ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে কলকাতা লিগের শিরোপা জয়ের অনেকটা কাছে পৌঁছে গেল মহমেডান স্পোর্টিং। সুপার সিক্সে পরপর দুই ম্যাচে তারা জয় পেল। ১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্টে পৌঁছে গেল তারা। সেখানে ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে চাপেই থাকল। কারণ এক ম্যাচ কম খেললেও, সাদা-কালোর সঙ্গে তাদের কিন্তু পাঁচ পয়েন্টের পার্থক্য এখন। ইস্ট আর মহমেডান যদি এর পর সব ম্যাচও জেতে, তাতেও এগিয়ে থাকবে সাদা-কালো বাহিনীই। তাই আন্দ্রে চেরনিশভের দলের কাছে এই জয় নিঃসন্দেহে বড় অক্সিজেন হল।
ম্যাচের সেরা ডেভিড
এদিন ম্যাচের সেরা হন নিঃসন্দেহে ডেভিড। জোড়া গোল করেছেন তিনি। এই নিয়ে কলকাতা লিগে ১৭টি গোল হয়ে গেল ডেভিডের।
ম্যাচের শেষে দুই দলের ফুটবলারদের ঝামেলা
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে, দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে উত্তেজনা ঝড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, দুই ম্যাচ শেষ হতে না হতেই দুই দলের ফুটবলাররা একে অপরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায়। তাদের একে অপরকে ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা যায়। তবে ঝামেলা মাত্রা ছাড়া হওয়ার আগেই রেফারি, কর্মকর্তা এবং মাঠে উপস্থিত বাকিরা মিলে সেই ঝামেলা থামিয়ে দেন।
ম্যাচ শেষ, ২-১ ছিনিয়ে নিল মহমেডান
মিনি ডার্বিতে দাপটের সঙ্গেই মহমেডান স্পোর্টিং হারিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। ডেভিডের জোড়া গোলে ২-১ জয় ছিনিয়ে নিল সাদা-কালো ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গল প্রথমার্ধে হতশ্রী ফুটবল খেলেছে। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও, ফিল্ড গোল করার লোকের অভাবটা এদিন টের পাওয়া গিয়েছে। পেনাল্টি থেকে একটি গোল পেলেও, কোনও ফিল্ড গোল লাল-হলুদ করতে পারেনি।
৭ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। এখনও ১-২ পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। সাত মিনিট অতিরিক্ত সময় দিয়েছে রেফারি। ইস্টবেঙ্গল পারবে সমতা ফেরাতে?
বোঝাপড়ার অভাব লাল-হলুদের
৭৯ মিনিট- ১৮ গজ দূর থেকে মোবাশিরের একটি ভালো শট ছিল, কিন্তু সেটা গোলে ঢোকানোর জন্য লাল-হলুদের কোনও পুটবলার মজুত ছিল না। বোঝাপড়ার অভাবটা স্পষ্ট ইস্টবেঙ্গলের।
আরও ২০ মিনিট বাকি, ১-২ পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল
৭০ মিনিট: শৌভিক নামার পর থেকে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় কিছুটা প্রাণ ফিরে এসেছে। তাদের আগের চেয়ে অনেক বেশি ছন্দে লাগছে। তবে ৭০ মিনিট খেলা গড়িয়ে গেলেও, এখনও সমতা ফেরাতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। ১-২ পিছিয়ে রয়েছে তারা।
সুযোগ নষ্ট লাল-হলুদের
৬৩ মিনিট- নন্দকুমারের থেকে ভালো জায়গায় বল পেয়েছিলেন শৌভিক। কিন্তু অনেক বাইরে থেকে বল বেরিয়ে গেল। সমতা ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করল লাল-হলুদ।
গোওওওওওওলললললল.. ১-২ করল ইস্টবেঙ্গল
৫৯ মিনিট- নন্দকুমার পেনাল্টি থেকে শট নেয়। মহমেডানের কিপার শট বুঝতেই পারেনি। পুরো উল্টোদিকে লাফায়। পেলাল্টি থেকে গোল করে ১-২ করল নন্দকুমার।
পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল
৫৮ মিনিট- পেনাল্টি বক্সের ভিতর শৌভিকের শট ইরশাদের হাতে লাগে। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। ইরশাদকে হলদকার্ড দেখান রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিন ফুটবলার পরিবর্তন লাল-হলুদের
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিন ফুটবলার পরিবর্তন করল লাল-হলুদের কোচ বিনো জর্জ। গিল এলেন আদিলের জায়গায়। জেসন এবং বিষ্ণু এলেন মোহিতোষ এবং অভিষেক কুঞ্জমের জায়গায়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
০-২ গোলে পিছিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। জোড়া গোল করেছেন মহমেডানের ডেভিড। স্বাভাবি ভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পারবে কি তারা সমতা ফেরাতে? বা ম্যাচ জিততে?
