শুভব্রত মুখার্জি
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা দুই কিংবদন্তি ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসি। মেসি মাত্র কয়েকদিন আগেই লা লিগার নিয়মের বেড়াজালে পরে কিছুটা বাধ্য হয়েই প্যারিস সাঁ-জাঁ অর্থাৎ পিএসজিতে সই করেছেন। আর মেসির সই পর্বের রেশ মিটতে না মিটতেই বিশ্ব ফুটবলের আলোড়ন ফেলে জুভেন্টাস থেকে নিজের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করতে প্রিমিয়র লিগে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে সই করেছেন রোনাল্ডো।
রিপোর্ট অনুযায়ী সোমবারই (৩০ অগস্ট) সরকারিভাবে ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন রোনাল্ডো। তৎকালীন রেড ডেভিলস ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের হাত ধরেই কিংবদন্তি হওয়ার প্রথম ধাপটি ম্যাঞ্চেস্টার থেকেই শুরু করে ছিলেন ‘সিআর৭’। রেড ডেভিলসদের হয়ে ৩৬ বছর বয়সী পর্তুগিজ তারকার দ্বিতীয় অধ্যায় শুরুর আগে একটু ফিরে দেখা যাক ইংল্যান্ডে তাঁর প্রথম অধ্যায়ে অর্জন করা বিভিন্ন কৃতিত্বের দিকে।
পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনে খেলার সময় কিশোর রোনাল্ডোর প্রতিভা বুঝতে পেরে তাঁকে ম্যান ইউনাইটেডে সই করান ফার্গুসন। ২০০৩/০৪ মরসুমে প্রথমবার ম্যান ইউয়ের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলতে নেমেছিলেন অল্প বয়সী রোনাল্ডো। প্রথম তিনটে মরসুম ইউনাইটেডে রোনাল্ডো সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখতে পারেননি।
প্রথম মরসুমে ২৯ টি ম্যাচ খেলে মাত্র চারটি গোল করেন তিনি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মরসুমে তিনি ৩৩ টি করে ম্যাচ খেলে যথাক্রমে পাঁচটি এবং ন'টি গোল করেন। ২০০৬-০৭ মরশুম ছিল তাঁর ক্যারিয়ার চেঞ্জিং মরসুম। সেই মরসুমে ৩৪ টি ম্যাচ খেলে সাতটি গোল শুধু করেননি। সেই মরসুমে তাঁর ক্লাব ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেতাব জেতে। যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন রোনাল্ডো।
২০০৭-০৮ মরশুমটি ছিল স্বপ্নের মতো। দলকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেতাব দেওয়া ছাড়াও ৩৪টি ম্যাচে ৩১টি গোল করেন ক্লাবের হয়ে। পরবর্তী ২০০৮-০৯ মরসুমেও রেড ডেভিলসরা ইপিএলের খেতাব জেতে। সেইবার ৩৩টি ম্যাচ খেলে ১৮টি গোল করতে সক্ষম হয়েছিলেন রোনাল্ডো।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।