সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি প্রথমবার ফাইনালে ওঠা নেপাল। টুর্নামেন্টের সবথেকে সফল দলের বিরুদ্ধে নিঃসন্দেহে কঠিন লড়াই প্রথম সাফ খেতাবের খোঁজে থাকা নেপালের।
খেলা শেষ, ভারত ৩-০ গোলে জয়ী
খেলা শেষ। নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফের সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারত। এই নিয়ে মোট ৮ বার সাফ কাপ জিতল ভারতীয় ফুটবল দল। গতবার মলদ্বীপের কাছে হেরে রানার্স হয়েছিল ভারত। এবার নেপালকে হারিয়ে খেতাব পুনরুদ্ধার করলেন ছেত্রীরা। এর আগে ভারত সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৯৩, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৫ সালে। রানার্স হয় ১৯৯৫, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে।
সামাদের গোল
৮৬ মিনিটে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন সাহাল আব্দুল সামাদ। ৯০ মিনিটে তিনি গোল করে ভারতকে ৩-০ এগিয়ে দেন।
একসঙ্গে তিনজন ফুটবলারকে বদল করে ভারত
৮৬ মিনিটে মনবীর, ছেত্রী ও অনিরুদ্ধকে তুলে নেয় ভারত। পরিবর্তে মাঠে নামায় রহিম আলি, আব্দুল সামাদ ও জ্যাকসন সিংকে।
হলুদ কার্ড ও পরিবর্ত
৮২ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ভারতের মান্দার রাও দেশাই। নেপাল পুজনকে তুলে নিয়ে সন্তোষ তামাংকে মাঠে নামায়।
পোস্টে প্রতিহত বল
৭৭ মিনিটের মাথায় রোহিতের হেডার ক্রসবারে প্রতিহত হয়। গোলের সুযোগ নষ্ট হয় নেপালের।
জোড়া পরিবর্ত ভারতের
৭৫ মিনিটে জোড়া পরিবর্ত ফুটবলার মাঠে নামায় ভারত। তারা ইয়াসিরকে তুলে নিয়ে উদান্তাকে আক্রমণে নিয়ে আসে। রালতের বদলে ভারত মাঠে নামায় গ্লেন মার্টিনসকে। ৭২ মিনিটে রালতের শট প্রতিহত হয়। ৭৩ মিনিটে থাপার ফ্রি-কিক চিংগ্লেনসানার কাছে পৌঁছনোর আগেই নেপালের কিপার তা পাঞ্চ করে দূরে সরিয়ে দেন।
সুযোগ নষ্ট ভারতের
৬৭ মিনিটের মাথায় ছেত্রী ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে ফেলেছিলেন প্রায়। মনবীরের কাছ থেকে বল পেয়ে ছেত্রীর দিকে এগিয়ে দেন সুরেশ। যদিও ছেত্রীর শট প্রতিহত করেন লিম্বু।
সুনীলকে মাঠে নামায় নেপাল
৬৫ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয়বার ফুটবলার বদল করে নেপাল। তারা সুমন লামাকে তুলে নিয়ে সুনীল বলকে মাঠে নামায়।
হলুদ কার্ড ও পরিবর্ত
৫৬ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন নেপালের তেজ তামাং। ৫৮ মিনিটে সুজলের পরিবর্তে নেপাল মাঠে নামায় আয়ূষ ঘালানকে।
সুরেশের গোল
৫০ মিনিটে সুরেশ সিংয়ের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করে ভারত। ইয়াসিরের ক্রসে পা ছুঁয়ে নেপালের জালে বল জড়িয়ে দেন সুরেশ। ৫২ মিনিটে আরও একটি গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। যদিও নেপাল ভারতের আক্রমণ প্রতিহত করে।
ছেত্রীর গোল
৪৯ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর গোলে ১-০ এগিয়ে যায় ভারত। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৮০তম গোল করে লিওনেল মেসিকে ছুঁলেন ছেত্রী। প্রীতম কোটালের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন ছেত্রী।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দু'দলের প্রান্ত বদলের পর রেফারির বাঁশিতে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। প্রথমার্ধে ভারতের দাপট ছিল তুলনায় বেশি। যদিও গোল করতে পারেননি ছেত্রীরা। দ্বিতীয়ার্ধে তাই মরিয়া হয়ে ঝাঁপানোই স্বাভাবিক ভারতের।
বিরতিতে ম্যাচ গোলশূন্য
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। বিরতিতে ম্যাচ গোলশূন্য। ছেত্রীর সুযোগ নষ্টে লিড নিতে পারল না ভারত। বেশ কয়েক দফায় ভারতের ছন্দবদ্ধ আক্রমণ প্রতিহত করে নেপাল।
ছেত্রীর ব্যর্থ চেষ্টা
৪৪ মিনিটের মাথায় ছেত্রীর শট নেপালের রক্ষণে প্রতিহত হয়। প্রথমার্ধের খেলা শেষের পথে। একেবারে শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ছেত্রী। নাহলে প্রথমার্ধেই ভারত লিড নিতে পারত। ম্যাচ এখনও গোলশূন্য। তার আগে ৪৩ মিনিটে অনিরুদ্ধর কর্ণার থেকে গোল করার চেষ্টা করেন রালতে। তবে তাঁর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
