কোনও অঘটন ঘটল না। আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে টানা ছ’টি ম্যাচে হারল ইস্টবেঙ্গল। সব মিলিয়ে টানা আটটি ম্যাচ হারল লাল-হলুদ। লজ্জার রেকর্ড নিয়ে মাঠ ছাড়ল ক্লেটন সিলভারা। মরশুমের শেষ ডার্বিতেও জয়ের ধারা ধরে রাখল সবুজ-মেরুন। শনিবারের কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগান জিতল এমন দু’জনের গোলে, যাঁরা প্রথম বার কলকাতা ডার্বি খেলতে নেমেছিলেন। কার্ড সমস্যায় ডার্বি থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। তাঁর জায়গায় খেলা স্লাভকো দামিয়ানোভিচ গোল করলেন। ম্যাচের শেষ দিকে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। এ দিন ডার্বি জিতে লিগ তালিকার তিন নম্বরে উঠে এল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
টানা আটটি ডার্বি জয় সবুজ-মেরুনের
টানা আটটি ডার্বি জিতল এটিকে মোহনবাগান। এই মরশুমের শেষ ডার্বিও জেতা হল না ইস্টবেঙ্গলের। ফের হারতে হল তাদের। ২০২২-২৩ আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বিও ২-০ হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। এ বারও একই ব্যবধানে হারল তারা। বরং এটিকে মোহনবাগান জিতে তারা লিগ তালিকার তিন নম্বর জায়গা পাকা করে ফেলল। অর্থাৎ প্লে-অফের প্রথম ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলবে এটিকে মোহনবাগান।
গোওওওওললললল… পেত্রাতোসের গোলে ২-০ করল বাগান
পেত্রাতোসের দুরন্ত গোল। কিয়ান নাসিরির শট লাল-হলুদ কিপার সেভ করলে, পাল্টা শট জালে জড়ান পেত্রাতোস। ২-০ এগিয়ে গেল সবুজ-মেরুন।
আদৌ সমতা ফেরাতে পারবে লাল-হলুদ
৮০ মিনিট পার হয়ে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল কি পারবে আদৌ সমতা ফেরাতে? সে ক্ষেত্রে টানা আট ডার্বিতে তাদের হারতে হবে।
গোওওওওওললললল…..লাল-হলুদের গা-ছাড়া ভাব, এগিয়ে গেল বাগান
৬৮ মিনিট- কী খারাপ ডিফেন্স ইস্টবেঙ্গলের। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল সবুজ-মেরুনের গোল। স্লাভকোর গোলে ১-০ এগিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান। বাঁকানো কর্নার করেন পেত্রাতোস। মনবীর সিং ব্যাক হিল করে গোলের দিকে পাঠান। স্লাভকোর হেড প্রথমে বারে লেগে ফিরে আসে। সেই বলই জালে জড়ান তিনি।
লাল-হলুদের গোল মিস
৬১ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করল ইস্টবেঙ্গল এফসি। ভিপি সুহের দুরন্ত বল বাড়ান জেক জার্ভিসকে। জেক জার্ভিস শটও নিয়েছিলেন। যদিও গোলে রাখতে পারলেন না। এখনও গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দলই।
সহজ সুযোগ নষ্ট বাগানের
৫২ মিনিটে অত্যন্ত সহজ সুযোগ নষ্ট করল সবুজ-মেরুন। আশিক কুরুনিয়ান বল পেয়ে লম্বা দৌড়ে পেত্রাতোসকে বল দেন। কিন্তু পেত্রাতোস বাঁ-পায়ে বলটি জালে জড়াতে মিস করেন। গোলের একেবারে সামনে দিয়ে বল বের হয়ে যায়। এই গোলটি এলে বাগান এগিয়ে যেতে পারত।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
এটিকে মোহনবাগান, নাকি ইস্টবেঙ্গল এফসি জিতবে? নাকি ম্যাচ ড্র হবে? দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। গোলের মুখ খুলবে?
ম্যাচ গোলশূন্য
প্রথমার্ধের খেলা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ম্যাচ এখনও গোলশূন্য। কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। তবে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি।
হাতে লাগে বল, গুরুত্ব দেননি রেফারি
৪৩ মিনিট হয়ে গেল। এর মাঝেই একটি কর্নার বাঁচাতে গিয়ে লাল-হলুদ ফুটবলারের হাতে বল লাগে। তবে খুব সামান্যই। ইচ্ছাকৃত ছিল না বলে রেফারিও গুরুত্ব দেননি বিষয়টি।
এখনও ম্যাচের ফল গোলশূন্য
ইস্টবেঙ্গল এফসি দুরন্ত লড়াই করেছে। বহু পাস খেলছে তারা। তবে গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। এটিকে মোহনবাগানও মুহুর্মুহু আক্রমণ করে চলেছে। তবে গোলের মুখ খোলেনি কোনও টিমই। কখন হবে গোল? অপেক্ষায় দুই প্রধানের দর্শকেরা।
আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল
৩০ মিনিট একটি দুরন্ত সুযোগ এসেছিল লাল-হলুদের। ডান দিক থেকে বল নিয়ে উঠেছিলেন সুহের। তিনি পাস বাড়ান মহেশকে। কিন্তু মহেশের শট বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
দুই দলই পাল্লা দিয়ে লড়াই করছে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা জমে উঠেছে। তবে এখনও কোনও দলই কোনও পজিটিভ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ১২ মিনিট নাগাদ বক্সের বাইরে আশিককে ফাউল করেছিলেন লালচুংনুঙ্গা। পেত্রাতোসের জোরালো ফ্রিকিক অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে উড়ে গেল।১৭ মিনিট নাগাদ আবার গোল করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মোবাশিরের থেকে পাস পেয়েছিলেন সুহের। কিন্তু গোল করার আগের মুহূর্তে তিনি পা পিছলে পড়ে গেলেন। মোহনবাগানের ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করে দিলেন বল।
এটিকে মোহনবাগান আক্রমণের মেজাজে
৫ মিনিট: শুরুটা আক্রমণাত্মক মেজাজে করেছে এটিকে মোহনবাগান। লাল-হলুদের ডিফেন্স চিড়ে তারা বেশ কয়েক বার আক্রমণে উঠে চাপে ফেলে দিয়েছে। তবে পাল্টা ঝাপ্টা দিতে মরিয়া লাল-হলুদও।
খেলা শুরু
বহু প্রতীক্ষিত ডার্বি শুরু। কারা জিতবে আজ? ইস্টবেঙ্গল না মোহনবাগান?