বিরতিতে ২-০ এগিয়ে মহমেডান
বিরতিতে ২-০ এগিয়ে মহমেডান। ইস্টবেঙ্গল প্রথমার্ধে একেবারেই আকর্ষণীয় ছন্দে ছিলেন না। বরং অনেক বেশি গাছাড়া মনোভাব ছিল তাদের। বরং মহমেডান বারবার আক্রমণ হানিয়ে, তার ফলও পেয়েছে। ইস্টবেঙ্গল যদি দ্বিতীয়ার্ধে এভারে খেলে, তবে তাদের কপালে দুঃখ আছে।
প্রথমার্ধে ২ মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। ২ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের কেমন যেন গাছাড়া ভাব। ২ গোলে পিছিয়েও আগ্রাসী মনোভাবের বিন্দুমাত্র লক্ষণ নেই। তার মধ্যে ডিফেন্সের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব স্পষ্ট। যার নিটফল, ০-২ পিছিয়ে লাল-হলুদ বাহিনী।
গোওওওওললললললল.. ফের ডেভিডের গোল, ২-০ এগিয়ে গেল মহমেডান
৩৯ মিনিট- ফের ডেভিডের চমক। ২-০ এগিয়ে গেল মহামেডান এসসি। লালরেমসাঙ্গার থেকে বল পেয়ে, লাল-হলুদের দুই প্লেয়ারকে ডজ দিয়ে তিনটি টাচে সোজা বল জালে জড়ালেন ডেভিড।
সমতা ফেরানোর সুযোগ নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের
৩০ মিনিট- পদমের আরও একটি দুর্দান্ত সেভ। অভিষেক কুঞ্জম থেকে বল কার্যত ছিনিয়ে নেন কুঞ্জম। সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ নষ্ট করল ইস্টবেঙ্গল।
অল্পের জন্য বাঁচল লাল-হলুদ
২২ মিনিট- মহমেডানের আক্রমণ জারি। কাউন্টার অ্যাটাকে প্রায় দ্বিতীয় গোল করে ফেলেছিলেন ডেভিড। তাঁর দুর্দান্ত শট। তবে কমলজিৎ দুরন্ত সেভ করলেন! ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের কিন্তু এই মুহূর্তে বেহাল দশা।
দুরন্ত সেভ
১৯ মিনিট- ভলি থেকে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক অথুল উন্নিকৃষ্ণনের একটি দুর্দান্ত শট কিন্তু মহমেডানের গোলকিপার পদম দুর্দান্ত সেভ করলেন!
ফের লম্বা দৌড় ডেভিডের
১০ মিনিট- ডান উইং থেকে লম্বা রান শুরু করেছেন ডেভিড। কিন্তু নিরঞ্জন মণ্ডলের ফাউল! মহমেডান এসসি-কে ফ্রিকিক দেওয়া হয়েছে। তবে ফ্রি-কিক থেকে কোনও রকম কিছু অঘটন লাল-হলুদের জন্য ঘটেনি।
গোওওওওওওওললললললল… এগিয়ে গেল মহমেডান
৫ মিনিট- মহমেডান এসসি সুযোগ খুঁজছিলই। আর সেই সুযোগটাই পেয়ে গেলেন ডেভিড। দুরন্ত গোল। লালরেমসাঙ্গার বাড়ানো বল ধরে আলতো টোকায় গোল করে ফেললেন ডেভিড। এই নিয়ে সাদা-কালোর ডেভিডের ১৬টি গোল হয়ে গেল।
খেলা শুরু
টানটান উত্তেজনা। ম্যাচ শুরু হয়ে গেল। জিতবে কারা? এই নিয়ে ময়দান জুড়ে জোর চর্চা।
মহমেডানের একাদশ
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
মিনি ডার্বিতে বাড়তি নিরাপত্তা
সমর্থকরা টিকিটের জন্য অপেক্ষায় থাকলেও, বুধবার ম্যাচের আগেই একমাত্র টিকিট হাতে পাবেন তাঁরা। ম্যাচ শুরুর দু’ঘণ্টা আগে স্টেডিয়ামের কাউন্টার থেকে সাধারণের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আগের বছরও কলকাতা লিগের ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে। তাই নিরাপত্তায় কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। মিনি ডার্বির কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনও থাকছে বুধবারের ম্যাচে।
যে দল জিতবে, শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছবে তারা
লিগের খেতাবি দৌড়ে প্রবল ভাবে এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল আর মহমেডান। গ্রুপ পর্বের পয়েন্টও সুপার সিক্সে যোগ হয়েছে। বুধবারের ম্যাচে যে দলই জিতবে, শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে তারা অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পজিশনে পৌঁছে যাবে।
সুপার সিক্সে মিনি ডার্বিই হতে পারে শিরোপা জয়ের নির্ধারক ম্যাচ
কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের ম্যাচে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান স্পোর্টিং। চলতি লিগে দুটো দলই দুরন্ত ফর্মে রয়েছে। মহমেডান নিজেদের গ্রুপ থেকে শীর্ষস্থানে শেষ করে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলও গ্রুপ টপার। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। ম্যাচ কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে সরে আসায় উন্মাদনার মাত্রাও আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে এক নম্বর দল হিসাবে কোয়ালিফাই করেছিল ইস্টবেঙ্গল। মাত্র এক পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে থেকে সুপার সিক্সে উঠেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। তবে মূলপর্বের প্রথম ম্যাচে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে বড় জয়ের ফলে এখন ১৩ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট সাদা কালো ব্রিগেডের। তাই শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান ম্যাচের গুরুত্ব বিশাল। মিনি ডার্বি নির্ধারিত করে দিতে পারে কলকাতা লিগের ভাগ্য। এই ম্যাচ যে দল জিতবে, সেই দল নিঃসন্দেহে লাভবান হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।