রীতিমতো বিতর্ক বাঁধিয়ে বসলেন প্রোটিয়া স্পিডস্টার ডেল স্টেইন। স্কাই স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে আলোচন প্রসঙ্গে স্টেইন দাবি করেন তিনি ২০১০ সালে গোয়ালিয়রে সচিনকে ১৯০ রানের আশেপাশে আউট করেছিলেন। যদিও নিরাপদে হোটেলে ফিরতে পারবেন না, এই আশঙ্কাতেই আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড তেন্ডুলকরকে আউট দেননি।
সেই ম্যাচেই তেন্ডুলকর ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দ্বিশতরানের বিশ্বরেকর্ড গড়েন। সচিন সেই ম্যাচে ১৪৭ বলে ২০০ রান করে নট-আউট থাকেন। তিনি ২৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন ইনিংসে।
স্টেইন বলেন, ‘তেন্ডুলকর ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করে আমাদের বিরুদ্ধেই গোয়ালিয়রে। আমার মনে আছে, ১৯০-এর আশেপাশে আমি তেন্ডুলকরকে এলবিডব্লিউ আউট করেছিলাম। ইয়ান গোল্ড আম্পায়ার ছিলেন। তিনি ভয়ে আউট দেননি।’
প্রোটিয়া তারকা আরও বলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ’এটা কেন আউট নয়। এটা তো নিশ্চিত এলবিডব্লিউ। আম্পায়ারের বক্তব্য ছিল, বন্ধু চারদিকটা একবার দেখো। এখন আউট দিলে আমাকে আর হোটেলে ফিরতে হবে না।'
যদিও স্টেইনের দাবি কতটা যথার্থ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কেননা, সেই ম্যাচে ৩৭তম ওভারের পর থেকে ৪৭তম ওভারের আগে পর্যন্ত স্টেইন বলই করেননি। ইনিংয়ের ৪৭তম ওভারে তেন্ডুলকর তিনটি বল খেলেন স্টেইনের। প্রথম বলে (৪৬.১) সচিন সিঙ্গল নিয়ে সচিন পৌঁছে যান ব্যক্তিগত ১৯৭ রানে। দ্বিতীয় বলে (৪৬.২) ধোনি কোনও রান নেননি। তৃতীয় বলে (৪৬.৩) নো বল করলে ধোনি এক রান নেন। পুনরায় স্টেইন তৃতীয় বল (৪৬.৩) করলে বল তেন্ডুলকরের ব্যাটের কানা নেয়, যাতে কোনও রান হয়নি। চতুর্থ বলে (৪৬.৪) সচিন ১ রান নেন এবং ব্যক্তিগত ১৯৮ রানে পৌঁছন। ওভারের শেষ দু'টি বল খেলেন ধোনি।
৪৯তম ওভারে স্টেইন পুনরায় বল করতে এলে গোটা ওভারে ব্যাট করেন ধোনি। অর্থাৎ, ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর বল বাই বল কমেন্ট্রি অনুযায়ী স্টেইনের বলে সচিনের বিরুদ্ধে কোনও জোরালো এলবিডব্লুিউ-র আবেদনই হয়নি ওই সময়। আসলে ব্যক্তিগত ১৪৭ থেকে ১৯৬ রানের মধ্যে সচিন স্টেইনের কোনও বলই খেলেননি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।