বাংলা নিউজ > ময়দান > সুব্রত ভট্টাচার্য থেকে অ্যালভিটো-দীপেন্দু, সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে মর্মাহত গোটা ময়দান

সুব্রত ভট্টাচার্য থেকে অ্যালভিটো-দীপেন্দু, সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে মর্মাহত গোটা ময়দান

ফুটবল ময়দানের হিরোদের হিরো সুভাষ ভৌমিক (ছবি:ফেসবুক)

সুভাষ ভৌমিকের না থাকাটা ময়দানে একটা অপূরণীয় ক্ষতি।  তাঁর কোচিং স্টাইলও ছিল অনন্য। ফুটবলের প্রতি তার দৃষ্টি ভঙ্গিও অন্যদের থেকে একেবারেই আালদা। ফুটবল ময়দানের হিরোদের হিরোর প্রয়াণে ভেঙ পড়েছে গোটা ফুটবল ময়দান।

সুভাষ ভৌমিকের না থাকাটা ময়দানে একটা অপূরণীয় ক্ষতি।  তাঁর কোচিং স্টাইলও ছিল অনন্য। ফুটবলের প্রতি তার দৃষ্টি ভঙ্গিও অন্যদের থেকে একেবারেই আালদা। ফুটবল ময়দানের হিরোদের হিরোর প্রয়াণে ভেঙ পড়েছে গোটা ফুটবল ময়দান। সুভাষ ভৌমিকের সতীর্থ থেকে তাঁর ছাত্র সকলেই মিস করছেন ময়দানের ভোম্বলদাকে। প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন,  ‘সুভাষ ভৌমিক না থাকলে আমরা প্রতিষ্ঠা পেতাম না। ১৯৭৬ সালে ধীরেনদাকে বলে আমরা ওকে মোহনবাগানে সই করিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম সুভাষদাকে নিয়ে নিন। আমরা তারপর যে সাফল্য পেয়েছি, প্রতিষ্ঠা পেয়েছি, তার জন্য সুভাষ ভৌমিকের প্রচুর অবদান রয়েছে। আমার কাছে এটা খুবই মর্মান্তিক। ভোম্বলদা চলে যাবে এটা আমি ভাবতেই পারছি না। আমি আজকে যাব ভেবেছিলাম, কিন্তু এটা শুনে আমি ভীষণ মর্মাহত হয়ে পড়েছি।’

প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরি জানান, ‘আমার দেখা ফুটবলারদের মধ্যে ও অত্যন্ত ভালো ছিল। কিছু ম্যাচ এখনও আমার মনের মধ্যে গাঁথা হয়ে আছে। ওর খুব দয়ালু মন ছিল। এই খবরটা শুনেই সকালবেলা মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।’ প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকার বলেন, ‘যতই কিডনির অসুখ হোক, যতই করোনা হয়ে থাকুক কিন্তু ওর যাওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। বলার কোনও ভাষা নেই। ওর স্মৃতি জড়িয়ে থাকবে যতদিন আমি বেঁচে থাকবো। আমার মতো অনেক খেলোয়াড়ের স্মৃতি ওর সঙ্গে জ্বলজ্বল করবে। কিন্তু এইটুকু বলতে পারি, এক কথায় বলা যায় ও হিরোদের হিরো।’ 

সুভাষ ভৌমিকের ছাত্র অ্যালভিটো ডি'কুনহা বলেন, ‘সুভাষ ভৌমিক আমার কাছে শুধু কোচ ছিলেন না। আমার বাবার মতো ছিলেন তিনি। কারণ একটা সময় আমার যখন ফর্মটা খারাপ ছিল, তখন আমাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন। আমার খাওয়া দাওয়া, ট্রেনিং সব কিছুতেই তিনি নজর দিয়েছিলেন। আমার জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট যদি বলি বা এতদিন খেলতে পারার ব্যাপারে বলি, সেই কারণটা ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। আইলিগ, আশিয়ান কাপ সব কিছুই আমরা ওঁর সময় পেয়েছিলাম। তিনি শুধু ভালো কোচই ছিলেন না। ম্যান ম্যানেজমেন্টের দিকেও তিনি ভীষণ ভালো ছিলেন।’ অন্য ছাত্র দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘আমাকেও তিনি সব সময় ফোন করতেন। বলতেন এটা কর। ফাঁকা গোলে বল মারতে বলতেন। বলতেন, তা হলে দেখবি এমনিই গোল হবে। তিনি আমাদের জেনারেশনের সব প্লেয়ারদের সঙ্গেই কথা বলতেন। যার খারাপ সময় গেছে, সুভাষ স্যার সব সময় তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন কোনও না কোনও ভাবে।’

বন্ধ করুন