ইস্টবেঙ্গলের ভক্তরা আজ মোহনবাগানের সমর্থনে গলা ফাটিয়েছিলেন । কারণ চেন্নাইয়িন এফসি হারলে, তাদের প্লে-অফের জটিল অঙ্কের হিসেবে কিছুটা হলেও অক্সিজেন মিলত। কিন্তু ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িনের কাছে নাকানিচোবানি খেল মোহনাবাগান। তাদের এদিনের হারের পিছনে বড় ভিলেন হয়ে উঠেছেন বিশাল কাইথ। চেন্নাইয়িনের ৩টি গোলের মধ্যে ২টি গোলই বিশালের ভুলে হয়েছে। প্রথমার্ধে মোহনবাগান দাপট দেখালেও, দ্বিতীয়ার্ধে তারা সম্ভবত আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল। চেন্নাইয়িনের ১-০ এগিয়ে যাওয়ার পর, সম্ভবত নিশ্চিন্ত হয়ে গিয়েছিল বাগান। আর সেটাই তাদের কাল হল। বাগানের গা ছাড়া ভাবের সুযোগ নিয়েই চেন্নাইয়িন ধরাশায়ী করল সবুজ-মেরুনকে। সেই সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট পেয়ে তারা পুরোদমে বাঁচিয়ে রাখল প্লে-অফে যাওয়ার আশা। আর এতে ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল।
বছরের প্রথম ম্যাচে হার মোহনবাগানের
২০২৪ সালে প্রথম বার হারল মোহনবাগান। তাও নিজেদের ঘরের মাঠে, পয়েন্ট তালিকায় ১১ নম্বরে থাকা চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে। ইনজুরি টাইমে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলেও শেষ রক্ষা হল না। বরং বিশাল কাইথের ভুলের খেসারত দিয়ে ২-৩ গোলে হারল মোহনবাগান। স্বভাবতই আইএসএলের পয়েন্ট টেবলেও শীর্ষে ওঠা হল না সবুজ-মেরুনের।
দুরন্ত সেভ চেন্নাইয়িনের বাঙালি কিপারের
৯০+৮ মিনিট- মোহনবাগান সমতা ফেরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দেবজিৎ পরপর দু'টি নিশ্চিত গোল বাঁচান শেষ মুহূর্তে। দুরন্ত কিপিং বাঙালি কিপারের।
গোওওওলললল… কাইথের ক্ষমার অযোগ্য ভুল, ৩-২ করল চেন্নাইয়িন
৯০+৭ মিনিট- ইরফান ইয়াদওয়াদের গোলে ৩-২ করে ফেলল চেন্নাইয়িন। গোলটি হয় বিশাল কাইথের ভুলে। যখন মোহনবাগান দশ জন মিলে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণে ওঠে, তখন কাইথও গোল ছেড়ে পেনাল্টি বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসেন। সেই সময়েই ইরফান কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠেন। সেটা দেখার পরেও কাইথ পিছিয়ে গোলের দিকে না গিয়ে, উল্টে ইরফানকে আটকাতে সামনের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু বিশালকে কাঁচকলা দেখিয়ে ফাঁকা গোলে বল জড়ান ইরফান। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ৩-২ করে ফেলল চেন্নাইয়িন।
গোওওওলললল… পেনাল্টি থেকে ২-২ করলেন পেত্রাতোস
৯০+৩ মিনিট- পেত্রাতোস পেনাল্টি নেন। তিনি শান্ত ভাবে জালে বল জড়ান। দেবজিৎ সঠিক দিকে ঝাঁপ দিলেও, বল বাঁচাতে পারেননি। ২-২ করে ফেলল মোহনবাগান। আর গোল কী হবে?