ফ্রি-কিক
৪১ মিনিটে কোটালের ফ্রি-কিক থেকে বল ধরে রাহুল শট নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ঠিক মতো শট নিতে পারেননি তিনি। লিম্বু অনায়াসে বল দস্তানাবন্দি করেন।
লড়াই চলছে তুল্যমূল্য
৩০ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত। দু'দলের লড়াই চলছে তুল্যমূল্য। কোনও দলই প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেনি। ২৮ মিনিটের মাথায় মনবীরের কাছ থেকে বল পেয়ে অরক্ষিত ইয়াসিরের দিকে বাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন ছেত্রী। যদিও প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
ছেত্রীর শট প্রতিহত
২৭ মিনিটে থাপাক কাছ থেকে মনবীরের পা ঘুরে বল ছায় ছেত্রীর কাছে। কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে নেপালেল পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ছেত্রী। যদিও গোলকিপার তত্পরতার সঙ্গে বল প্রতিহত করেন। তার আগে ইয়াসিরের ক্রস জালে জড়ানো থেকে বাঁচান লিম্বু।
সুযোগ নষ্ট
১৭ মিনিটের মাথায় নবযুগের সামনে সুযোগ ছিল ভারতের গোলে শট নেওয়ার। তবে তিনি বল নিয়ন্ত্রমে রাখতে পারেননি। তার আগে ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর হাতের উপর পা পড়ে যায় নেপালের গোলকিপারের। ছেত্রী গোলের খোঁজে নেপালের বক্সে ঢুকেছিলেন। লিম্বু বল ক্লিয়ার করেন। ছেত্রী চোট পেলেও সামান্য শুশ্রুষা নিয়েই উঠে দাঁড়ান।
হলুদ কার্ড
৮ মিনিটের মাথায় নবযুগকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন রালতে। নিজেদের অর্ধেই বল দখলের লড়াইয়ে পিছন থেকে প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে ট্যাকল করে বসেন তিনি।
গুরপ্রীতের সেভ
৬ মিনিটের মাথায় নবযুগের সামনে সুযোগ ছিল গোল করার। তবে গুরপ্রীত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সামান্য চোট লাগে ভারতীয় কিপারের। মেডিক্যাল টিমের একটু সাহায্য নিয়েই তিনি উঠে দাঁড়ান।
সুযোগ তৈরি ভারতের
৪ মিনিটের মাথায় নেপালের বক্সে থাপার দিকে বল বাড়িয়ে দেন ইয়াসির। তবে লিম্বু পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে দেননি।
ম্যাচ শুরু
প্রথমে ভারত ও পরে নেপাল, দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর রেফারির বাঁশিতে ম্যাচ শুরু। অষ্টম সাফ খেতাবের লক্ষ্যে সুনীল ছেত্রীদের শেষ হার্ডল টপকানোর অভিযান শুরু। প্রথমেই লং বলে রোহিত চাঁদকে কুঁজতে চেয়েছিল নেপাল, তবে বল শেষমেশ জমা পড়ে গুরপ্রীতের দস্তানায়।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাস
ভারত সবথেকে বেশি মোট ৭ বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা শেষবার খেতাব জেতে ২০১৫ সালে। ২০১৮ সালের শেষ আসরে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে দেয় মলদ্বীপ। সেদিক থেকে ভারতের সামনে সুযোগ রয়েছে খেতাব পুনরুদ্ধারের। নেপাল অবশ্য এই প্রথমবার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস
মুখোমুখি লড়াইয়ে একতরফা আধিপত্য দেখিয়েছে ভারত। এখনও পর্যন্ত দু'দেশ মোট ২১ বার একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। ভারত জিতেছে ১৫টি ম্যাচ। নেপাল জিতেছে মাত্র ২টি। ৪টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
নেপালের প্রথম একাদশ
কিরণ কুমার লিম্বু (গোলকিপার), দীনেশ রাজবংশী, অনন্ত তামাং, গৌতম শ্রেষ্ঠ, সুমন আরিয়াল, তেজ তামাং, সুজল শ্রেষ্ঠ, সুমন লামা, পুজন আপারকোটি, নবযুগ শ্রেষ্ঠ ও রোহিত চাঁদ।
ভারতের প্রথম একাদশ
গুরপ্রীত (গোলকিপার), চিংগ্লেনসানা, রাহুল ভেকে, প্রীতম কোটাল, মান্দার রাও দেশাই, সুরেশ সিং, অনিরুদ্ধ থাপা, রালতে, মহম্মদ ইয়াসির, সুনীল ছেত্রী ও মনবীর সিং।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।