রাউন্ড অফ ১৬-র প্রথম লেগে আরবি সালজবার্গের বিরুদ্ধে বায়ার্ন মিউনিখ ১-১ করায় অনেকেই হতবাক হয়েছিল। তবে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে অস্ট্রিয়ার দলকে একেবারে ৭-১ উড়িয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করল বায়ার্ন মিউনিখ। এই নিয়ে সাত নম্বর বার ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতায় এক ম্যাচে অন্তত সাত গোল দিল বায়ার্ন।
রবার্ট লেওয়ানডোস্কির সম্পর্কে নতুন করে লেখার আর তেমন কিছুই নেই। গত লেগে একটু শান্ত থাকলেও এই ম্যাচে একেবারে স্বমহিমায় ছিলেন পোল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকার। ১২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বায়ার্নকে ম্যাচে এগিয়ে দেওয়ার পর, ২১ ও ২৩ মিনিটে আরও দুটি গোল করে লেওয়ানডোস্কি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের দ্রুততম হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন। ৩১ মিনিটে সার্জ ন্যাবরি গোল করায় ৪-০ এগিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে জার্মান জায়ান্টসরা।
দ্বিতীয়ার্ধে থমাস মুলার ৫৪ ও ৮৩ মিনিটে গোল করার পাশপাশি লিরয় সানেও ৭০ মিনিটে একটি গোল করেন। সালজবার্গের হয়ে কিয়েগার্ড ৭০ মিনিটে একটি গোল করেন। তবে সেই গোল সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ঘরের মাঠে বায়ার্ন দাপট দেখালেও লিভারপুল কিন্তু ঘরের মাঠে ০-১ ব্যবধানে হেরে বসল, তাও আবার ১০ জনের ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধেই।
এনফিল্ডে প্রথমার্ধে দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে বড় সুযোগটা লিভারপুলই পায়। ফ্রি হেডারে জোয়েল মাটিপ বলের সঙ্গে ভাল সংযোগ ঘটালেও, তাঁর হেডার বারে লেগে ফিরে আসে। ভার্জিল ভ্যান ডাইকের আরেকটি হেডারও অল্পের জন্য গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। গোটা ম্যাচে লিভারপুলের ভাগ্যটা একেবারে এমনই ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে মহম্মদ সালাহ কার্যত যে সুযোগগুলিকে চোখ বুজেও গোলে রূপান্তরিত করেন, তেমন দুই সুযোগ পেয়ে বল পোস্টে মারেন।
ইন্টারের হয়ে লাউতারো মার্টনেজ কিছুক্ষণ আগেই একটা সুযোগ নষ্ট করার পর ৬১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ একটি শটে গোল করে ইন্টারের কামব্যাকের আশা জাগান। তবে তাঁর মাত্র দুই মিনিট পরেই, কিছুটা দুর্ভাগ্যবশত ইন্টারের অ্যালক্সিস স্যাঞ্চেজ লাল কার্ড দেখেন। তিনি ৫০-৫০ চ্যালেঞ্জে বল জিতলেও তাঁর ফলো থ্রুতে পা গিয়ে ফ্যাবিনহোর পায়ে খানিকটা উঁচুতেই লাগে। রেফারি তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড দেখান।

ইন্টারের জয়ের আশা এরপরেই কার্যত কমে যায়। লিভারপুলও গোল করার খুব চেষ্টা করেনি। একেবারে ইনজুরি টাইমে ম্যাচের শেষ বড় সুযোগ পান পরিবর্ত হিসাবে নামা লুইজ ডিয়াজ। তবে লিভারপুল উইঙ্গারের শট দারুণভাবে স্লাইডিং ব্লক করে রেডসদের গোল করা থেকে রুখে দেন আর্তুরো ভিদাল। শেষমেশ ইন্টার ১-০ স্কোরলাইনেই ম্যাচ জিত নেয়। তবে সান সিরোতে ইন্টারকে ২-০ হারানোর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতে, জুরগেন ক্লপের লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পৌঁছে যায়।