পেনাল্টি পেল মোহনবাগান
৯০+২- ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-২ পিছিয়ে ছিল মোহনবাগান। তবে ইনজুরি টাইমে বল নিয়ে কাড়াকাড়ি করলে গিয়ে সাদিকুকে বক্সের ভিতর ফাউল করেন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। রেফারি পেনাল্টি দেন। যদি চেন্নাইয়িন এই পেনাল্টি দেওয়া নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে। তাদের দাবি, এটি পেনাল্টি ছিল না। তবে এতে কোনও লভ হয়নি।
গোওওওওলললল… ২-১ করে ফেলল চেন্নাইয়িন
৮০ মিনিট- ২-১ করে ফেলল চেন্নাইয়িন। কর্নার থেকে ক্রিভেলারো বাঁ-পায়ের মাপা শট ধরে রায়ান এডওয়ার্ডস হেডে গোল করেন। কাইথ বলটি দেখেও ধরতে পারেননি। রক্ষণের ভুল তো বটেই, তবে কিপারের এটি বড় ভুল। কাইথ যদি আগেই বলটি ধরে ফেলতেন গোল হত না, যেখানে বাগান কিপারের নাগালেই ছিল বল।
অল্পের জন্য মিস চেন্নাইয়িনের
৭৪ মিনিট- চেন্নাইয়িন এফসি-র সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ ছিল। রহিম আলি প্রায় সুপার সাব হয়ে উঠেছেন। তিনি ডান থেকে একটি ক্রস পান, এবং গোল লক্ষ্য করে শট নেন। তবে তাঁর ভলি অল্পের জন্য মিস হয়। স্বস্তির নিঃশ্বাস বাগানের জন্য।
গোওওওওলললল…. সমতা ফেরালেন মারে
৭২ মিনিট- মোহনবাগানের মধ্যে গা ছাড়া ভাব এসেছিল। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় চেন্নাইয়িন এফসি। জর্ডন মারে ডানদিক দিয়ে বল নিয়ে আক্রমণে ওঠেন। দীপক টাংরিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশাল কাইথ কাইথকে পরাজিত করেন। মারে যে খুব দ্রুত বল নিয়ে উঠে গোল করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন এমনটা নয়। তিনি সময় নিয়েই গোল করেছেন। আর সেই সময়টা তাঁকে বাগানের ডিফেন্ডাররাই দিয়েছেন। সকলে যেন দর্শক হয়ে দেখছিলেন। কেউই মারেকে ব্লক করার জন্য দৌড়ে আসেননি। কাইথও নিজের জায়গা ছেড়ে সরে যাওয়ায় গোল করতে সুবিধে হয় মারের। কার্যত ফাঁকা গোলেই বল ঢোকান তিনি।
চেন্নাইয়িনের তিনটি পরিবর্তন
৬৭ মিনিটে- চেন্নাইয়িন একেবারে তিনটি পরিবর্তন করল। বিকাশের জায়গায় নামলেন সার্থক গলুই। ফারুকের জায়গায় নামেন রহিম আলি। জিতেশ্বরের জায়গায় মাঠে এলেন আয়ুশ অধিকারী।
খেলার পুরো রাশ আপাতত বাগানের হাতে
৬০ মিনিট- মোহনবাগান এই মুহূর্তে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে। এই মুহূর্তে তিন জন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলছে তারা। আক্রমণেই তারা পুরো মনোযোগ দিয়েছে। দ্বিতীয় গোল কি আসবে?
