একটি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। ভারতের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা। একটা সময় ম্যাচ পুরোপুরি শ্রীলঙ্কার হাতে থাকলেও শেষের দিকে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে শেষ হাসি হাসে শ্রীলঙ্কাই। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছিল লঙ্কানদের। পুনেতে হার্দিক পান্ডিয়াদের রুখে দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল তারা।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দুই দলের কাছে ডু অর ডাই ম্যাচ হতে চলেছে। যে দল জিতবে তারাই সিরিজ নেবে। তবে পুনেতে ঘটে একটি রেকর্ড। তবে তা মোটেই সুখকর নয় ভারতের জন্য। আর্শদীপ সিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে বেশি নো বল করলেন। মাত্র দু ওভার বল করে তিনি পাঁচটি নো বল করেন। ম্যাচে সাতটি ফ্রি হিট পায় শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে আবার খেলা শেষ হওয়ার আগেই সহ খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য সমালোচিত হন হার্দিক পান্ডিয়া।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ছয় উইকেট হারিয়ে করে ২০৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৩৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। হার্দিক পান্ডিয়া আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ১২ রানে। দীপক হুডাও বিশেষ কিছু করতে পারেননি এই ম্যাচে। তিনি আউট হয়ে যখন ফেরেন, তখন ভারতের রান মাত্র ৫৭।
প্রতি ওভারে ১৫ রান রেট রেখে জেতার জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬৫ বলে ১০৫ রান। এই সময় সবাই ভাবতে থাকে বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারতে চলেছে ভারত। কিন্তু খেলা তখনও অনেকটা বাকি ছিল। পরিস্থিতি বদলে ফেলার কাজ করতে থাকেন অক্ষর প্যাটেল ও সূর্যকুমার যাদব। তাদের লড়াইয়ে জয়ের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে যায় ভারত। ২০ বলে ৫০ রান করেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি যখন আউট হয়ে ফেরেন তখন ৩১ বলে ৬৫ রান সংগ্রহে ছিল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন সূর্যকুমার। তিনি করেন ৩৬ বলে ৫১। কিন্তু তারপরও ম্যাচ জিততে পারেনি ভারত।
তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে হাত মেলাতে দেখা যায় ভারতীয় খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে। সাধারণত ম্যাচ শেষের পরে করমর্দন করে থাকেন। আর এই ঘটনার পরই বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে এই ম্যাচে মাথা গরম করতে দেখা যায় ভারত অধিনায়ককে। একাধিক নো বল অধিনায়কের রোষের মুখে পড়তে হয় আর্শদীপকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।