শুভব্রত মুখার্জি
২০২০ সালে করোনার কারণে কলকাতা ফুটবল লিগ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৯ সালে শেষবার এই লিগ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পিয়ারলেস। এবারেও তারা বড় জয় দিয়ে তাদের অভিযান শুরু করেছে। লিগ চ্যাম্পিয়নদের জয়ের পরের দিনেই এক শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নিল গতবারের লিগে অসাধারণ পারফরম্যান্স করা শঙ্করলাল চক্রবর্তীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল ভবানীপুর এফসি।
শুক্রবার (২০ অগস্ট) যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ থেকে ভবানীপুর এবং ইউনাইটেড স্পোর্টস দুই দলই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ফিরবে, সেইসময় একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রদীপ মোহনরাজের জয়সূচক গোলের সুবাদে সম্পূর্ণ পয়েন্ট নিশ্চিত করে ভবানীপুর। চলতি কলকাতা লিগে ভবানীপুর বনাম ইউনাইটেড স্পোর্টসের ম্যাচ ড্র যে হচ্ছে তা একপ্রকার ধরেই নিয়েছিল দুই দলের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে সমর্থকরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের গোলে শঙ্করলালের ভবানীপুরকে ২-১ ফলে এক রুদ্ধশ্বাস জয় উপহার দিলেন দলের ফুটবলাররা। স্বাভাবিকভাবেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয় প্রীতম সরকারকে।
৩০ মিনিটের মাথায় তাঁরই উড়ে এসে হেডে করা অনবদ্য গোলে এদিন লিড নিয়েছিল ভবানীপুর। ভবানীপুরের হয়ে ১০ নম্বর জার্সি পরে এদিন মাঠে নেমেছিলেন ময়দানের পরিচিত বিদেশি তথা গোকুলাম কেরালা ও মোহনবাগানের প্রাক্তন স্ট্রাইকার হেনরি কিসেকা। বয়স বেড়েছে বেশ খানিকটা। আগের থেকে একটু হলেও কমেছে গতি। তবে যেটা কমেনি তা হল জয়ের খিদে। ফুটবলের প্রতি তাঁর ভালবাসা। তাই একেবারে শেষ মুহূর্তে তাঁর অ্যাসিস্টে তাঁর হেডে দেওয়া লে-অফেই সতীর্থ গোল করলে দল জয় পায়।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে আধিপত্য ছিল ভবানীপুরের। তাদের দুই উইং ব্যাকের ক্রমাগত ওভারল্যাপে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ইউনাইটেডের ডিফেন্স। ৯ নম্বর জার্সিধারী প্রীতম সরকার ঝাঁপিয়ে পড়ে করা হেডের গোলে লিড নেয় ভবানীপুর। ৪১ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে থ্রু পাস ধরে গোল করে সমতা ফেরান ইউনাইটেডের চন্দন ওড়াও। খেলা যখন ড্র হবে সবাই ধরেই নিয়েছেন তখন কিসেকার অ্যাসিস্ট থেকে প্রদীপ মোহনরাজ বল পেয়ে ছোট্ট চিপে গোল করতে ভুল করেননি। ফলে এই মরসুমের লিগে ভবানীপুর ২-১ ফলে তাদের প্রথম জয় তুলে নিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।