সুযোগ নষ্ট করলেন পেত্রাতোস
৫৬ মিনিট- মোহনবাগান আবার আক্রমণে উঠেছে। গোলের ভালো সুযোগ। পেত্রাতোসের সামনে স্কোরকার্ডে নাম তোলার বড় সুযোগ। তিনি শুট করার জন্য জায়গা বদল করে ডানদিকে চলে যান এবং তার পর একটি শট দেন। তবে দেবজিৎ বলটি বাঁচিয়ে দেন।
মাঠে ফিরলেন শুভাশিস
৪৮ মিনিট- মাথায় বরফ লাগানোর পর শুভাশিস ফের মাঠে ফিরে এসেছেন। এদিকে চেন্নাইয়িন সমতা ফেরাতে মরিয়া। সেরা ছয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে, এই ম্যাচ হারা চলবে না। এদিকে বাগানের সামনে লিগ শিল্ড জেতার লক্ষ্য। তারাও তিন পয়েন্ট হাতছাড়া করতে চাইবে না।
শুভাশিসের চোট, মাটিতে গড়িয়ে পড়েছেন
৪৬ মিনিট- ভিন্সি ব্যারেটো এবং শুভাশিস বোসের মধ্য বল কাড়াকাড়ি করতে গিয়ে দু'জনের মাথাতেই লাগে। শুভাশিস চোট পেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ফিজিয়ো মাঠে এসেছেন। শুশ্রুষা চলছে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেল
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেল। মোহনবাগান ১-০ এগিয়ে রয়েছে ঠিকই, তবে নিজেদের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করতে হলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের ব্যবধান বাড়াতে হবে সবুজ-মেরুনকে। তা হলে চাপ আরও বাড়বে চেন্নাইয়িনের উপর।
বিরতিতে ১-০ এগিয়ে বাগান
১-০ এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গেল মোহনবাগান। শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি বাগান, কিন্তু খেলা যত গড়ায়, ততই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বরং চেন্নাইয়িনই ধীরে ধীরে চাপে পড়ে যায়। আসলে মোহনবাগান গোল করার পর থেকেই আর বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠে।
হলুদকার্ড দেখলেন টাংরি
৪৫+১ মিনিট- ভিন্সি ব্যারেটো চেন্নাইয়িন এফসি-র হয়ে আক্রমণে ওঠেন। কিন্তু দীপক টাংরি তাঁকে চ্যালেঞ্জের করতে গিয়ে ফাউল করে বসেন। যদিও বাগানের মিডফিল্ডার দাবি করেছেন যে, তিনি বলটি পেয়েছেন। তবে রেফারি তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান।
সুযোগ নষ্ট করলেন কাউকো
৪৪ মিনিট- সাদিকু বাঁ-দিক থেকে একটি ক্রস বাড়ান। বলটি সোজা গিয়ে পড়ে কাউকোর কাছে। ফিনল্যান্ডের তারকা প্লেয়ার বক্সের বাইরে থেকে একটি শট নেন। কিন্তু বলটি দেবজিতের সামনে বাউন্স করে। যার ফলে সহজেই ধরে ফেলেন চেন্নাইয়িন কিপার।
আক্রমণের মেজাজে কোলাসো
৩৯ মিনিট- লিস্টন কোলাসো আক্রমণের মেজাজে রয়েছেন। তিনি বাঁ-দিকের ফ্ল্যাঙ্ক দিয়ে এবার একটি ক্রস পান। কিন্তু এবার অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় সেটিকে ক্লিয়ার করে দেন। চেন্নাইয়িন পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে কিন্তু অভিষেক মিডফিল্ডে ক্রিভেলারোকে ফাউল করেন।
আগ্রাসী বাগান
৩২ মিনিট- চেন্নাইয়িনের ম্যান-মার্কিংয়ের স্ট্র্যাটেজি ধরে ফেলেছে মোহনবাগান। এবার নিজেদের কৌশল বদলে আক্রমণে ফিরেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বিশেষ করে গোল পাওয়ার পর, বাগান আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। সাদিকু আর অভিষেক মিলে ফের একটি সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ কার্যকরী হয়নি।
গোওওওওলললল…. ১-০ বাগানকে এগিয়ে দিলেন কাউকো
