গোল নষ্টের প্রদর্শনী, এটিকে কোচ আন্তোনিও হাবাসের লাল কার্ড - রবিবাসরীয় যুবভারতীতে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল ২২ গজ দূর থেকে হোলিচরণ নার্জারির গোল। শীতের রাতে যা আটকে রইল যুবভারতী ফেরত দর্শকের চোখে।
এটিকের কাছে আজকের ম্যাচ যেমন ছিল বদলার, তেমনই ছিল পয়েন্ট টেবিলে ফের শীর্ষস্থানে উঠে আসার। ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এটিকের খেলাতে তেমন ঝাঁঝ ধরা পড়েনি। বরং কেরল ব্লাস্টার্সের দখলেই বেশি বল ছিল। পরে এটিকে কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। ৩৫ মিনিটে রয় কৃষ্ণার হেডার গোললাইন থেকে বাঁচান কেরল অধিনায়ক।
প্রথমার্ধের ম্যাড়ম্যাড়ে খেলা অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায়। জমাট হয় এটিকের খেলা। ৫৭ মিনিটে প্রবীর দাসের থ্রু বলে কিছুটা জোরে টাচ করেন় কৃষ্ণা। সহজেই তা ব্লক করে দেন কেরল গোলকিপার টি পি রেহেনেশ। কিছুক্ষণ পরই বলবন্ত সিংয়ের সঙ্গে যুগলবন্দিতে আরও একটি সুযোগ তৈরি করেন কৃষ্ণা। একটুর জন্য তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এটিকের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেও ৭০ মিনিটে কেরলকে এগিয়ে দেন হোলিচরণ। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর দুরন্ত শট এটিকের জালে আছড়ে পড়ে। এরপর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন হাবাসের ছেলেরা। কৃষ্ণা জালে বল জড়ালেও অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়ে যায়। একবার কৃষ্ণার শট দুরন্ত রিফ্লেক্সে রুখে দেন কেরল গোলকিপার।
অপর প্রান্তে লিড বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল কেরলও। অরিন্দম ভট্টাচার্যের দক্ষতায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় এটিকে। যদিও শেষপর্যন্ত গোল শোধ করতে পারেনি তারা। ফলে ১২ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে রইল তারা। অন্যদিকে, টানা দুটি ম্যাচে জিতে কিছুটা অক্সিজেন পেল কেরল।
এদিকে, ম্যাচের শেষ লগ্নে মেজাজ হারান এটিকে কোচ হাবাস। তাঁকে লালকার্ড দেখান রেফারি।