এটিকে মোহনবাগান, ইমামি ইস্টবেঙ্গল তো গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছে। ডুরান্ড কাপে কলকাতার একমাত্র ভরসা মহমেডান স্পোর্টিং। তারা কিন্তু টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছে। আর সেই লড়াকু মানসিকতা নিয়েই ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল সাদা-কালো ব্রিগেড।
আর নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে আবিওলা আদেদেজি দাউদা দুরন্ত ভাবে নজর কাড়লেন। শিক্ষক দিবসের দিনই কলকাতায় পা রেখেছেন দাউদা। মাত্র তিন দিন দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেছেন। কিন্তু পরিবর্তে নেমে দুরন্ত খেলে আইএসএলের দলকে রীতিমতো বেকায়দায় ফেললেন তিনি।
সাদা-কালো জার্সিতে অভিষেকেই জোড়া গোল করে মহমেডান সমর্থকদের মন জয় করে নিলেন নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৫ মিনিট খেলেন দাউদা। আর ৫৯ এবং ৮৪ মিনিটে করেন জোড়া গোল। যার নিট ফল, শুক্রবার যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কেরল ব্লাস্টার্সকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল মহমেডান স্পোর্টিং।
আরও পড়ুন: নড়বড়ে রক্ষণ,পরিকল্পহীন ফুটবল,গোল করার লোক নেই বাগানে- এ ভাবে ISL-এ সাফল্য আসবে?
শেষ চারের লড়াইয়ে মুম্বই সিটি এফসি এবং চেন্নাইয়িন এফসি ম্যাচের বিজয়ীর মুখোমুখি হবে মহমেডান। ঠিক যেন গত বছরের পুনরাবৃত্তি। ফাইনালে এফসি গোয়ার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মহমেডানের। এবার সেই অধরা স্বপ্নই পূরণ করতে চান মার্কাস জোসেফ, শাহির শাহিনরা। আর সেই স্বপ্ন পূরণের থেকে মাত্র দু'ধাপ দূরে রয়েছে সাদা-কালো ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে ISL-এ ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার পথ খোঁজা হল
গ্রুপ পর্বে দুই আইএসএলের দল এফসি গোয়া এবং জামশেদপুর এফসি-কে হারানোর পর বেঙ্গালুরু এফসি-র সঙ্গে ড্র করেছে মহমেডান। শেষ চারের লক্ষ্যে এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন সাদা-কালো ফুটবলাররা। ডুরান্ডে অংশগ্রহণকারী আইএসএল দলগুলোর মধ্যে একমাত্র রিজার্ভ বেঞ্চ নিয়ে এসেছে কেরালা ব্লাস্টার্স। দলে কোনও বিদেশি নেই। যার ফায়দা পুরোপুরি তোলে কলকাতার তৃতীয় প্রধান। চার বিদেশি নিয়েই শুরু করেন আন্দ্রে চেরনিশভ। ১৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন শেখ ফৈয়াজ। এর পর বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল সাদা কালো ব্রিগেড। কিন্তু ৪১ মিনিটে বলে পা ছোঁয়াতে পারেনি ফৈয়াজ।
বিরতিতে নুরুদ্দিনের পরিবর্তে আবিওলা দাউদাকে নামান রুশ কোচ। এই একটা পরিবর্তনেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় মহমেডান। সাদা কালো জার্সিতে নেমেই জোড়া গোল নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকারের। ৫৯ মিনিটে কেরল কিপার সচিনকে কাটিয়ে ডান পায়ের শট গোলে রাখেন দাউদা। বিপক্ষের একজন ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে যায়। এর সাত মিনিটের মধ্যে তিন নম্বর গোলটি করার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু আভাস থাপার গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। গোলের সুযোগ এসেছিল কেরালার সামনেও। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সিটার মিস করেন আজসাল, আইমেনরা। দাউদা নামার পর মহমেডানের আক্রমণের গতি বাড়ে। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ৩-০ করেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। প্রথম ম্যাচেই নজর কেড়ে ম্যাচের সেরা হন দাউদা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।