোগ নষ্ট তাদের। বলটি একচুল নীচে থাকলেই নিশ্চিত গোল ছিল। ভাগ্য ভালো এটিকে মোহনবাগানের।
৮২ মিনিট: বেঙ্গালুরুর পরিবর্তন
প্রবীর দাসের পরিবর্তে নামলেন শিবশক্তি নারায়ণ।
৮০ মিনিট: দ্বিতীয়ার্ধে নিষ্প্রভ বেঙ্গালুরু
বিরতির পর থেকে বেঙ্গালুরুকে খুব একটা ভালো ছন্দে পাওয়া যায়নি। বরং মোহনবাগান খেলার রাশ ধীরে ধীরে নিজেদের হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে গোল হওয়ার পর, কোথায় মরিয়া হবে বেঙ্গালুরু, সেই আগ্রাসনটাই দেখা যায়নি। তবে রয় কৃষ্ণ কিছু গোলের ভালো সুযোগ নষ্ট করেছে। এর খেসারত না বেঙ্গালুরুকে হোম ম্যাচে বাগানের বিরুদ্ধে দিতে হয়।
৭৮ মিনিট: এটিকে মোহনবাগানের পরিবর্তন
লেনির জায়গায় নামলেন দীপক টাংরি।
৭৩ মিনিট: বেঙ্গালুরুর পরিবর্তন
সুনীল ছেত্রীকে তুলে নেওয়া হল। বদলে নামানো হল লিওন আগাস্টিনকে।
৬৬ মিনিট: গোওওওওওলললললললল- এগিয়ে গেল মোহনবাগান
দুরন্ত গোল পেত্রাতোসের। গুরপ্রীতকে কোনও সুযোগই দিলেন না। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডারের ভুল পাসের সুযোগ নিয়ে সেই বল ধরেই ১-০ এগিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান। তবে ব্যবধান না বড়ালে কিন্তু সমস্যা হতে পারে সবুজ-মেরুনের। কারণ গোলের জন্য মরিয়া বেঙ্গালুরু। যখন-তখন সমতা ফেরাতে পারে।
৫৫ মিনিট: এখনও খুলল না গোলের মুখ
কী করছে এটিকে মোহনবাগান! গোলের মুখ তারা খুলতে পারেনি এখনও। দ্বিতীয়ার্ধে তারা তুলনামূলক আক্রমণে বেশি উঠছে। তবে গোলের দেখা নেই। বেঙ্গালুরু হালও এক। তারাও গোলের মুখ খুুলতে পারছে না।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে কি গোলের মুখ খুলতে পারবে দুই দল। দেখার কী ফল হয় ম্যাচের শেষ পর্যন্ত!
প্রথমার্ধে ১ মিনিট ইনজুরি টাইম
গোটা ম্যাচে দুই দলের কেউই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। বেঙ্গালুরু আক্রমণাত্মক খেললেও, এটিকে মোহনবাগান কিছুটা চাপে। প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। ১ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
৩০ মিনিট- চাপে বাগান
সেই ভাবে খেলাটাই তৈরি করতে পারছে না এটিকে মোহনবাগান। সেই ঝাঁঝটাই যেন নেই বাগানের। অনেক বেশি আক্রমণে উঠছে বেঙ্গালুরু। তারা চাপেও রেখেছে সবুজ-মেরুনকে।
১৬ মিনিট- বেঙ্গালুরুর আক্রমণ
ফ্রি-কিক থেকে বলটি রয় কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে রাখেন সুনীল ছেত্রী। রয় বলটি ভালো ভাবে রিসিভও করেন। কিন্তু বল নিয়ে গোলের উদ্দেশ্যে ঢোকার সময়ে পা পিচ্ছলে পড়ে যান। রয় না পড়লে বাগানের কপালে দুঃখ ছিল। বাগানের এখনও পজিটিভ কোনও আক্রমণ দেখা যায়নি। চাপে রেখেছে বেঙ্গালুরু।
৬ মিনিট- হাভির মিস
কার্ল ম্যাকহিউয়ের থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে দুরন্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন হাভি হার্নান্ডেজ। অল্পের জন্য মিস। হাভি বলের কন্ট্রোল আর একটু রাখতে পারলেই, নিশ্চিত গোল ছিল।
খেলা শুরু
এটিকে মোহনবাগানের কাচে বড় চ্যালেঞ্জ, অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করার। আর সবুজ-মেরুনকে প্রথম বার হারিয়ে আইএসএলের লড়াইয়ে ফিরতে মরিয়া বেঙ্গালুরু।
বেঙ্গালুরুর প্রথম একাদশ
মোহনবাগানের প্রথম একাদশ
দ্বৈরথের ইতিহাস
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে গত দুই মরশুমে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট চার বার। তার মধ্যে তিন বারই জেতে এটিকে মোহনবাগান এবং একটি ম্যাচে ড্র হয়। শেষ বারের মুখোমুখিতে মনবীর সিং এবং লিস্টন কোলাসোর গোলে জেতে কলকাতার দল। গত মরশুমে এটি ছিল ফিরতি লিগের ম্যাচ।
বেঙ্গালুরুর হাল
নর্থইস্টের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে শুরু করলেও, দ্বিতীয় ম্যাচেই হোঁচট খান সুনীলরা। দ্বিতীয় ম্যাচ তারা ড্র করে। তার পর টানা চার ম্যাচে হেরে বসে থাকে বাগান ব্রিগেড। এই চারটি ম্যাচে একটিও গোল করতে পারেননি উদান্ত সিংরা। অবশেষে গোলের খরা কাটিয়ে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জয়ে ফিরলেও, এটিকে মোহনবাগানের মতো দলের বিরুদ্ধে কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সুনীল-রয় কৃষ্ণরা, সেটাই দেখার।
মোহনবাগানের হাল
যুবভারতীতে চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে ১-২ হার দিয়ে এ বারের লিগ অভিযান শুরু করলেও, তার পরের চার ম্যাচে অপরাজিত থাকে সবুজ-মেরুন বাহিনী। কোচিতে অস্ট্রেলিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দিমিত্রি পেত্রাতসের হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৫-২-এ হারিয়ে ছন্দে ফেরে গত বারের সেমিফাইনালিস্টরা। এর পর চিরপ্রতিদ্বন্দী ইস্টবেঙ্গল এফসি-র বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে শেষে দু’গোলে জেতে তারা। কিন্তু ডার্বি জয়ের ধারাবাহিকতা তারা বজায় রাখতে পারেনি সবুজ-মেরুন।সবচেয়ে কঠিন হার্ডল মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে অবশ্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা লড়াই করে। এবং ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়ে যায়। ঘরের মাঠে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কেও ২-১-এ হারায় তারা। কিন্তু আরব সাগরের তীরে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে বড় ধাক্কা খায়। গোয়ার দলের বিরুদ্ধে তিন গোলে হারের তেমন কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি কোচ জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে প্রত্যাবর্তন করে মোহনবাগান। এ বার সেই জয়ের ধারাই ধরে রাখতে চায় তারা।