ম্যাচটি প্রায় হেরেই বসেছিল সৌরাষ্ট্র। কিন্তু শেষ উইকেটে সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট এবং চেতন শাকারিয়ার দুরন্ত লড়াইয়ের হাত ধরে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচটি ড্র করল তারা। ১ উইকেট হাতে নিয়ে ২০ ওভার লড়াই করে গেল সাকারিয়া-উনাদকাট জুটি। কিন্তু উইকেট ফেলতে পারল না মুম্বই। হারতে বসা ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছাড়েন উনাদকাট এবং শাকারিয়া।
যখন সৌরাষ্ট্রের মাত্র ১৭ রানের লিড ছিল। সে সময়ে ৯ নম্বর উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ক্রিজে আসেন চেতন শাকারিয়া। অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট তখন বেশ চাপে। কারণ চতুর্থ দিনে তখনও ২০ ওভার খেলা বাকি। মুম্বইয়ের কাছে ১ উইকেট ফেলাটা খুব কঠিন ছিল না। ১ উইকেট ফেলে অল্প কিছু রান তাড়া করলেই ম্যাচ জিতে যেত মুম্বই। কিন্তু সেই সুযোগটাই দিল না সাকারিয়া-উনাদকাট জুটি। উনাদকাট ৭২ বলে ৩২ করে অপরাজিত থাকেন। আর সাকারিয়া ৪৪ বলে খেলে করেন ১০ রান। এই জুটির আসল লড়াই ছিল ক্রিজে টিকে থাকার। সেই লড়াইয়ে একশো শতাংশ সফল তারা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট নেয় মুম্বই। অজিঙ্কা রাহানে ১২৯ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেছেন। তবে মুম্বইয়ের সরফররাজ খান ২৭৫ রান করে সকলের নজর কাড়েন। এই দুই ব্যাটসম্যানের হাত ধরেই মুম্বই রানের পাহাড় গড়ে। ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৪৪ রানে তারা ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সৌরাষ্ট্র তাদের প্রথম ইনিংসে শুরু থেকেই নড়বড় করছিল। দলের ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ২২০ রানে অল আউট হয়ে যায় সৌরাষ্ট্র। মুম্বইয়ের মোহিত অবস্তি এবং শামস মুলানি ৪টি করে উইকেট নেন।
সৌরাষ্ট্র তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য লড়াই করে। চতুর্থ দিনের শেষে তাদের স্কোর ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৭২ রান। ওপেন করতে নেমে স্নেল প্যাটেল ৯৮ করেন। আর এক ওপেনার হার্ভিক দেশাই ৬২ করেন। প্রথম ইনিংসে শূন্যতে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে চেতেশ্বর পূজারা করেন ৮৩ বলে ৯১ রান। মুম্বইয়ের শামস মুলানি নেন ৭ উইকেট। তবে এই সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে শেষ উইকেটে জয়দেব উনাদকাট এবং চেতন শাকারিয়ার দুরন্ত লড়াই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।