যে পেনাল্টি থেকে ডুরান্ডের সেমিফাইনালের মোড় ঘুরে যায়, মোহনবাগান ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলে, সেটা আদৌও পেনাল্টি ছিল কি? তা নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। এই পেনাল্টির জন্যই এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হারতে হয়েছে এফসি গোয়াকে। আর সেই পেনাল্টি নিয়েই বোমা ফাটিয়েছেন মানোলো মার্কুয়েজ।
ডুরান্ডের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং এফসি গোয়া। সেই ম্যাচের প্রথমার্ধেই তৈরি হয় বিতর্ক। খেলা তখন ৩৮ মিনিট গড়িয়েছে। বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে এগোচ্ছিলেন মোহনবাগানের উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ান। তাঁকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করেন এফসি গোয়ার ডিফেন্ডার জয় গুপ্ত। সামলাতে না পেরে আশিকের পায়ে মারেন।
যদিও তিনি বক্সের বাইরেই ফাউল করেন। তবে তাঁর কড়া ট্যাকলে বক্সের ভিতরে পড়ে যান আশিক। ফ্রি-কিক নাকি পেনাল্টি এই নিয়ে রেফারি এবং সহকারী রেফারির মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। আশিককে ফেলে দেওয়ায় প্রাথমিক ভাবে ফ্রি-কিক দেন রেফারি। কিন্তু লাইন্সম্যান জানান যে, বক্সের ভিতরে আশিককে ফাউল করেছেন জয়। সেইমতো পেনাল্টি দেন রেফারি।
যে সিদ্ধান্তে একেবারে সন্তুষ্ট হননি গোয়ার খেলোয়াড়রা। কিন্তু ভার না থাকায় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কোনও সুযোগ ছিল না। যাইহোক স্পট কিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান জেসন কামিন্স। আর রেফারির এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই এখনও তীব্র বিতর্ক চলছে।
আর এই পেনাল্টি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন এফসি গোয়ার স্প্যানিশ কোচ। তিনি সাফ বলে দেন, ‘রেফারিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। ভারতে খেললে আকছার এই ধরনের জিনিসগুলি ঘটে। এতে আমরা অভ্যস্ত। এটা নতুন কিছু নয়। শুধু এই ম্যাচ কেন, আইএসএল ফাইনালেও বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে একটি পেনাল্টির সাহায্যে আইএসএল ট্রফি জিতেছিল মোহনবাগান। যেটা আদৌ পেনাল্টি ছিল না।’
তিনি মোহনবাগানকে ঠুকে আরও যোগ করেছেন, ‘ডুরান্ডের নিয়মে বলা আছে, সব দলই এই টুর্নামেন্টে দল ৩০ জন করে প্লেয়ারই খেলাতে পারবে। তবে সেটা মানা হচ্ছে কোথায়? তবে ওরা (মোহনবাগান) ভালো দল। কলকাতা মানুষরা উপভোগ করবে।’
গ্রুপ পর্বে কলকাতা ডার্বি জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত অভিযোগ করেছিলেন যে, মোহনবাগান ৩৩ জন প্লেয়ার খেলিয়ে ফেলেছে। যেখানে ৩০ জন প্লেয়ার খেলানোর কথা, সেখানে তারা ৩ জন প্লেয়ার বেশি খেলিয়েছে। এই অভিযোগের পরে অবশ্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ম্যাচের ২৩ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল গোয়া। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মোহনবাগানের হয়ে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান জেসন কামিন্স। পরে ৬১ মিনিটে মোহনবাগানের জয়সূচক গোল করেন আর্মান্দো সাদিকু।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।