গত সপ্তাহে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির পরাজয়ের ফলে প্রিমিয়র লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুলের লিগ লিডারদের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর বড় হাতছানি ছিল। লিডস ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফের একবার ইংলিশ লিগের খেতাবি লড়াই জমিয়ে দিল জুরগেন ক্লপের দল।
চোট আঘাতে জর্জরিত লিডসের বিরুদ্ধে ম্যাচে খাতায় কলমে লিভারপুল অনেকটাই এগিয়ে ছিল। ম্যাচেও বর্তমানে দুই দলের মধ্যের ব্যবধান স্পষ্টভাবে চোখে পড়ল। ম্যাচের একেবারে শুরুর দিকেই লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসনের ভুলে লিডসের ড্যানিয়েল জেমস গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন বটে, তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি। এরপরে স্টুয়ার্ট ড্যালাসের হ্যান্ডবলের ফলে লিভারপুল পেনাল্টি পায়। ম্যাচের ১৫ মিনিটেই সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে রেডসদের এগিয়ে দেন মহম্মদ সালাহ।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে লিডসের হয়ে রাফিনহা, লিভারপুল জালে বল জড়িয়ে দিলেও তা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। তার তিন মিনিটে পরেই সালাহের পাস থেকে এক দুর্ধর্ষ আন্ডারল্যাপিং রানে লিভারপুল ডিফন্ডার জোয়েল মাটিপ ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ৩৫ মিনিটে সাদিও মানে লুক এলিং পেনাল্টি বক্সে ফাউল করায় দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় লিভারপুল। এ বারও পেনাল্টি থেকে বল সফলভাবে জালে জড়িয়ে দেন সালাহ। প্রথমার্ধেই লিভারপুল ৩-০ এগিয়ে মোটামুটি ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে নিয়েছিল।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরুর দিকে লিডস কয়েকটা বদল ঘটিয়ে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা লিভারপুল কিছুটা ধীরে সুস্থেই দ্বিতীয়ার্ধটা খেলছিল। তবে ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে জোড়া গোল করেন মানে। সেনেগাল তারকার দুই ট্যাপ-ইন গোলের ফলে রেডসরা ৫-০ এগিয়ে যাওয়ার পর, ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্ণার থেকে জোরালো হেডারে লিভারপুলের হয়ে ম্যাচের ষষ্ঠ গোলটি করেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক।
এই জয়ের ফলে লিগ তালিকায় যথাক্রমে এক ও দুই থাকা ম্যান সিটি এবং লিভারপুলের মধ্যেকার ব্যবধান কমে দাঁড়াল তিন পয়েন্ট। ২৬ ম্যাচ খেলে লিভারপুলের সংগ্রহ ৬০ পয়েন্ট। রেডসরা (৫০) এই বিশাল ব্যবধানে জয়ের ফলে ম্যান সিটির (৪৬) তুলনায় গোলপার্থক্য়েও এগিয়ে গিয়েছে, যা খেতাবি লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। বিগত ১০ ম্যাচে সপ্তম হারের ফলে চাপ বাড়ল মার্সেলো বিয়েলসার লিডসের। তারা ২৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ১৫ নম্বরে আছে বটে, তবে অবনমনের আওতায় থাকা দলগুলির থেকে তাদের পয়েন্ট পার্থক্য মাত্র তিন।