চোখ ধাঁধানো কেরিয়ারে বিতর্ক থেকে কখনও দূরে সরে থাকতে পারেননি মাইক টাইসন। একদা তাঁকে গ্রহের সবথেকে খারাপ মানুষ বলে ডাকা হতো। এক ঘুষিতে প্রতিপক্ষকে নকআউট করার ক্ষমতা রাখা কিংবদন্তি বক্সার আবার রিংয়ে ফিরছেন।
স্বাভাবিকভাবেই ৫৪ বছর বয়সী টাইসনের রিংয়ে ফেরার খবরে নড়েচড়ে বসেছে বক্সিং বিশ্ব। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার ডিগনিটি হেলথ স্পোর্টস পার্কে রয় জোন্স জুনিয়রের সঙ্গে ৮ রাউন্ডের একটি প্রদর্শনী লড়াইয়ে নামবেন টাইসন।
৫১ বছর বয়সী জোন্সের বিরুদ্ধে এই বাউটটি ট্রিলার নামক মার্কিন মিউজিক অ্যাপে সরাসরি দেখা যাবে। যদিও বিনা পয়সায় নয়। তার জন্য মাশুল গুনতে হবে অ্যাপ ব্যাবহারকারীদের। টাইসনের কামব্যাক লড়াইকে হাতিয়ার করে সংস্থাটি বাজার ধরতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটাও ধরে নেওয়া হচ্ছে যে, এই একটি লড়াইয়েই বিপুল আর্থিক মুনাফা লুঠতে পারে অ্যাপটি।
১৯৮৬ সালে সবথেকে কম বয়সে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়েন টাইসন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। নিজের সময়ে সবথেকে জনপ্রিয় বক্সার ছিলেন তিনি। রিংয়ে রীতিমতো হিংস্র দেখাত টাইসনকে। কেরিয়ারের প্রথম ১৯টি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে নকআউট করেন তিনি। যার মধ্যে ১২টি বাউট জেতেন প্রথম রাউন্ডেই। ২০০৫ সালে লড়াই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিংবদন্তি টাইসন।
এখন দেখার যে টাইসনের কামব্যাক ইভেন্ট তাঁর পুরনো পিপিভি (পে পার ভিউ) রেকর্ড ভাঙতে পারে কিনা।