মরশুমের শুরুটা দারুণভাবে করেও গত ম্যাচেই প্রিমিয়র লিগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে পরাস্ত হয়েছিল চেলসি। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের ডিফেন্সের পাঠ পড়িয়ে থমাস টুচেলের অধীনে প্রথমবার নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে হারাল ম্যাক্স আলেগ্রির জুভেন্তাস। ম্যাচে জুভেন্তাসের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ফেডেরিকো কিয়েজা।
চেলসি ও জুভেন্তাসের সাম্প্রতিক সময়ে ভাগ্য একেবারে ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করে। একদিকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন চেলসি প্রিমিয়র লিগ জেতার অন্যতম বড় দাবিদার হলে, জুভে সিরি এ-তে প্রথম চার ম্যাচে জয়ই পায়নি। চেলসি বলে বলে ক্লিনশিট রাখতে সমর্থ হলেও জুভে বিগত ২৩ ম্যাচে মাত্র একবার প্রতিপক্ষকে তাদের জালে বল জড়ানো থেকে রুখতে সক্ষম হয়েছে। তবে বুধবার (ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার) অনেকটা চেনা জুভেকে দেখা গেল।
ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় একচ্ছত্রভাবে চেলসি বল নিজেদের দখলে রাখলেও সবথেকে ভাল দুই সুযোগ কিন্তু প্রতিআক্রমণে জুভেন্তাসই পায়। যদিও ফাইনাল পাসের অভাব সুযোগ কাজে না লাগানোয় প্রথমার্ধ গোলশূন্যই শেষ হয়। তবে কথায় আছে ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। এখনেই অনেকটা তেমনভাবেই প্রথমার্ধে জুভের হয়ে সবথেকে প্রভাবশালী দেখানো কিয়েজা দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই চেলসির জালে বল জড়িয়ে দেন। বাঁ-দিকের কঠিন কোণা থেকে গোল করা মুশকিল মন হলেও জোরালো শটে চেলসি গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডিকে পরাস্ত করেন তিনি।
গোটা ম্যাচে মাত্র ২৬ শতাংশ সময়ে জুভেন্তাস বল নিজেদের দখলে রাখতে পারলেও চেলসি স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুর গোলের প্রথম সুযোগ পেতে পেতে ৮০ মিনিট লেগে যায়। শেষ কয়েক মিনিটে লুকাকু দুটি সুযোগের একটিও গোল রাখতে ব্যর্থ হন। ম্যাচে ম্যানুয়েল লোকাত্তেলির কড়া নজররে ছিলেন তিনি। ম্যাচের ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে কাই হ্যাভাটর্স সম্ভবত চেলসির হয়ে গোল করার সেরা সুযোগ পেলে, তার হেডারও জুভে গোলের ওপর দিয়ে চলে যায়।
গোটা ম্যাচে লিওনার্দো বনুচ্চি-ম্যাথিয়াস ডিলিটরা অনবদ্য ডিফেন্স করে ২৩ ম্যাচে দ্বিতীয় ক্লিনশিট রাখেন বিয়ানকোনেরির হয়ে (প্রথমটিও মালমোর বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে)। এই নিয়ে নাগাড়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তৃতীয় ম্যাচ জিতল জুভে। তারাই ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে। গ্রুপ ‘এইচ’-র অন্য ম্যাচে জেনিট ৪-০ গোলে মালমোকে হারায়। ফলে চেলসি ও জেনিট তিন পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। মালমো এখনও এক পয়েন্টও পায়নি।
গ্রুপ ‘জি’-র ম্যাচে সেভিয়াকে রুখে দেয় ১০ জনের উল্ফসবার্গ। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে রোনাটো স্টিফেন জার্মান দলকে এগিয়ে দিলেও ৮৫মিনিটে বিতর্কিতভাবে এরিক লামেলার সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে জশুয়া লাল কার্ড দেখেন। ভিএআরের মদত নিয়ে রেফারির দেওয়া পেনাল্টি থেকে সেভিয়ার হয়ে গোল করতে কোন ভুল করেননি ইভান রাকিতিচ। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোটা তিন পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফেরারই সুযোগ ছিল সেভিয়ার কাছে। তবে পাপু গোমেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলেই। গ্রুপের অন্য় ম্যাচে আরবি সল্জবার্গের তরুণ ফরোয়ার্ড করিম আদিয়েমির জোড়া পেনাল্টির সুবাদে লিলকে ২-১ ব্যবধানে হারায় তাঁর দল। লিলের হয়ে একমাত্র গোলি করেন তুর্কির ফরোয়ার্ড বুরাক ইলমাজ। এই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে সল্জবার্গই। সেভিয়া ও উল্ফসবার্গ দুই পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তাদের পরে রেয়েছে। লিলের দখলে এক পয়েন্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।