বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > হরির লুটের মতো গোল, ৩৫ গোল করে নজির গড়ে ফেললেন ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা

হরির লুটের মতো গোল, ৩৫ গোল করে নজির গড়ে ফেললেন ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা

৩৫ গোলে জিতল ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা।

মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে কন্যাশ্রী কাপের ম্যাচে বেহালা ঐক্য সম্মিলনীকে ৩৫-০ গোলে উড়িয়ে দিলেন লাল হলুদের মেয়েরা। গোলকিপার ছাড়া বাকি দশ জন স্কোরলাইনে নাম তোলেন। তার মধ্যে ছ'টি হ্যাটট্রিক রয়েছে।

এ যেন একেবারে হরির লুট! পাঁচ-দশটা নয়। ৯০ মিনিটে হল ৩৫টি গোল। ভাবছেন এমনও সম্ভব! এটা গল্প নয়, একেবারে সত্যি। কন্যাশ্রী কাপের একটি ম্যাচে পরপর ৩৫ খানা গোল দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দল। সেই সঙ্গে তারা গড়ে ফেলেছে নজিরও।

মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে কন্যাশ্রী কাপের ম্যাচে বেহালা ঐক্য সম্মিলনীকে ৩৫-০ গোলে উড়িয়ে দিলেন লাল হলুদের মেয়েরা। গোলকিপার ছাড়া বাকি দশ জন স্কোরলাইনে নাম তোলেন। তার মধ্যে ছ'টি হ্যাটট্রিক রয়েছে। কবিতা সোরেন এবং মৌসুমী মুর্মুর হাফ ডজন করে গোল। পাঁচ গোল করেন গীতা দাস এবং দেবলীনা ভট্টাচার্য। চার গোল করেন সুস্মিতা বর্ধন। হ্যাটট্রিক ঐশ্বর্য জাগতাপের। তনুশ্রী ওঁরাও এবং সুলঞ্জনা রাউলের দুটো গোল। বাকি দু'টি গোল বির্শি ওঁরাও এবং পিয়ালি কড়ার।

আরও পড়ুন: ফের ট্রান্সফার ব্যানের কবলে ইস্টবেঙ্গল, নতুন ফুটবলার সই করানো নিয়ে জটিলতা

আইএফএ-র তরফে জানানো হয়েছে, তাদের আয়োজিত মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টে এই জয় বিরাট রেকর্ড। ৯০ মিনিটের মধ্যে ৩৫টি গোল মানে বোঝাই যাচ্ছে যে, চোখের পলকে একের পর এক গোল হয়েছে এই ম্যাচে। প্রথমার্ধে হয় ১৮টি গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ১৭টি। এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের কথা গর্বের সঙ্গে টুইটারে তুলে ধরেছে ইস্টবেঙ্গল।

ম্যাচের ৩ মিনিটে প্রথম গোল, শেষ গোল ৯০ মিনিটে। মাঝে মুড়ি মুড়কির মতো গোল হয়। কন্যাশ্রী কাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে প্রতিপক্ষকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ল ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। ক্লাব তো বটেই, আইএফএ আয়োজিত যে কোনও মহিলাদের টুর্নামেন্টে এটা রেকর্ড। এর আগে কোনও দল এত গোল করেনি।

আরও পড়ুন: অলৌকিক কিছু না ঘটলে সেরা ছয়ে থাকা যাবে না- ওড়িশার কাছে হেরে মেনে নিলেন EB কোচ

এর আগের ম্যাচ আট গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। চলতি কন্যাশ্রী কাপে বেশ কয়েকটি ম্যাচে একেবারেই অসম স্কোরলাইন দেখা যাচ্ছে। তাই পরের বছর থেকে টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএফএ।

আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেছেন, ‘কন্যাশ্রী কাপের বেশ কয়েকটা ম্যাচে অসম লড়াই দেখা যাচ্ছে। তাই আগামী বছর থেকে আমরা ফরম্যাট বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১৬ দল করে দু'টো ডিভিশনে খেলা হবে। উপরের ডিভিশনে ১৬ টিম, নীচের ডিভিশনে ১৬ দল। অবনমন এবং প্রমোশন চালু করা হবে। আমরা তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফুটবলারদের গুণগত মান বোঝার জন্য টুর্নামেন্ট দরকার। তা হলে সঠিক প্রতিযোগিতা হয়। তাতে সমানে সমানে লড়াই হয়। এ বারের কন্যাশ্রী কাপের প্রথম ১৬টা দল পরের বছর প্রথম ডিভিশনে খেলবে।’

চলতি আইএসএলে যেখানে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের ইস্টবেঙ্গলের বেহাল দশা। গোল করার লোকের অভাব। সেখানে লাল-হলুদের মেয়েরা গোলের ফোরায়া ছোটাচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই খোঁচা তো খেতেই হবে আইএসএলের টিমকে।

বন্ধ করুন