ডার্বিতে হাতে গোনা দর্শক
ডার্বিতে পুরো ফাঁকা গ্যালারি। মোহনবাগান সমর্থকের সংখ্যা কিছুটা বেশি হলেও, ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি প্রায় খালি।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশ
কমলজিৎ, লালচুংনুঙ্গা, ক্লেটন, সুহের, লিমা, মোবাশির, সার্থক, জেরি, নাওরেম, কিরিয়াকু এবং জার্ভিস।
এটিকে মোহনবাগানের প্রথম একাদশ
বিশাল, স্লাভকো, পেত্রাতোস, বৌমাস, মনবীর, শুভাশিস, আশিক, প্রীতম, গায়েগো, মার্টিন্স এবং আশিস।
এই মরশুমের আইএসএলে লাল-হলুদের হাল
ইস্টবেঙ্গল ১৯টি ম্য়াচের মধ্যে মাত্র ৬টিতে তারা জিতেছে। বাকি ১২টি ম্যাচেই হেরেছে। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার দশে রয়েছে তারা। শেষ চার ম্যাচের তারা ২টিতে জিতেছে। শেষ ম্যাচে লিগশিল্ড জয়ী মুম্বই সিটি এফসি-কে হারিয়েছে। পাশাপাশি একটি ম্যাচ তারা ড্র করেছে। একটিতে হেরেছে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল তাদের ন’টি হারের সবকটিতেই প্রথমে গোল খেয়েছে।
এই মরশুমের আইএসএলে বাগানের হাল
চলতি লিগে এটিকে মোহনবাগান ঘরের মাঠে ১০টি ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে সাতটিতে জিতেছে তারা। আইএসএলের মোট ১৯টি ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে তারা জিতেছে। ৬টি ম্যাচ হেরেছে। ড্র হয়েছে চারটি। তাদের পয়েন্ট এই মুহূর্তে ৩১। এ বারের লিগে এটিকে মোহনবাগান সবচেয়ে কম পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। এর আগের দুই মরশুমে লিগে ৩৭-এর কম পয়েন্ট পায়নি তারা। এ বারই সবচেয়ে কম পয়েন্ট পেয়ে লিগ শেষ করবে সবুজ-মেরুন শিবির। আবার তারা গত দুই মরশুমে লিগ টেবলে তিনের নীচে থেকে শেষ করেনি। এ বার তিন নম্বরে থাকতে পারলে সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তার জন্য ডার্বি জিততেই হবে। গত চারটি ম্যাচে মাত্র তিনটি গোল পেয়েছে জুয়ান ফেরান্দোর দল।
সাম্প্রতিক ডার্বির পরিসংখ্যানে এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান
তবে টানা ৭টি মুখোমুখিতে মোহনবাগানের কাছে একটিতেও জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। তাদের কাছে এই ডার্বি মর্যাদা ফেরানোর লড়াই। এটিকে মোহনবাগানের ক্ষেত্রে শুধু চিরপ্রতিদ্বন্দীদের ওপর আধিপত্য বজায় রাখার লড়াই-ই নয়, তিন নম্বরে থেকে প্লে অফের প্রথম ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলার চ্যালেঞ্জও। এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেলে তবেই তা সম্ভব হবে।ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট পাঁচ বার। পাঁচ বারই জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। চলতি মরশুমের প্রথম মুখোমুখিতে এটিকে মোহনবাগানই ২-০-তে জেতে। এই পাঁচ ম্যাচে মোট ১৫টি গোল হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র দু’টি করেছে লাল-হলুদ শিবির। বাকি ১৩টি গোল করেছে এটিকে মোহনবাগান। অর্থাৎ, পরিসংখ্য়ানে এগিয়ে রয়েছে বাগানই। তবে সেই ইতিহাস এ বার বদলাতে মরিয়া লাল-হলুদ বাহিনী।
ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাসী দুই প্রধান
ডার্বিতে নামার আগের ম্যাচে দুই দলই দুর্দান্ত জয় পেয়েছে। ইস্টবেঙ্গল এফসি হারিয়েছে লিগশিল্ড চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি-কে এবং এটিকে মোহনবাগান হারিয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি-কে। ফলে দুই দলই এখন তেতে রয়েছে। এবং ফিরতি ডার্বিতে একে অপরের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার জন্য মরিয়া।