২৯ মিনিট- দুরন্ত গোল কাউকোর। লিস্টন কোলাসো মূলত কাউকোর জন্য বলটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। কোলাসো বল ধরে দু'টি টার্ন নিয়ে ভিন্সিকে ডজ দেন। তার পর সতর্ক থাকা কাউকোকে ক্রস বাড়ান। কাউকো বল জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি। ১-০ এগিয়ে গেল মোহনবাগান।
সুযোগ নষ্ট সবুজ-মেরুনের
২৮ মিনিট- আক্রমণে ফিরছে মোহনবাগান। ধীরে ধীরে খেলার রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। বাঁ-দিক থেকে আনোয়ার আলির ক্রস ধরে সাদিকু হেড করেছিলেন। তবে দেবজিৎ বলটি ধরে ফেলেন। আরও একটি সুযোগ নষ্ট হল বাগানের।
বাগানের সুযোগ
১৯ মিনিট- মোহনবাগান প্রথম একটি সুযোগ তৈরি করল। পেত্রাতোসের থ্রু-বল পৌঁছে যায় চেন্নাইয়িনের বক্সে। যেখানে ছিলেন লিস্টন কোলাসো। বিকাশকে ডজ দিয়ে কোলাসো গোল লক্ষ্য করে শট নেন। তবে দেবজিৎ বলটি বাঁচিয়ে দেন। কার্যকরী কিছু ঘটেনি।
সুযোগ নষ্ট চেন্নাইয়িনের
১৬ মিনিট- ক্রিভেল্লারো চেন্নাইয়িন এফসির হয়ে ফ্রি-কিক থেকে একটি ভালো শট নেন। জর্ডন মারে সেই বলটি পান। গোলের খুব ভালো সুযোগ তৈরি হয়, এমন কী মারের লব করা হেডার কাইথকেও পরাজিত করে। তবে বলটি শেষ পর্যন্ত জালে জড়ায়নি। পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। অল্পের জন্য গোল মিস করল চেন্নাইয়িন।
বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজে রয়েছে চেন্নাইয়িন
১০ মিনিট- বাগানের চেয়ে চনমনে লাগছে চেন্নাইয়িনকে। তারা বরং আক্রমণের মেজাজে রয়েছে। কন্নর শিল্ডস বাঁ-দিক দিয়ে বল নিয়ে উপরে ওঠেন। মারে সেটা লক্ষ্য করে বক্সের মধ্যে ছুটে যান, যাতে শিল্ডস তাঁরে ক্রস বাড়াতে পারেন। কিন্তু হেক্টর বলটি মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন। কোনও রকম বিপদ তৈরি হতেই দেননি হেক্টর।
এখনও চাপ তৈরি করতে পারেনি বাগান
৫ মিনিট- খেলার পাঁচ মিনিট গড়িয়ে গেল। কিন্তু সেই ভাবে কার্যকরী কিছুই করে উঠতে পারেনি কোনও দলই। মোহনবাগান এখনও সেই চাপটা তৈরি করতে পারেননি। তাদের এখনও পর্যন্ত খুব বেশি আক্রমণাত্মক লাগেনি। দীপক টাংরি, যিনি সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেকেই এশিয়ান কাপে মুগ্ধ করেছিলেন, তিনি বাঁ-দিকের ফ্ল্যাঙ্ক দিকে উড়ে আসা চেন্নাইয়িন এফসি-র একটি ক্রসকে আটকে দেন। ভালো ডিফেন্ড করেন।
খেলা শুরু, জিতলেই শীর্ষে উঠবে বাগান
মোহনবাগান-চেন্নাইয়িন ম্যাচ শুরু হয়ে গেল। ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের দুইয়ে রয়েছে মোহনবাগান। লিগ শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের পয়েন্ট ৪১। যদিও একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে মুম্বই। এদিনের ম্যাচ জিতে মুম্বইকে টপকে যেতে চাইবে বাগান ব্রিগেড। লিগ শিল্ড জিততে হলে, এখন আর কোনও ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নষ্ট করা চলবে না। তা হলেই তৈরি হবে বাড়তি চাপ। তাই চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট ছাড়া দ্বিতীয় ভাবনা নেই বাগানের।
চেন্নাইয়িন এফসি-র একাদশ
মোহনবাগানের একাদশ
পরিসংখ্যানে এগিয়ে মোহনবাগানই
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে সাত বার। তিনটিতে জিতেছে কলকাতার দল। একটিতে চেন্নাইয়িন এফসি। বাকি তিন ম্যাচ ড্র হয়েছে। গত আইএসএলেই সবুজ-মেরুন বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম এবং একমাত্র জয়টি পায় চেন্নাইয়িন এফসি। দ্বিতীয়ার্ধে ২০ মিনিটের মধ্যে দু’টি গোল করে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় লেগে গোলশূন্য ড্র হয়। ২০২০-২১ মরশুমে প্রথম লেগে গোলশূন্য ড্র হয়। দ্বিতীয় লেগে এটিকে মোহনবাগান শেষ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে জেতে। ২১-২২ মরশুমে প্রথম ম্যাচে ১-১ হওয়ার পরে, দ্বিতীয় বার কলকাতার দল রয় কৃষ্ণর গোলে জেতে। চলতি মরশুমের প্রথম সাক্ষাতে ৩-১-এ জেতে মোহনবাগান। পেত্রাতোস, কামিন্স ও মনবীরের গোলে।
প্লে-অফে ওঠার লড়াই চেন্নাইয়িনের
চেন্নাইয়িন এফসি একেবারেই ধারাবাহিক নয়। এই মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষ মুহূর্তের গোলে ওড়িশা এফসি-কে হারালেও, তার আগের দুই ম্যাচেই তারা হেরে যায় ইস্টবেঙ্গল এফসি ও মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে। অথচ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় পায় ওয়েন কোইলের দল। আর ওড়িশাকে হারানোর ঠিক এক সপ্তাহ পর, যাদের কাছে হারে তারা, সেই হায়দরাবাদ এফসি-র এই মরশুমে এটিই ছিল একমাত্র জয়। গত পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হেরে আপাতত লিগ টেবলের ১১ নম্বরে রয়েছে দু’বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়িন এফসি। ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট তাদের। খাতায় কলমে এখনও তাদের প্লে অফে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তারা বাকি সব ম্যাচে জিততে পারে, তা হলেই তাদের প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে। কারণ, বেঙ্গালুরু এবং পঞ্জাবের বিরুদ্ধে হেড-টু-হেড রেকর্ডে তারা এগিয়ে রয়েছে। তাই এই দুই দলও বাকি সব ম্যাচে জিতলেও, চেন্নাইয়িনই তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে এবং প্লে অফে উঠবে। তাই এখন লিগের প্রতিটি ম্যাচ তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি ম্যাচই জিততে মরিয়া কোইলের দলের ফুটবলাররা।
বাগানের পাখির চোখ এখন, লিগ শিল্ড জয়
গত আটটি ম্যাচের মধ্যে ছ’টিতে জয় ও দু’টিতে ড্রয়ের ফলে নতুন বছরে অপরাজিত মোহনবাগান এসজি আপাতত সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে। এই মুহূর্তে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মোহনবাগান। ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট তাদের। লিগ শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের পয়েন্ট ৪১। যদিও একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে মুম্বই। এদিনের ম্যাচ জিতে মুম্বইকে টপকে যেতে চাইবে বাগান ব্রিগেড। লিগ শিল্ড জিততে হলে, এখন আর কোনও ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নষ্ট করা চলবে না। তা হলেই তৈরি হবে বাড়তি চাপ। লিগ শিল্ডের জয়ের লক্ষ্যে নামা সবুজ মেরুনের কাছে বাকি চার ম্যাচই কার্যত ডু ওর ডাই। রবিবার প্রথম পরীক্ষা ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে। এই ম্যাচের আগে সাহাল আব্দুল সামাদের চোট নিয়ে চিন্তায় মোহনবাগান এসজি-র থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। জাতীয় দল থেকে চোট নিয়ে ফের সাহাল চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারবেন না। জনি কাউকোর হালকা সমস্যা থাকলেও, খেলার জন্য ফিট বলে জানিয়েছেন বাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের ডেপুটি ম্যানুয়াল পেরেজ। তবে এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট ছাড়া কিছু ভাবছে না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।